২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অভিশংসনের দণ্ড থেকে আবার মুক্তি পেলেন ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প - ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে পরপর দুইবার অভিশংসনের মুখোমুখি হওয়া সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো দণ্ড থেকে মুক্তি পেয়েছেন। শনিবার সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য ট্রাম্পকে শাস্তি দেয়ার পক্ষে ভোট দিলেও প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ ভোট না পড়ায় শাস্তি থেকে রেহাই পেয়েছেন তিনি।

এর আগে ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন আইন পরিষদ কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটল হিলে সহিংসতায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব আনা হয়। মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে গত ১৩ জানুয়ারি ২৩২-১৯৭ ভোটের ব্যবধানে ট্রাম্পকে অভিশংসন করার পর তা অনুমোদনের জন্য উচ্চকক্ষ সিনেটে পাঠানো হয়।

হোয়াইট হাউজ ছাড়ার তিন সপ্তাহ পর সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের শুনানি গত সোমবার শুরু হয়। পাঁচদিনের শুনানির পর শনিবার ট্রাম্পের অভিশংসন কার্যকরে সিনেট সদস্যরা তাদের রায় দেন।

সিনেটের ৫৭ সদস্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেয়া ৫০ ডেমোক্রেট সদস্যের সাথে আরো সাতজন রিপাবলিকান সদস্য রয়েছেন। মার্কিন ইতিহাসে কোনো প্রেসিডেন্টের বিপক্ষে তার নিজ দলীয় সদস্যদের ভোট এটিই সর্বোচ্চ।

অন্যদিকে ট্রাম্পের পক্ষে রায় দেন সিনেটের ৪৩ সদস্য। সাবেক প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের জন্য প্রয়োজনীয় ৬৭ ভোট না পড়ায় সিনেট ট্রাম্পকে অভিশংসনের শাস্তি থেকে মুক্তি দেয়।

সিনেটে ভোটের পরপরই সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা চাক শুমার বলেন, ‘এই বিচার দলের ওপর দেশকে বেছে নেয়ার বিচার ছিল না এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর দেশকে বেছে নেয়ার বিচার ছিল না এবং ৪৩ রিপাবলিকান সদস্য ট্রাম্পকেই সমর্থন করেছেন। তারা ট্রাম্পকেই বেছে নিয়েছেন।’

অন্যদিকে বিচারের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে এই বিচারকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বৃহত্তম ‘ডাইনি শিকার’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘কোনো প্রেসিডেন্টই এমন কিছুর মধ্য দিয়ে যাননি।’

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এটি দ্বিতীয় দফা অভিশংসনের প্রচেষ্টা। অভিশংসনের এই শুনানিতে তিনি যদি দোষী সাব্যস্ত হতেন, তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রার্থীতার বিষয়ে সিনেট বাধা দিতে পারতো।

এর আগে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সিনেটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রথম অভিশংসনের শুনানী হয়। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ইউক্রেনকে চাপ দিয়ে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে ২৩০-১৯৮ ভোটে তাকে অভিশংসন করা হয়। পরে তা অনুমোদনের জন্য সিনেটে পাঠানো হলে শুনানির পর ৫ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন ৪৮ সিনেট সদস্য। অন্যদিকে ট্রাম্পের পক্ষে ৫২ সদস্য রায় দেন।

সূত্র : সিএনএন, আলজাজিরা, বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement
রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু হিলিতে ভটভটি-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২ ‘গাজার ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে ১৪ বছর লাগতে পারে’ সখীপুরে ছাগল চুরির মামলায় মা-ছেলে কারাগারে ‘অন্যায়ের সাথে নয়া দিগন্তের সাংবাদিকরা কখনোই আপোষ করেন না’

সকল