২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কোল্ড স্টার্ট : ভয়ঙ্কর রণকৌশল!

কোল্ড স্টার্ট : ভয়ঙ্কর রণকৌশল! - ছবি : সংগৃহীত

পাক-ভারত সম্পর্ক বরাবরই উত্তেজনাপূর্ণ। তবে ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধ ও ২০০১ সালে ভারতের পার্লামেন্টে সন্ত্রাসী হামলায় এ দু’টি দেশের সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটে। তবে পরমাণু অস্ত্রে সজ্জিত হওয়ায় একে অপরকে সমীহ করে চলে। যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণের আগে দু’টি দেশ পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা মাথায় রাখে। চিরশত্রু হওয়ায় তারা একে অন্যের ধ্বংস কামনা করে। ভারত ইতোমধ্যে পাকিস্তানকে পরমাণু হামলা চালানোর সুযোগ না দিয়ে কয়েক দিনের মধ্যে পশ্চিম সীমান্তে দ্রতগতিতে সৈন্য সমাবেশে ‘কোল্ড স্টার্ট’ নামে একটি সামরিক ডকট্রিন বা রণকৌশল গ্রহণ করেছে। ন্যাটোর কাছ থেকে ভারত এ ধারণা লাভ করেছে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন শাখার সমন্বয়ে একটি সম্মিলিত ব্যাটল গ্রুপ এ হামলা পরিচালনা করবে। ভারত দীর্ঘ দিন ধরে কোল্ড স্টার্টের অস্তিত্ব অস্বীকার করে আসছে। অবশেষে ২০০৪ সালের ২৮ এপ্রিল এ রণকৌশলের অস্তিত্ব স্বীকার করে। 

১৯৬৭ সালে ছয় দিনব্যাপী আরব-ইসরাইল যুদ্ধ ও ১৯৭১ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের অভিজ্ঞতার আলোকে ভারতের প্রতিরক্ষা পরিকল্পনাকারীরা এ নয়া প্রতিরক্ষা কৌশল উদ্ভাবন করেছেন। কোল্ড স্টার্ট রণকৌশলের আওতায় নির্দেশ জারি করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আক্রমণাত্মক তৎপরতা চালানো হবে। বিমানবাহিনী ও পদাতিকবাহিনীর সহায়তায় ভারতের সাঁজোয়া বহর তড়িৎগতিতে শত্রু ভূখণ্ডে ঢুকে পড়বে। ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনী তাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান বাহিনীর ওপর আকস্মিকভাবে হামলা চালাবে। পাঞ্জাব ও রাজস্থানের অগ্রবর্তী অবস্থান থেকে সাঁজোয়াবাহিনী আক্রমণে নেতৃত্ব দেবে। এ পরিকল্পনায় গতি ও ব্যাপক গোলাবারুদ, সাঁজোয়া বহর ও পদাতিকবাহিনীর সহযোগিতার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। এ সম্মিলিত ব্যাটল গ্রুপ পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলে প্রবেশ করবে। পরিকল্পনায় বিমানবাহিনীর পর্যাপ্ত সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

বেশ কয়েক বছর আগে আগ্রাসী রণকৌশল- কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিন গ্রহণ করা হলেও ভারত সরকার কিংবা সে দেশের সশস্ত্রবাহিনী কখনো তা স্বীকার করেনি। ২০০৪ সালের ১৮ এপ্রিল সেনা সদর দফতরে এক সম্মেলনে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নয়া ডকট্রিন প্রকাশ করে। কয়েক দশক ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনী একটি নয়া কৌশল গ্রহণের কথা চিন্তাভাবনা করছিল। ১৯৯৯ সালে কারগিল যুদ্ধ এ প্রয়োজনীয়তাকে জোরদার করে তোলে। ২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারি জেনারেল বিপিন রাওয়াত ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের সময় এ রণকৌশলের অস্তিত্ব স্বীকার করেন।

সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্দেজের ভাষায়- ১৯৪৭ সাল থেকে ভারতের প্রতিরক্ষা রণকৌশল ছিল ‘অনাক্রমণাত্মক’ এবং অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা। ‘হোল্ডিং কোরের’ (প্রতিরক্ষামূলক কোর) ওপর নির্ভর করে বৈরী শক্তির অগ্রযাত্রা রোধ করা ছিল ভারতের ইতঃপূর্বের রণকৌশল। কোল্ড স্টার্ট হচ্ছে- ১৯৪৭ সালের পরবর্তীকালে অনুসৃত রণকৌশল থেকে একটি বিচ্যুতি। ভারতের সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কৃষ্ণস্বামী সুন্দরজি হলেন ‘হোল্ডিং কোর’ প্রতিরক্ষা কৌশলের উদ্ভাবক।

তিনি সাতটি কোরকে পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন রাখার এ কৌশল প্রণয়ন করেন। পাকিস্তানের অগ্রযাত্রা প্রতিহত করা ছিল ‘হোল্ডিং কোর’-এর প্রাথমিক দায়িত্ব। স্ট্রাইক কোর হচ্ছে- ভারতের আক্রমণাত্মক সামর্থ্যরে উৎস। যান্ত্রিক পদাতিক ও ব্যাপক গোলন্দাজ সহায়তা নিয়ে তিনটি স্ট্রাইক কোর গঠন করা হয়। ভারত দাবি করছিল, সীমান্তের কাছাকাছি স্ট্রাইক কোর মোতায়েন করা হয়েছিল। ২০০২ সালে অপারেশন পরাক্রম পরিচালনার সময় জেনারেল সুন্দরজির রণকৌশলের সীমাবদ্ধতা ধরা পড়ে। ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর পাঁচজন মুখোশধারী ভারতের পার্লামেন্ট ভবনে হামলা চালালে তারা হামলাকারীরাসহ ১২ জন নিহত ও ২২ জন আহত হয়। ভারত বরাবরই পাকিস্তানকে তাদের বিরুদ্ধে প্রক্সি ওয়ার বা ছায়াযুদ্ধ পরিচালনা করার জন্য দোষারোপ করছে। ভারতের পার্লামেন্ট ভবনে হামলার জন্য কাশ্মিরি মুজাহিদদের সন্দেহ করা হয়। কেননা, মাত্র দু’মাস আগে জয়েশ-ই-মোহাম্মদ কাশ্মিরের রাজ্যসভায় হামলা করে। ভারত নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পায়, জয়েশ-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তৈয়বা এ হামলা চালিয়েছে। অনুরূপ তথ্য পেয়ে দেশটি ‘অপারেশন পরাক্রম’ পরিচালনা করে।

২০০২ সালে ‘অপারেশন পরাক্রম’ পরিচালনা করার সময় পাকিস্তান সীমান্তে সৈন্য সমাবেশে ভারতের অন্তত দু’মাস লেগে যাওয়ায় বিদ্যমান রণকৌশল পরিবর্তন করে কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিন গ্রহণ করা হয়। অপারেশন পরাক্রমে সৈন্য মোতায়েনে বিলম্ব হওয়ায় প্রতিশোধমূলক হামলা থেকে বিরত থাকতে ভারতের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আসে। ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ভারতের পার্লামেন্ট ভবনে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হলে ভারত ও পাকিস্তান যুুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়। দু’দেশের চরম উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে ভারত এ আগ্রাসী সামরিক মহড়া চালায়। এ রণকৌশলের লক্ষ্য ছিল, ভারতীয় সৈন্যদের বিরামহীন হামলার সুযোগ দেয়া এবং পাকিস্তানের প্রতিশোধমূলক পরমাণু হামলা প্রতিরোধ করা। ২০০১ সালে ডিসেম্বরের শেষ দিকে উভয় দেশ তাদের নিজ নিজ সীমান্তের কাছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে এবং কাশ্মির সীমান্তে মর্টার ও কামানের গোলাবিনিময় করে। 

ভারতের সামরিক বিশ্লেষকেরা এ উপসংহারে উপনীত হন, জেনারেল সুন্দরজির প্রতিরক্ষা কৌশল ক্রটিপূর্ণ। তিনটি কারণে এ প্রতিরক্ষা কৌশলকে সন্ত্রাসবাদী হামলা অথবা অন্য পরোক্ষ চ্যালেঞ্জের জবাব দানে অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। : (১) স্ট্রাইক কোর আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে অনেক দূরে অবস্থান করায় যথাসময়ে মোতায়েন করা ছিল দুুরূহ। (২) স্ট্রাইক কোর মোতায়েনে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হওয়ায় তড়িৎ হামলা চালানো সম্ভব ছিল না, ততক্ষণে পাকিস্তান পাল্টা সৈন্য সমাবেশে পর্যাপ্ত সময় পেয়ে যেতো। (৩) আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর আক্রমণাত্মক তৎপরতা চালানোর ঘাটতি থাকায় হোল্ডিং কোর উল্লেখযোগ্য মাত্রায় সামরিক তৎপরতা চালাতে পারেনি। 

ভারত বরাবরই কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিনের অস্তিত্ব অস্বীকার করে এসেছে। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাথে সাক্ষাৎকারে ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল ভি কে সিং বলেন, কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিন বলতে কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই। সার্র্বিক কৌশলের অংশ হিসেবে আমাদের কয়েকটি জরুরি পরিকল্পনা ও বিকল্প ব্যবস্থা আছে। তবে তিনি প্রো-অ্যাক্টিভ স্ট্যাটেজির অস্তিত্ব স্বীকার করে পরোক্ষভাবে কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিনের অস্তিত্ব স্বীকার করে নেন। ভারতের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী যশোবন্ত সিনহা এ ধরনের আক্রমণাত্মক রণকৌশলের অস্তিত্ব অস্বীকার করে বলেন, কোনো ধরনের কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিনের অস্তিত্ব নেই। সাবেক সেনাপ্রধান ব্যক্তিগতভাবে এ কথা বলেছেন। আমি দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এমন কিছু থাকলে আমি জানতাম।

ভারত অস্বীকার করলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতীয় সেনাবাহিনী রাজস্থানে দ্বিতীয় কয়েকটি সামরিক মহড়া চালায়। ২০১১ সালের মে মাসে পাকিস্তান সীমান্তের কাছে বিকানার ও সুরতগড়ে ভারত ‘অপারেশন বিজয় বাবা’ সাঙ্কেতিক নামে একটি সামরিক মহড়া চালায়। এ মহড়ায় ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন শাখার ৫০ হাজার সৈন্য অংশগ্রহণ করে। মহড়ার মূল লক্ষ্য ছিলÑ সৈন্য সমাবেশে উল্লেখযোগ্যভাবে দীর্ঘসূত্রতা হ্রাস। ২০০২ সালে অপারেশন পরাক্রমে সৈন্য সমাবেশে সময় লেগেছিল ২৭ দিন। অপারেশন বিজয় বাবায় সৈন্য সমাবেশে সময় লাগে মাত্র ৪৮ ঘণ্টা। ২০১১ সালের জুলাইয়ে ভারত দেড় শ’ কিলোমিটার পাল্লার টেকটিক্যাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘প্রহার’-এর পরীক্ষা চালায়। পাকিস্তানের সাথে সম্ভাব্য যুদ্ধে অগ্রসরমান ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্যাটল গ্রুপগুলোকে প্রচলিত গোলাবারুদের ছত্রছায়া প্রদানে এ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। একই বছরের শেষ দিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের কোল্ড স্টার্ট রণকৌশলের প্রমাণ দিতে সাউদার্ন কমান্ড হেডকোর্য়ার্টারের অধীনে ‘অপারেশন সুদর্শন শক্তি’ সাঙ্কেতিক নামে দু’দশকের মধ্যে বৃহত্তম সামরিক মহড়া পরিচালনা করে। অপারেশন সুদর্শন শক্তিতে স্থল ও বিমানবাহিনীর কার্যক্রমে সমন্বয়ের ওপর আলোকপাত করা হয়।

আনুমানিক ৬০ হাজার সৈন্য ও রাশিয়ায় তৈরি টি-৭২ ও টি-৯০ এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি অর্জুন ট্যাঙ্কসহ ৫০০ সাঁজোয়া যান তাদের লক্ষ্যস্থলে আঘাত হানে। মহড়ায় গোলন্দাজবাহিনী সহায়তা দেয়। সামরিকবাহিনী চালকবিহীন সদ্যপ্রাপ্ত গোয়েন্দা বিমান ও প্রিসিশন গাইডেড বোমাও ব্যবহার করে।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কোর কমান্ডার সম্মেলনে ভারতের কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিনের কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। পাকিস্তানি প্রচারমাধ্যম ও জেনারেলরা এ রণকৌশলের সমালোচনা করেন। তারা দাবি করছেন, প্রতিশোধমূলক পরমাণু হামলার সুযোগ না দিয়ে সীমিত পরিসরে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকে শাস্তিদান এ রণকৌশলের লক্ষ্য হলেও ভারতীয় সেনাবাহিনী নিশ্চিত হতে পারছে না, যে পাকিস্তানি নেতৃত্ব প্রতিশোধমূলক পরমাণু হামলা থেকে বিরত থাকবেন। ভারতের আগ্রাসী রণকৌশলের জবাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল তারিক মজিদ ২০১০ সালকে প্রশিক্ষণের বছর হিসেবে ঘোষণা করেন এবং দেশটি আজম-ই-নাউ সাঙ্কেতিক নামে একটি বৃহত্তম যৌথ সামরিক মহড়া চালায়। এ ছাড়া পাকিস্তান সামরিকবাহিনী পরমাণু বোমাবহনে সক্ষম ‘নসর’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে। এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ইঙ্গিত দিচ্ছে, পাকিস্তান কোল্ড স্টার্টকে একটি হুমকি হিসেবে দেখছে ও এ ক্ষেপণাস্ত্রকে কোল্ড স্টার্ট প্রতিহত করার একটি অস্ত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে। 

পাকিস্তান বিমানবাহিনী, ভারতীয় বিমানবাহিনীর তৎপরতা ও সৈন্যসমাবেশ সম্পর্কে যথাসময়ে তথ্য প্রদানে সক্ষম। পাকিস্তানে বিমান প্রতিরক্ষা কমান্ড দু’টি। একটি হচ্ছে- বিমানবাহিনীর প্রতিরক্ষা কমান্ড ও আরেকটি- সেনাবাহিনীর বিমানপ্রতিরক্ষা কমান্ড। পাকিস্তানের আকাশ রক্ষা করা হচ্ছে বিমানবাহিনীর প্রতিরক্ষা কমান্ডের দায়িত্ব এবং সেনাবাহিনীর নির্দিষ্ট স্থাপনাগুলো রক্ষা করা হচ্ছে সেনাবাহিনীর বিমানপ্রতিরক্ষা কমান্ডের দায়িত্ব।

বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কোল্ড স্টার্ট রণকৌশল গ্রহণ করে ভারত আগের থেকে বেশি লাভবান হয়নি। এ রণকৌশল জেনারেল সুন্দরজির উদ্ভাবিত হোল্ডিং কোর প্রতিরক্ষা কৌশলের মতো স্থবির। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর কোল্ড স্টার্ট রণকৌশলের দুর্বল ভবিষ্যৎ স্পষ্ট হয়ে যায়। যেকোনো সন্ত্রাসী হামলার জবাবে পাকিস্তানে পাল্টা হামলা চালানো কোল্ড স্টার্টের লক্ষ্য হলেও ভারত সেই লক্ষ্যের ধারেকাছে যেতে পারেনি।


আরো সংবাদ



premium cement
দেশ থেকে আইনের শাসন উধাও হয়ে গেছে : মির্জা ফখরুল রুশ অগ্রযাত্রার মধ্যেই ভারী হামলা প্রতিহত করল ইউক্রেন কাতার ছাড়তে হলে হামাসের পরবর্তী গন্তব্য কোথায় বগুড়ায় বসতবাড়িতে পটকা তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণ, আহত ৪ নগরকান্দায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অগ্নিকাণ্ড মঙ্গলবারও ঢাকাসহ ২৭ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নাটোরে গণধর্ষণের দায়ে তিন কিশোরকে ১০ বছরের আটকাদেশ ঘাটাইলে সংরক্ষিত বনে দুর্বৃত্তের আগুন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জন্মদিন ও পতাকা অবমাননা মামলার শুনানি ২১ জুলাই ভালুকায় প্রচণ্ড তাপদাহে ২ শিক্ষার্থী অসুস্থ গাজীপুরে অপহরণের পর স্কুলছাত্রকে হত্যার দায়ে সাতজনের যাবজ্জীবন

সকল