০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ঈদে নতুন কাপড় পরা হলো না আকলিমা-মোজাহিদের

ঈদে নতুন কাপড় পরা হলো না আকলিমা-মোজাহিদের - ফাইল ছবি

ঈদে নতুন কাপড় পরা হলো না আকলিমা বেগম (৩০) ও তার দুই বছরের শিশু বাচ্ছা মোজাহিদের। মা ছেলে গ্রাম থেকে শহরে এসে ঈদের কেনাকাটা করে সিএনজি যোগে বাড়ি ফেরার পথে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আকলিমা-মোজাহিদসহ আহতদেরকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে। কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে ভর্তি করিয়ে অন্যদের পাঠিয়ে দেন মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে। সেখানে নেয়ার পর শিশু মোজাহিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রেফার্ড করা হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সন্ধ্যায় শিশু মোজাহিদের মৃত্যু হয়। এর কিছুক্ষণ পরই মৌলভীবাজারের সদর হাসপাতালে শিশুটির মা আকলিমা বেগমও মারা যান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুছ ছালেক নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘আকলিমা মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশ্রিদ্রোন ইউনিয়নের ভূজপুর গ্রামের হোসেন মিয়ার স্ত্রী। নিহত আকলিমা তার শিশু বাচ্ছাকে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে রোববার শহরে আসে। কেনাকাটা শেষে সিএনজি যোগে বাড়ি ফেরার পথে শহরতলীর শাহজী বাজার এলাকায় বিপরীত দিকে থেকে আসা তেলবাহী ট্যাংক লরির সংঘর্ষে সিএনজির পাঁচ যাত্রী আহত হয়। এর মধ্যে আকলিমা ও মোজাহিদ মারা যান।’

এ ছাড়া উদনারপারের নুরুজ মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪০), সাতগাঁও এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল হাই (২৭) গুরুতর আহত হন। আর জিলাদপুর গ্রামের ইছাক মিয়ার ছেলে মো: কামাল মিয়াকে (৪০) শ্রীমঙ্গলেই চিকিৎসা দেয়া হয়।

তিনি আরো জানান, দুর্ঘটনা-কবলিত গাড়ি দুটি তাদের আওতায় নিয়ে এসেছেন। তেলবাহী ট্যাংক লরির চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ দু’টি পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে। সোমবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ওই এলাকার ওয়ার্ড সদস্য মো: লিটন মিয়া নয়া দিগন্তকে জানান, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে তাদের ভুজপুরের বাড়িতে এসে পৌঁছে। তাদের পারিবারিক অবস্থা বেশ ভালো না বলে যোগ করেন ইউপি সদস্য।


আরো সংবাদ



premium cement