২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বাবার লাশের পাশে ক্ষুধায় কাতরাতে কাতরাতে শিশুর মৃত্যু

বাবার লাশের পাশে ক্ষুধায় কাতরাতে কাতরাতে শিশুর মৃত্যু - ছবি : সংগৃহীত

দুই বছরের শিশু সন্তান ব্রনসন ব্যাটার্সবিকে নিয়ে বাড়িতে একা থাকতেন ৬০ বছর বয়সী কেনেথ। একদিন হার্ট অ্যাটাকে একা ঘরে মারা যান বাবা কেনেথ। এতে খাবার না পেয়ে ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় কাতরাতে কাতরাতে মারা গেছে শিশুটিও।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গত ৯ জানুয়ারি লিঙ্কনশায়ারে ওই দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ দুজনকে গত ২৬ ডিসেম্বর সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল। এর দুই সপ্তাহ আগে কেনেথ হার্ট অ্যাটাক করেছিলেন।

ধারণা করা হচ্ছে, ২৯ ডিসেম্বর আবারো হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যু হয় তার। বাড়িতে অন্য কেউ না থাকায় শিশু ব্রনসন ব্যাটার্সবি একাকী হয়ে যায়। তাকে খাবার খাইয়ে দেয়ার মতো কেউ না থাকায়—অনাহারে তার মৃত্যু হয়েছে।

লিঙ্কনশায়ার কাউন্টি কাউন্সিল এই শিশুর মৃত্যু নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

এই শিশুটি অরক্ষিত থাকায় প্রতি মাসে একবার শিশু পরিষেবা সংস্থার কর্মীরা তাকে দেখে যেতেন। তারই অংশ হিসেবে গত ২ জানুয়ারি এক সমাজকর্মী শিশুটির বাড়িতে যান। এর আগে ২৭ ডিসেম্বর তার বাবার সাথে যোগাযোগ করেছিলেন তিনি। ২ জানুয়ারি বাড়িতে আসলেও কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে তিনি অন্যান্য জায়গায় খোঁজ খবর নেয়া শুরু করেন—যেখানে শিশুটি থাকতে পারে। এরপর দুই দিন পর তিনি আবারো শিশুটির খোঁজে বাড়িতে আসেন; তখনো কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে পুলিশকে অবহিত করেন।

কিন্তু কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে না পেরে ওই বাড়ির মালিকের কাছ থেকে চাবি নিয়ে ঘরে ঢুকে তিনি দেখতে পান বাবার পাশে শিশুটি মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। খাবার ও পানি না পাওয়ায় তার শরীর কুঁকড়ে গিয়েছিল।

শিশুটির মা জানিয়েছেন, বড়দিনের আগে নিজ সন্তানের সাথে তার দেখা হয়েছিল। এরপর আর তাদের দেখেননি তিনি। শিশুটির বাবার সাথে ঝামেলা থাকায় তিনি আলাদা থাকতেন।

লিঙ্কনশায়ার পুলিশের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘পুলিশ গত ৯ জানুয়ারি বেলা ৩টা ২৫ মিনিটে স্কেগনেসের এই ঘটনার বিষয়ে অবগত হয়। ঘটনার তদন্ত শেষ হয়েছে এবং এই মৃত্যুকে সন্দেহজনক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে না। এরপরও জড়িত সংস্থাগুলোর কার্যকলাপ বিশ্লেষণ করা হবে। এর বেশি কিছু এখনই বলা যাচ্ছে না।’

 


আরো সংবাদ



premium cement