২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ধূমপান নিয়ন্ত্রণে কঠোর হচ্ছে জাপান

ধূমপান নিয়ন্ত্রণে কঠোর হচ্ছে জাপান - সংগৃহীত

ধূমপান নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগে কঠোর হওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে জাপান। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে স্বাস্থ্যন্নোয়নমূলক একটি আইন পুরোপুরি কার্যকর হবে। ওই বছরই জুলাই থেকে টকিও অলিম্পিকস এবং প্যারাঅলিম্পিক শুরু হতে যাচ্ছে দেশটিতে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চোখে তামাক গ্রহণ নিয়ন্ত্রণে জাপানের অবস্থা শোচনীয়। তাই অলিম্পিকের মতো বিশেষ আয়োজনের আগেভাগে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশটাকে আরো স্বাস্থ্যকর করে তুলতে চায় জাপান। 

এ সংক্রান্ত বিলটি গত মাসে জাপানের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিটিভ-এ পাস হয়েছে। পরে হাউজ অব কাউন্সিলরস-এ পুনঃনিরীক্ষিণ শেষে সরকারি এবং বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতাদের হাতেও পৌঁছেছে। 

প্রথম ধাক্কাতেই স্কুল, হাসপাতাল এবং পাবলিক ইনস্টিটিউশনের ভেতরে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হবে। এই নিয়মের প্রয়োগ ঘটবে ২০১৯ সালের গ্রীষ্মের মধ্যে। আর ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে নীতিগতভাবে রেস্টুরেন্ট, বার, অফিস এবং হোটেলে সিগারেট টানা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অবশ্য এসব স্থানে ধূমপায়ীদের জন্যে বিশেষ কক্ষ থাকতে পারে। সেখানে আবার কোনো খাবার ও পানীয়ের ব্যবস্থা থাকা চলবে না। 
 
তবে কথা আছে। যেসব খাবারের দোকান এবং বার তৈরিতে ৫০ মিলিয়ন ইয়েন পর্যন্ত (৪ লাখ ৪৩ হাজার ডলার) মূলধন ব্যয় করা হয়েছে, সেসব স্থানে এবং তার ১০০ বর্গমিটারের মধ্যে ধূমপান করা যাবে। তবে সেখানে অবশ্যই 'স্মোকিং অ্যালাউড' জাতীয় সাইন থাকতে হবে। আবার এসব স্থানে চাইলেই ২০ বছরের কম বয়সীরা এসে ধূমপান করতে পারবেন না। এসব স্থানে আইন ভঙ্গ করলে ধূমপায়ীদের ৩ লাখ ইয়েন (প্রায় ২ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা) এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ৫ লাখ ইয়েন পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।  

অনেক খাবারের দোকান ও বারে ভোজনরত অবস্থায় ধূমপানের জন্যে বিশেষ তামাকের ব্যবহার করা হয়। এগুলো উত্তপ্ত হয়ে ধোঁয়া উৎপন্ন করে, কিন্তু পোড়ে না। এসব ব্যবহারেও বাধ্যবাধকতা জুড়ে দেবে আইন। 

টোকিও মেট্রোপলিটনের এক অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সব ধরনের বার এবং রেস্টুরেন্টে এক 'দুর্বৃত্ত' হিসেবে চিহ্নিত হবে ধূমপান। এর জন্যে প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মী বা ক্রেতার বয়স বিবেচ্য হবে না। গোটা টোকিওর ৮৪ শতাংশ এলাকায় এই আইন প্রয়োগ করা হবে। 

জাপানে ৬ হাজার পরমাণু বোমার সরঞ্জাম
ডেইলি সাবাহ

জাপানের কাছে যে পরিমাণ প্লুটোনিয়াম আছে তা দিয়ে ৬ হাজার পারমাণবিক বোমা তৈরি করা যাবে। নিউক্লিয়ার প্লান্টের জ্বলানী হিসেবে জাপান প্লুটোনিয়াম ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এটা উদ্বেগের বিষয় যে এসব প্লুটোনিয়াম যদি কোন উপায়ে সন্ত্রাসীদের হাতে চলে যায় কিংবা ‍যদি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সন্মুখীন হয় তাহলে তা এক বিরাট আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

জাপান বিশ্বের একমাত্র অপারমানবিক দেশ যারা দীর্ঘ সময় ধরেই নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের জ্বালানী হিসেবে প্লুটোনিয়াম ব্যবহার করে আসছে।  

জাপান গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কয়েক দশকের পুরনো একটি চুক্তি নবায়ন করে যেখানে জাপান নতুন করে প্লটোনিয়াম মজুদ করবে। কিন্তু এই চুক্তিটি অপরপক্ষের ৬ মাসের নোটিশে পর্যবসিত হতে পারে।

নতুন করে প্লুটোনিয়াম মজুদ করার ফলে জাপানে জ্বালানীর নতুন উৎস তৈরি করতে পারবে। কিন্তু যে হারে মজুদ করা হচ্ছে এর ফলে জাপানের মিত্ররাও বিষয়টি অন্যভাবে দেখতে শুরু করেছে।

প্লুটোনিয়াম পারমানবিক অস্ত্র তৈরীতে ব্যবহৃত হয়। যদিও প্লুটোনিয়াম দ্বারা জাপান কোন ধরণের সামরিক কাজে ব্যবহার করবে না বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। জাপান যে পরিমাণ প্লুটোনিয়াম তাদের প্লান্টের জ্বলানী হিসেবে ব্যবহার করে থাকে বর্তমানে তার চেয়ে অধিক পরিমান মজুদ রয়েছে। এছাড়া ২০১১ সালের ফুকুশিমা দুর্ঘটনার পরবর্তীকালীন সময় থেকে তাদের অনেকগুলো নিউক্লিয়ার প্লান্ট বন্ধ রয়েছে।

বিশ্লেষকগণ মনে করেন, জাপান যে পরিমান প্লুটোনিয়াম মজুদ করছে তা যদি ফুকুশিমার মতো আবার কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভূমিকম্প বা সুনামির তাহলে এর পরিণতি খুব ভয়াবহ হবে। এছাড়া এগুলো সন্ত্রাসীদেরও আগ্রহের বিষয়।

বিশ্লেষকরা মনে করেন এর ফলে চীন ও উত্তর কোরিয়ার মতো দেশগুলো এশিয়ায় আবার অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নামবে।

এই মাসে জাপান  সরকার প্রথমবারের মতো প্লুটোনিয়াম মজুদের নতুন প্রক্রিয়ার ব্যাপারে বলেছে। দেশটির এটমিক  এনার্জি কমিশন প্লাটগুলো সুরক্ষিত আছে বলে জানায়। জাপান বর্তমানে ১০ টন  প্লুটোনিয়াম নিজেদের কাছ রেখেছে। আর বাকী ৩৭ টন ব্রিটেন ফ্রান্সের কাছে আছে।এটমিক এনার্জি কমিশনের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান তাটসুরিও সুজুকি বলেন, জাপান এর বেশি প্লুটোনিয়াম মজুদ করবে না বলে জানিয়েছে। এটা জাপানের জন্য নিউক্লিয়ার পুনর্ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

তবে ফুকুশিমা পারমানবিক কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পর সারাদেশের সব পারমানবিক চুল্লি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল যা আশঙ্কার অন্যতম কারণ।

টোকিওর প্লুটোনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প এখানকার দেশগুলোর মধ্যে বিপজ্জনক অবস্থায় চলে যেতে পারে।   

এর পরেও জাপান সরকার কয়েক দশক আগের চুক্তি মোতাবেক ফান্স ও নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাল্টি বিলিয়ন ডলারের প্রক্ল্প বাস্তবায়ন করছে। এখনকার মোটামুটি সকল প্রকল্পগুলো ফ্রান্সের সাথে মিলিতভাবে সম্পন্ন করছে। জাপান নিজেদের কারিগরি সমস্যার কারণে নতুন প্রকল্পগুলোর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারছেনা ।

এখন জাপানের দেখাদেখি চীনও তাদের মিত্র ফান্স ও রাশিয়াকে সাথে নিয়ে নবায়নযোগ্য প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে। আবার দক্ষিণ কোরিয়াও এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাইছে।

জাপান বিশ্বের একমাত্র দেশ যারা পারমানবিক বোমা হামলার শিকার হয়েও তারা নিজেরা সামরিক কাজে প্লুটোনিয়াম ব্যবহার করেনি।  


আরো সংবাদ



premium cement
রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু হিলিতে ভটভটি-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২ ‘গাজার ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে ১৪ বছর লাগতে পারে’ সখীপুরে ছাগল চুরির মামলায় মা-ছেলে কারাগারে ‘অন্যায়ের সাথে নয়া দিগন্তের সাংবাদিকরা কখনোই আপোষ করেন না’

সকল