হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর তথ্যে অনুপ্রবেশ ও নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসাথে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০ রুশ কূটনীতিককে বহিস্কার করেছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সংক্রান্ত এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, এর আগে গত ১৩ এপ্রিলে ‘খোলামেলা, শ্রদ্ধাপূর্ণ’ এক আলোচনায় পুতিনকে এই বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন তিনি।
হোয়াইট হাইজে এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে আমি স্পষ্ট ছিলাম আমরা আরো দূর যেতে পারি কিন্তু আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে তা না করার। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি সমানুপাতিক হওয়ার।’
প্রেসিডেন্ট বাইডেন আরো বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার সাথে উত্তেজনা ও সংঘর্ষের কোনো চক্রের সন্ধান করছে না। আমরা চাই স্থিতিশীল, অনুমানযোগ্য সম্পর্ক।’
এক সপ্তাহ আগে মার্কিন প্রশাসনের সতর্ক করা এই নিষেধাজ্ঞা গত বছর ‘সোলারউইন্ডস ব্রিচ’ নামে পরিচিত হ্যাকিং প্রচেষ্টার জেরে ক্রেমলিনের ওপর প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত নয়টি সংস্থার নেটওয়ার্কে রুশ হ্যাকাররা প্রবেশ করে। মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য হাতিয়ে নেয়ার জন্য এই সাইবার হামলা করা হয়েছিল।
হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এই আদেশের মাধ্যমে সংকেত দেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর কৌশলগত ও অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তারকারী মূল্য চাপিয়ে দেবে যদি রাশিয়া আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অস্থিতিশীলতা অব্যাহত রাখে বা বাড়ায়।
এর আগে গত মাসে মার্কিন কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনের বিফল চেষ্টায় সাহায্যের জন্য প্রভাব বিস্তারের অভিযানের অনুমোদন করার অভিযুক্ত করছেন।
রাশিয়া সোলারউইন্ডস ব্রিচ ও নির্বাচনে হস্তক্ষেপের দুই অভিযোগই অস্বীকার করছে।
রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় দেশটির সাইবার কর্মকাণ্ডে সহায়তা করা ছয় কোম্পানিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় হয়। এছাড়া আরো ৩২ ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া রুশ গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিসহ ১০ কূটনীতিককে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিস্কার করা হয় বলে জানায় হোয়াইট হাউজ।
সূত্র : আলজাজিরা