০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কেজরিওয়ালের গ্রেফতার কি ভারতের বিরোধী জোটকে এককাট্টা করতে পারবে?

- সংগৃহীত

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক আবহাওয়া বেশ সরগরম, ক্ষমতাসীন বিজেপি আর বিরোধী শিবিরের মধ্যে উত্তেজনাও বাড়ছে চড়চড় করে।

এই আবহে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে তৈরি ‘ইন্ডিয়া’ জোট ঝাড়খণ্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারিকে সামনে রেখে রোববার রামলীলা ময়দানে ভোটের আগে কেন্দ্র সরকারের 'অতি-সক্রিয়তা' নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

‘লোকতন্ত্র বাঁচাও’-এর ডাক দিয়ে দিল্লির জনসভায় বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র একটা ‘ঐক্যবদ্ধ’ ছবিও তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন জোটে সামিল শরিক দলের নেতারা।

ওই দিনই আবার উত্তরপ্রদেশের মিরাটে আয়োজিত জনসভায় এই বিরোধী জোটকেই ‘দুর্নীতিগ্রস্তরা একত্রিত হয়েছে’ বলে বিঁধেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তবে সাম্প্রতিককালেও আসন সমঝোতা সংক্রান্ত ইস্যুগুলো নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছিল, তার আবহে রোববার দিল্লির ঐক্যমঞ্চ বিশেষ অর্থবহ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

একই মঞ্চে পাশাপাশি দেখা গেছে, কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়্গে, রাহুল গান্ধি, সোনিয়া গান্ধি, প্রিয়ঙ্কা গান্ধি ওয়াধরা, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাহ, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে)-র প্রধান উদ্ধব ঠাকরে, সিপিএমের সিতারাম ইয়েচুরি, আরজেডি-র তেজস্বি যাদব, এসপি-র অখিলেশ সিংহ যাদব, তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন-সহ ইন্ডিয়া জোটে সামিল শরিক দলের নেতাদের।

ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়াল এবং হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা সোরেনও।

প্রসঙ্গত, একই মঞ্চে শরিক দলের নেতাদের দেখা গেলেও মতপার্থক্য যে সব মিটেছে তা বলা যাবে না, কারণ সিট নিয়ে সর্বত্র সমঝোতা হয়নি।

ডেরেক ও’ব্রায়ানকে ইন্ডিয়া জোটের সভায় তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসাবে দেখা গেলেও সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জির নদীয়ার সভায় স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, ‘সর্বভারতীয় স্তরে ইন্ডিয়া জোট আমি তৈরি করেছি, ইন্ডিয়া নামও আমার দেয়া। ভোটের পর আমি (জোট) দেখে নেব। লড়ছি একলা। বাংলায় সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।’

এখন প্রশ্ন হলো- দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতারি, ইডি নোটিস-এর মতো একইরকম সমস্যায় জেরবার বিরোধী দলগুলো কি আদৌ তাদের পার্থক্য সরিয়ে রেখে নির্বাচনী ময়দানে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘একতা’ দেখাতে পারবে? এবং এই ‘একতার’ প্রতিফলন ভোটব্যাঙ্কে দেখা যাবে কি?

ইডি-সিবিআই-আয়কর বিভাগের অভিযান
লোকসভা ভোটের আগে এই প্রথম কোনো বড় সমাবেশে ঐক্যবদ্ধভাবে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে সমবেতভাবে সরব হয়েছিল বিরোধীরা।

কেন্দ্র সরকার যে এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টোরেট, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ‘ব্যবহার’ করছে এই বিষয়ে আগেও সরব হয়েছে বিরোধীরা।

কিন্তু ভোটের আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আবগারি দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার, কংগ্রেসের মতো শতাব্দীপ্রাচীন দলকে আয়কর বিভাগের বকেয়া টাকা দেয়ার নোটিস পাঠানো ইত্যাদির উদ্দেশ্য যে 'নির্বাচনী ময়দানকে বিরোধীশূন্য করা' -সে বিষয়ের ওপর বিরোধীরা রোববার জোর দিয়েছেন।

রোববারের সভায় রাহুল গান্ধি বলেছেন, ‘ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কথা শুনেছি, এবারের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদিজি ম্যাচ ফিক্সিং করার চেষ্টা করছেন।’

‘৪০০ আসন পার করার স্লোগান দিয়েছে বিজেপি। ইভিএম-এ কারচুপি এবং ম্যাচ ফিক্সিং ছাড়া ওরা ১৮০ পার করতে পারবে না। আম্পায়ার ওদের। আমাদের দু’জন খেলোয়াড়কে (অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং হেমন্ত সোরেন) জেলে পাঠানো হয়েছে।’

আয়কর দফতরের পাঠানো নোটিশ অনুযায়ী, ইতোমধ্যেই কংগ্রেসের বকেয়া আয়করের পরিমাণ সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। তাদের একাধিক অ্যাকাউন্ট আগেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

তাদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের আর্থিকভাবে পঙ্গু করা হচ্ছে। অথচ নির্বাচনী বন্ড থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পকেটে ভরেছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, সোমবার নির্বাচনী আবহে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে না বলে জানিয়েছে আয়কর দফতর।

অন্যদিকে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়াল এবং হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা সোরেন একে অন্যের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়ে কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদি সরকারকে।

দু'জনেই অভিযোগ করেছেন, ‘মিথ্যা অভিযোগে’ তাদের স্বামীদের জেলে পাঠানো হয়েছে।

রোববার তৃণমূলের প্রতিনিধিত্বকারী ডেরেক ও’ব্রায়ান দাবি করেন এটা বিজেপির সাথে ভারতীয় গণতন্ত্রের লড়াই।

মঞ্চের দু’টি ফাঁকা চেয়ারের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমরা দুটো আসন ফাঁকা রেখেছি। মাননীয় কেজরিওয়ালজি এবং মাননীয় সোরেনজি আপনারা আমাদের সাথেই রয়েছেন।’

বিরোধী শিবিরে মতপার্থক্য
বিজেপির সাথে সমবেতভাবে লড়ার উদ্দেশে তৈরি ‘ইন্ডিয়া জোট’- এর টালমাটাল অবস্থা সাম্প্রতিককালে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

লোকসভা ভোটের আগে বিরোধী জোটে ‘ঐক্যের অভাব’ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও।

সেই চিত্র আরো স্পষ্ট হয়ে যায় কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার’ সময়। তৃণমূল-সহ ইন্ডিয়া জোটে সামিল একাধিক শরিক দল রাহুল গান্ধির এই কর্মসূচিতে যোগ দেয়া থেকে বিরত থাকে।

গত ১৭ মার্চ মুম্বাইয়ে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় বিরোধী ঐক্যের ছবি তুলে ধরার চেষ্টা হলেও, সেখানে তৃণমূল এবং বাম দলগুলো ছিল না। বিভিন্ন রাজ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে মতপার্থক্যই এর প্রধান কারণ বলে মনে করা হয়।

তবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারের পর সেই ছবি কিছুটা হলেও বদলেছে।

তার গ্রেফতারির পরেই এক সুরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছিল বিরোধী দলগুলো। রামলিলা ময়দানের সভাতেও সেই ছবি ধরা পড়েছে।

‘একলা চলো রে’
জাতীয় স্তর এবং আঞ্চলিক স্তরে ছবিটা যে আলাদা সে কথা তৃণমূল অবশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে আসন নিয়ে কোনো মতেই সমঝোতাতে যাবে না।

নদীয়ার ধুবুলিয়াতে এক সমাবেশে মমতা ব্যানার্জি আবারো বলেছেন, ‘মনে রাখবেন সিপিএমকে ভোট দেয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেয়া। কংগ্রেসকে ভোট দেয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেয়া।’

তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি একলাই লড়ছেন। আসন সমঝোতা নিয়ে মতপার্থক্য দেখা গিয়েছে অন্য রাজ্যেও।

এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, নির্বাচনী ময়দানে ‘একতা’ দেখাতে পারবে কি ইন্ডিয়া জোট?

বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
রাজনৈতিক বিশ্লেষক শিখা মুখার্জি বলেন, ‘এখানে একাধিক বিষয় রয়েছে। প্রথম হলো অরবিন্দ কেজরিওয়াল, হেমন্ত সোরেন এবং অন্যান্য দলের বড় বড় নেতাদের গ্রেফতার হওয়া অথবা কংগ্রেসেকে আয়কর নোটিস পাঠানোর মতো বিষয়, যা ঠিক ভোটের আগেই ঘটছে। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো- যেখানে আসন সমঝোতা হয়নি ইন্ডিয়া জোটের উপর সেটার প্রভাব।’

তবে কয়েকটি বিষয়ে ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা একমত।

‘ইডি, সিবিআই এবং আয়করের মতো ইস্যুতে শরিকরা একমত। কংগ্রেসের মতো একটি দলের বিরুদ্ধে যখন তারা আয়করের নোটিস পাঠিয়েছে তখন অন্যান্য দলগুলোকেও তারা নিশানা করবে এই বিষয়টা স্পষ্ট। এটা টার্গেটেড আট্যাক।’

‘ভোটে লড়তে গেলে টাকা লাগে। প্রশ্ন উঠেছিল বিজেপি নির্বাচনী বন্ড মারফত কিভাবে এই বিপুল অর্থ পেল।’

একাধিক ক্ষেত্রে ইডির কর্মকর্তাদের অভিযানের পর কয়েকটি সংস্থার কেনা বিপুল পরিমাণ নির্বাচনী বন্ড যা বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে, সে প্রসঙ্গও তুলেছেন তিনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক শিখা মুখার্জির মতে, ‘এখন বিজেপি প্রমাণ করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস হল এমন একটা দল যারা টাকা লুঠ করে আয়কর দেয়নি।’

অন্যদিকে, দলের বড় নেতা বা মন্ত্রীদের গ্রেফতার করার পিছনেও নির্বাচনী সমীকরণ রয়েছে বলে ব্যখ্যা করেছেন তিনি।

তার কথায়, ‘ছোট দলগুলোতে নেতৃত্ব দেয়ার মতো যাতে কেউ না থাকে সেটাও সুনিশ্চিত করতে চায় বিজেপি। ছোট দলগুলোতে দু-একজন বড় নেতার অনুপস্থিতিতে দলে বিকল্প নেতৃত্ব খুঁজে পাওয়াটা মুশকিল, কারণ ছোট দলগুলো সেইভাবে তৈরিই নয়। এটা আসলে একটা ‘পাওয়ার ট্যাকটিক্স’, ভয় পাওয়ানোর পন্থা।’

এবার দ্বিতীয় বিষয় হলো আসনের ভাগ। ‘যেমন পাঞ্জাবে কংগ্রেসের সাথে আপ সিট ভাগ করতে চায়নি। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সাথে কংগ্রেস করতে পারেনি এবং বাম-কংগ্রেসের একটা বোঝাপড়া হয়েছে’, বলছিলেন শিখা মুখার্জি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী আবার বলছেন, ‘বিষয়টা হলো ইন্ডিয়া জোটে যে দলগুলো আন্তরিকভাবে সামিল ছিল তাদের সাথে জোট ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। কিন্তু কয়েকটি দল যাদের সাথে এই জোট সম্ভব হয়নি তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারা আদৌ তারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে চায় কি না।’

‘গতকাল দিল্লির সভায় মমতা ব্যানার্জি বা অভিষেক ব্যানার্জি সামিল হননি। তারা এই ইন্ডিয়া জোটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নিয়েও বিশেষ সচেষ্ট হননি।’

‘এদিকে জোট বিহার, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে যেখানে যেখানে জোট হওয়ার সেখানে হয়ে গেছে। এখন নতুন করে কোনো জোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই’, বলছেন চক্রবর্তী।

নির্বাচনী সমীকরণ
ভোটে আসন ভাগের ক্ষেত্রে প্রতিটি দলের নিজস্ব অঙ্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিখা মুখার্জি ।

‘অঙ্কটা হলো একা লড়লে বেশি সিট জিতব। এই সিটগুলো কোনোমতেই বিজেপির পক্ষে যাবে না, এমনটাই দলগুলোর যুক্তি।’

বিরোধী ভোট কি ভাগ হয়ে যাবে?

‘প্রতিটা রাজ্যে এইটা একটা বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জোটের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিজেপি বিরোধী ভোট যাতে ভাগ না হয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সেটা তিন ভাগে ভাগ হচ্ছে। পাঞ্জাবে আপ, অকালি দল এবং কংগ্রেস তিন দলের মধ্যে ভাগ হচ্ছে’, বলেছেন শিখা মুখার্জি।

তার কথায়, ‘অনেক রাজ্যে যেখানে আসন সমঝোতা হয়নি, ফ্রেন্ডলি ফাইটের প্রসঙ্গ এসেছে সেখানে আঞ্চলিক দলগুলো একরকম অঙ্ক কষেছে, আবার জাতীয় স্তরের দলগুলোও নিজেদের মতো হিসাব কষেছে।’

‘ফলে এখন দেখতে হবে সত্যি সত্যই লাভ হলো, না কি ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে ইগোর সমস্যা হলো- কিংবা বিরোধী জোট শক্ত হওয়ার ফলে বিজেপির ক্ষতি হলো। এই মুহূর্তে এটা কিন্তু মতামত মাত্র, এখনই কিছু নির্দিষ্ট ভাবে বলা যাবে না।’

তবে বিজেপি সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে একটা রাজনৈতিক আবহ তৈরি হচ্ছে যার প্রভাব ভোটারদের একাংশের মধ্যে দেখা যেতে পারে বলেও মনে করেন অধ্যাপক ড. বিশ্বনাথ চক্রবর্তী।

‘একটা রাজনৈতিক আবহ তৈরি হচ্ছে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। নরেন্দ্র মোদি বিরোধীদের নিশানা করতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করছে কিন্তু তার নিজের দলে যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাদের কিছু করছে না। এই ভাবনাটা মানুষের মনে দানা বাঁধছে, বিশেষত শিক্ষিত শহুরে মানুষের মধ্যে।’

‘তবে, বিরোধীরা এর কতটা লভ্যাংশ পাবে সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। কিন্তু হেমন্ত সোরেন, অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার, এবং তদন্তের নাম করে ইডি-সিবিআইকে ব্যবহার করা, বিরোধীদের মনোবল ভাঙা এবং তাদের নিশানা করার মতো অন্যায় বিষয়গুলিকে নিয়ে চিন্তা ভোটারদের মধ্যে দানা বাঁধছে।’

স্থান এবং সময় এই দুটোই কিন্তু এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বলে মনে করেন তিনি।

‘কারণ নির্বাচনের আগেই নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করছেন যা শুধু ওই সংস্থার কার্যকারিতা এবং সততা নিয়ে প্রশ্নই তুলছে না, বিরোধীদেরও সুযোগ করে দিচ্ছে। তারা বলতে পারছে মোদি সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে নয়, বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়তে চায়। এই বিষয়গুলো শহুরে, শিক্ষিত মানুষ বুঝতে পারছেন।’

একই সাথে বলেছেন, ‘এর ফলে সংখ্যালঘু ভোটও কিন্তু একত্রিত হবে এবং এর প্রভাব ইন্ডিয়া জোটের পক্ষে যাবে এবং বিজেপির বিরুদ্ধে।’
সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement

সকল