কার হাতে কতটি পরমাণু বোমা রয়েছে? হিসাবটি অনেকবারই করা হয়েছে। নতুন করে হিসাবটি সামনে এসেছে আবার।
সোমবার স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান বা সিপ্রি এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে তারা জানিয়েছে, পাকিস্তানের হাতে পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার ভারতের চেয়ে খানিক বেশি। পাকিস্তানের হাতে রয়েছে ১৪০-১৫০টি পরমাণু বহনকারী ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। যাকে প্রতিরক্ষার ভাষায় বলা হয় ‘ওয়ারহেড’। আর ভারতে হাতে এই ধরনের ‘ওয়ারহেড’ রয়েছে ১৩০-১৪০টি। ১০টির মতো ‘ওয়ারহেড’ বেশি আছে পাকিস্তান। তবে তা দিয়ে যুদ্ধের নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নাও হতে পারে।
বিশ্বের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে গবেষণায় সিপ্রি তাদের সর্বশেষ পর্যবেক্ষণের তথ্য ওই রিপোর্টে তুলে ধরেছে। সেখানে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেশি ‘ওয়ারহেড’ রয়েছে চীনের। সংখ্যাটা প্রায় ২৮০। আর রাশিয়া এবং আমেরিকা মোট ‘ওয়ারহেড’-এর ৯২ শতাংশ দখল করে রেখেছে। আমেরিকার হাতে রয়েছে ৬ হাজার ৪৫০টি ‘ওয়ারহেড’। রাশিয়ার হাতে ৬ হাজার ৮৫০টি। বাকি সাতটি পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে ফ্রান্স। তাদের হাতে রয়েছে ৩০০টি। তারপরই স্থান চীনের। পাকিস্তানের ‘মিত্রশক্তি’ হিসেবে পরিচিত এই দেশটির হাতে রয়েছে ২৮০টি ‘ওয়ারহেড’।
এছাড়া ইসরাইলের ৮০টি এবং উত্তর কোরিয়ার ১০-২০টি ‘ওয়ারহেড’ রয়েছে। সিপ্রি’র রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের শুরুতে গোটা বিশ্বের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডারে মোট ১৪ হাজার ৯৩৫টি ‘ওয়ারহেড’ ছিল। ২০১৮ সালের শুরুতে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৪৬৫টি’তে। তবে এখন পর্যন্ত প্রকৃতপক্ষে সব মিলিয়ে তিন হাজার ৭৫০টি ‘ওয়ারহেড’-এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয়েছে। আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে নিয়ন্ত্রণ চুক্তির ফলে ‘ওয়ারহেড’-এর সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে বলেও মনে করছে সিপ্রি। পাশাপাশি, পরমাণু শক্তিধর দেশগুলো তাদের অস্ত্রভাণ্ডারের আধুনিকীকরণ প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ায় পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের মূল লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সিপ্রি’র গবেষক তথা অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিভাগের অধিকর্তা শ্যানন কাইল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা