৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


স্বায়ত্তশাসন বিলোপ বার্ষিকী

কাশ্মিরী ব্যবসায়ীদের হরতাল পালনে ভারতীয় পুলিশের হুশিয়ারী

কাশ্মিরী ব্যবসায়ীদের দোকানপাট খোলাচ্ছে ভারতীয় পুলিশ - ছবি : দ্য ওয়্যার

ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মিরে হরতাল পালনে ব্যবসায়ীদের হুশিয়ারী দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার উপত্যকাটির স্বতন্ত্র স্বায়ত্তশাসনে ভারতীয় সংবিধানের ধারা বিলোপের মাধ্যমে অঞ্চলটিকে কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে পরিণত করার দুই বছর পূরণে এই হরতাল ডাকা হয়েছিল।

বুধবার কাশ্মিরী সংবাদমাধ্যমগুলোতে জানানো হয়, রাজধানী শ্রিনগরের পুলিশ স্থানীয় ব্যবসায়ী ডেকে নিয়ে বৃহস্পতিবার দোকানপাট খোলা রাখার জন্য বলে।

খবরে ব্যবসায়ীদের বরাত দিয়ে বলা হয়, পুলিশ তাদের জানায়, তারা আসুন বা না আসুন, বৃহস্পতিবার তাদের অবশ্যই দোকান খোলা রাখতে হবে।

অপরদিকে সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা তাদের ডেকে পাঠিয়ে বলতে চেয়েছি, কোনো প্রকার হরতাল আমরা চাই না। সব মানুষকে স্বাভাবিকতার দিকে যেতে হবে... ৫ আগস্ট, ১৩ জুলাই বা অন্য কোনো বার্ষিকী হোক তা পালন করা যাবে না।'

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে কাশ্মিরী এক ব্যবসায়ী বলেন, 'পুলিশ বুধবার আমাদের বাজারের সভাপতি বলে, বৃহস্পতিবার দোকান খোলা রাখতে হবে। যদি কেউ তা করতে ব্যর্থ হয়, তবে সে তার পরিস্থিতির জন্য দায়ী থাকবে।'

এর আগে বুধবার এক টুইট বার্তায় কাশ্মিরে ভারতের নিয়ন্ত্রণবিরোধী আন্দোলনের নেতা সৈয়দ আলী গিলানি কাশ্মিরীদের প্রতি দুই বছর আগে ভারতের 'আগ্রাসী, অবৈধ ও অনৈতিক' পদক্ষেপের প্রতিবাদে হরতালের আহ্বান জানান।

একইসাথে ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে হরতাল পালনের আহ্বান জানান গিলানি।

২০১৯ সালের আগস্টে ভারতের কেন্দ্রীয় আইন পরিষদ লোকসভার এক অধিবেশনে কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা সংশ্লিষ্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করা হয় এবং জম্মু ও কাশ্মিরের স্বতন্ত্র রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়। ওই সময় পুরো উপত্যকাকে জম্মু-কাশ্মির ও লাদাখ নামে কেন্দ্রীয় শাসনের অধীন দুইটি পৃথক অঞ্চলে ভাগ করা হয়।

১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মির নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। উভয়দেশই পুরো ভূখণ্ডটি নিজেদের দাবি করছে। ভূখণ্ডটির অধিকার নিয়ে দুই বার যুদ্ধে জড়িয়েছে উভয়দেশ।

কাশ্মিরের অনেক বাসিন্দাই পাকিস্তানে সাথে যুক্ত হওয়া বা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সমর্থন করে আসছেন। নয়াদিল্লি কাশ্মিরীদের এই মনোভাব ও সংশ্লিষ্ট তৎপরতাকে পাকিস্তানের সমর্থনপুষ্ট সন্ত্রাস হিসেবে বর্ণনা করে আসছে। অন্যদিকে পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

পাকিস্তান, ভারত ও স্থানীয় কাশ্মিরীদের এই লড়াইয়ে সরকারি বাহিনীর সদস্য ও বিচ্ছিন্নতাকামী বিদ্রোহীসহ হাজার হাজার সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে।

সূত্র : টিআরটি ওয়ার্ল্ড


আরো সংবাদ



premium cement