আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক বাহিনী মোতায়েন বহাল রাখার পরিকল্পনা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাদের দাবি, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এটি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়াশিংটন পোস্টে এ সপ্তাহে দেয়া একটি সাাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছিল, কেন ওয়াশিংটন ১৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে আফগানিস্তানে সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছিল? ট্রাম্প উত্তরে বলেন, ‘আমাদের সেখানে থাকার কারণ সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ মতামত জেনেছি। আমি বলতে চাই, আমরা যদি সেখানে না যাই, তাহলে অন্যরা সেখানে যুদ্ধ করতে যাবেন। আমি অসংখ্যবার এ কথা শুনেছি। ’
তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র সক্রিয়ভাবে শান্তিপ্রক্রিয়া অনুসরণ করছে, তালেবান ও অন্যদের সাথে যুদ্ধের সম্ভাব্য অবসানের প্রচেষ্টায়ও যুক্ত রয়েছে তার দেশ। তিনি স্বীকার করেন যে, তার প্রশাসন তালেবান বিদ্রোহীদের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ওখানে তালেবানদের সাথে শান্তি নিয়ে কথা বলছি।’ এ বছরের প্রথম দিকে শুরু হওয়া এ আলোচনায় প্রথম স্বীকার করেন প্রেসিডেন্ট; এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কাতারের দোহায় তালেবান প্রতিনিধিদের সাথে তিনবার মুখোমুখি আলোচনা করেছেন এবং এ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
ট্রাম্প শান্তিপূর্ণ সমাধান পৌঁছার জন্য কোনো সময়সূচির প্রস্তাব দেননি, কিন্তু স্বীকার করেছেন যে, সব পই এখন এই যুদ্ধ শেষ করতে চায়। ‘তারা এত বছর পরে যুদ্ধের সমাপ্তি দেখতে চায় এবং আমরা দেখব কী ঘটে। কী ঘটতে যাচ্ছে তা এখন বললে একটুখানি তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।’ ট্রাম্প আরো বলেন, ‘আফগানিস্তানে সেরা যোদ্ধাদের কিছু যোদ্ধা মোতায়েন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং শান্তির পথে চলতে তাদের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেছিল।’ ওয়াশিংটন পোস্ট উল্লেখ করেছে যে, প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্প যুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন এবং আফগানিস্তান থেকে বেরিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধি করেছেন। মঙ্গলবার গজনিতে তিন মার্কিন সেনাসদস্যের মৃত্যুর পর সাক্ষাৎকারটি রেকর্ড করা হয়েছিল। ট্রাম্প সৈন্যদেরকে অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দিয়ে সঠিক সময়ে তাদের সাথে সাাতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
এ বছরের শুরু থেকে আফগানিস্তানে ১৩ আমেরিকান সৈন্য নিহত হয়েছে। ১৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষে ২৪ শতাধিক মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়েছে। হাজার হাজার আফগান নাগরিকও যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এ যুদ্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় হয়েছে হাজার হাজার কোটি কোটি ডলার! কিন্তু তারা এত দিনে জয়ের কাছেও পৌঁছতে পারেনি।
বিমান হামলায় ২৩ বেসামরিক লোক নিহত
সিনহুয়া জানায়, আফগানিস্তানের দণিাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশে মঙ্গলবার এক বিমান হামলায় ২৩ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও তিন শিশু আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে কমপে ১০ শিশু ও আট নারী রয়েছে। গতকাল শুক্রবার দেশটির জাতিসঙ্ঘ মিশন একথা জানায়। ইউএনএএমএ’র এক বিবৃতিতে বলা হয়, আফগানিস্তানে অবস্থিত জাতিসঙ্ঘ মিশনের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, হেলমান্দ প্রদেশের গর্মজার জেলায় মঙ্গলবার তালেবানের বিরুদ্ধে সরকার বাহিনীর বিমান হামলায় ২৩ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে। এর আগে এ অভিযানে ১২ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিকের প্রাণ হারানোর কথা বলা হয়েছিল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা