১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


ইরানের জন্য হেলমান্দ নদীর পানি ছেড়ে দিল তালেবান সরকার!

কামাল খান বাঁধের পানি যাচ্ছে ইরানের সিস্তান বালুচিস্তান প্রদেশের দিকে - ছবি : সংগৃহীত

আফগানিস্তানের তালেবান সরকার হিরমান্দ বা হেলমান্দ নদীর উপর নির্মিত কামাল খান বাঁধের মুখ খুলে দিয়েছে এবং দুই দশক পর প্রতিবেশী ইরান এই নদীর পানি পাচ্ছে। তালেবান সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন ইরানের সরকারি কর্মকর্তারা। তবে তালেবান সরকার বলছে, কামাল খান বাঁধের পানি আফগানিস্তানের নিমরুজ প্রদেশের কৃষকদের অনুরোধে ছাড়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বাঁধের মুখ খুলে দেয়া হয় এবং সেখান থেকে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশের হামুন হ্রদের দিকে পানি এগিয়ে চলেছে।

সিস্তান বালুচিস্তান প্রদেশের গভর্নর হোসেইন মোদাররেস খিয়াবানি জানিয়েছেন, দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে কামাল খান বাঁধের পানি ইরানের ভূখণ্ডে এসে পৌঁছাবে। তিনি বলেন, কামাল খান বাঁধের পানি ইরানকে লক্ষ্য করেই ছাড়া হয়েছে এবং এ ব্যাপারে আফগানিস্তানে নিযুক্ত ইরানি প্রেসিডেন্টের বিশেষ প্রতিনিধি, ইরানের জ্বালানি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আফগানিস্তানের স্থানীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার পর এই বাঁধ খোলা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত জ্বালানি ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ মানসুর এক ভিডিওবার্তায় বলেছিলেন, কামাল খান বাঁধের পানি আফগানিস্তানের নিমরুজ প্রদেশের কৃষকদের অনুরোধে ছাড়া হয়েছে। পাঁচ দশক আগে ইরানের সাথে সই হওয়া চুক্তির আওতায় তেহরানকে হিস্যা দিতে এই পানি ছাড়া হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।

কামাল খান বাঁধের পানি ছাড়ার পদক্ষেপকে ইরানি প্রেসিডেন্টের আফগান বিষয়ক বিশেষ দূত হাসান কাজেমি কোমি স্বাগত জানিয়ে বলেন, ইরান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে সম্প্রতি যে চুক্তি সই হয়েছে তার আলোকে তালেবান সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে ইরান সফর করেন এবং সে সময় বেশ কয়েকটি চুক্তি সই হয়।

১৯৭৩ সালে ইরান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে নদীর পানিবণ্টন প্রশ্নে একটি চুক্তি হয়। ওই চুক্তির আওতায় ইরান প্রতিবছর ৮০ কোটি ঘনমিটার পানি পাবে। কিন্তু আফগানিস্তানে মার্কিন দখলদারিত্বের পর দেশটির সরকারগুলো ইরানের ন্যায্য হিস্যা দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং কামাল খান বাঁধের মুখ বন্ধ করে দেয়। এর ফলে ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশ মারাত্মকভাবে পানি সংকটের মুখে পড়ে এবং হামুন হ্রদ শুকিয়ে অনেকটা মরুভূমিতে পরিণত হয়। ইরানে হিরমান্দ নামে পরিচিত হলেও আফগানিস্তানে এ নদীকে হেলমান্দ নদী বলা হয়।

সূত্র : পার্সটুডে


আরো সংবাদ



premium cement
পরকীয়া প্রেমিক যুগলের গলায় জুতার মালা : চেয়ারম্যান বরখাস্ত সমাবেশে যোগ দিতে নয়াপল্টনে জড়ো হচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা রংপুরে রেয়াত পদ্ধতি চালুসহ ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন নতুন কোচের সন্ধানে বিসিসিআই, তাহলে কি দ্রাবিড়ের বিদায়! থাইল্যান্ডে এ বছর হিটস্ট্রোকে ৬১ জন প্রাণ হারিয়েছে : সরকার নির্বাচন শেষ হলে আরো সত্য ঘটনা সামনে আসবে, ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে শাহজাহান রাণীনগরে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেফতার ৪ যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়ে চট্টগ্রামে জরুরি অবতরণ, প্রাণে বাঁচলেন ৭ ক্রুসহ ১৯১ যাত্রী ভূরুঙ্গামারীতে ভটভটিতে উঠতে গিয়ে শিশু নিহত প্রতিটি মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করতে সরকার কাজ করছে : প্রধানমন্ত্রী দুমকীতে হত্যা মামলার আসামি বাবা-ছেলে গ্রেফতার

সকল