২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সরকারের হাঁটু কাঁপছে কি

-

আমাদের রাজনীতিকরা সব সময়ই নিজেদের স্বার্থকে জনগণের নামে চালিয়ে দেন। এটিই হয়তো রাজনৈতিক রীতি বা তাদের রাজনৈতিক খেলার পদ্ধতি। একে আমরা খেলা বলতে চাই না, কিন্তু প্রতিশব্দের অভাবে শব্দটি লিখতে হলো।

ভোটার জনগণ পরপর দু’টি জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি, এই অভিযোগ অনেকখানি সত্য। কিন্তু ক্ষমতাসীন সরকার ও দল আওয়ামী লীগ সেই সত্য মানতে রাজি নয়। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল ভোটার জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলন করছে। তাদের দাবি, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাবে না। তারা যদি নির্বাচনে না আসে তাহলে সরকারের কোনো ক্ষতি নেই... এমনটিই ভাবা হচ্ছে। কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে না এলে, সরকারি দলের সমূহ ক্ষতি। কারণ বিএনপিবিহীন নির্বাচন জাতীয়ভাবে ও আন্তর্জাতিক সমাজে গ্রহণযোগ্য হবে না। এ কারণেই নিজেদের স্বার্থে সরকারি দল চাইছে বিএনপি যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, সেই চেষ্টা তারা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু এ প্রশ্নে বিএনপি অনড় যে, সরকারি দলের অধীনে দু’বার জাতীয় নির্বাচন হয়েছে, যা ইতিহাসে বিরল। রিগিং শব্দটিও সেখানে লজ্জায় মাথা নত করে আছে।

২.
জনগণের ভোটারাধিকার যাতে প্রয়োগের সুযোগ করা হয়, তার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিছু শর্ত আরোপ করেছে বাংলাদেশের রাজনীতিকদের ওপর। যারা নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করবে, সেই সব চিহ্নিত লোকদের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এর প্রতিক্রিয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বললেন, পৃথিবীতে আরো দেশ আছে, আমরা সেখানে যাব। যারা স্যাংশন দেয় তাদের পণ্য কিনব না।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়াই প্রমাণ করে, মার্কিনি ভিসানীতি কাদের উদ্দেশে করা হয়েছে। আর এটিও স্পষ্ট হয়েছে যে, তিনি ও তার দলই গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মৌলিক মানবাধিকারগুলো ক্ষুণ্ণ করছে। র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাতজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেয়া স্যাংশন কেন প্রধানমন্ত্রী নিজের সরকারের ওপর টেনে নিচ্ছেন? তাহলে কি তিনিই ওই সব আইন-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিলেন? যদিও আমরা সেটি মনে করি না। তবে, তিনি নিজেই যখন প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এমন অনড় ঘোষণা দিলেন, তাতেই বিষয়টি মূর্ত হয়ে উঠেছে। বিএনপি বলেছে, সরকারের হাঁটু কাঁপা শুরু হয়েছে।

৩.
দিন কয়েক আগে, প্রশাসনের তিনজন সচিব একজন মন্ত্রীর রুমে মিলিত হয়ে মাত্র তিন ঘণ্টা কাটিয়েছেন। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে প্রশাসনে রদবদল ও পুনর্বিন্যাসের যে তোড়জোড় শুরু হয়েছে, সেই লক্ষ্যে তারা বর্তমান সরকারের কোন রাজনৈতিক ইচ্ছার প্রতিধ্বনিতে আসক্ত। আওয়ামী লীগ সরকারকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার লক্ষ্যে তাদের নিজস্ব আশা আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন করতে নিজেদের লোকদের বাছাই করে নিচ্ছেন যারা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি হবেন এবং বিভাগীয় কমিশনার, জেলাপ্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনে ভিত শক্তপোক্ত করতে এই নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে। প্রশাসনে তো বিরোধীদলীয় কোনো সদস্য চাকরিতে নেই, যারা ম খা আলমগীরের মতো বিদ্রোহী জনতার মঞ্চ তৈরি করে আওয়ামী শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। এমনকি কর্মচারীদের সংগঠনের বিভিন্ন নেতাও যাতে সরকারের বিরুদ্ধে যেতে না পারে, তার কর্মকৌশল সৃজন করা হয়েছে। সেখানেও ভোট দেয়ার রাজনীতি চলছে। সব মিলিয়ে নির্বাচনে সরকারের জয় নিশ্চিত হওয়ার মতো পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তারা একধাপ এগিয়ে গেছে। এখন অপেক্ষা, আগামী নির্বাচনটি যাতে সংবিধানের অধীনেই এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে হয়। ছককাটা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তারা পুনরায় ক্ষমতায় যেতে চাইবেই। তাতে গণতন্ত্র থাক বা না থাক, তাতে ক্ষমতার কোনো হেরফের হবে না। ভোটার জনগণ ভোট দিতে পারুক বা না পারুক, তাতে তাদের কোনো রাজনৈতিক সঙ্কট নেই বলেই মনে করে। ছলে-বলে-কলে-কৌশলে ক্ষমতায় বসে থাকাই তাদের লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি বা তারা বিদেশীদের কাছে তদবিরে বিশ্বাস করে না, যা বিএনপি করে। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম মোমেন দিল্লিতে গিয়ে তদবির করে এসেছেন যে, নরেন্দ্র মোদি যেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো চাপ না দেয়ার জন্য বলে দেন। এটি নিশ্চয়ই তদবির নয়।

৪.
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন ২১ জুন। তিনি ২২ জুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে বৈঠক করেছেন। একজন ভারতীয় সাংবাদিকের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে যে, মোদি বাইডেনের সাথে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা স্থগিত রাখার আহ্বান জানাবেন বা ইতোমধ্যেই সে দায়িত্বটি তিনি পালন করে ফেলেছেন। কেন না, নরেন্দ্র মোদি চান বাংলাদেশে হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকুক। বোধ করি, গত মাসেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সাথে মিলিত হয়েছিলেন দিল্লিতে। সেখানে তিনি বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা যাতে ক্ষমতায় আসতে পারেন আবারো সেই তদবির করে এসেছেন। এর আগেও তিনি এই রকম তদবির করে এসেছিলেন। ব্রাজিল, রাশিয়া, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার সমিতি ব্রিকসে যোগদানের ইচ্ছাপোষণ করে এসেছেন শেখ হাসিনা। আগামী আগস্টে ওই সমিতিতে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। বড় ও শক্তিশালী দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশ যোগ দিলে, এটি সহজেই অনুমান করা যায় যে, নতুন এই উদ্যোগে বাংলাদেশ ভূরাজনীতির এক মারাত্মক অংশীজন হয়ে উঠবে। কারণ চীন ও ভারত এই সমিতির সদস্য হলেও তারা পরস্পরের স্বার্থের প্রশ্নে বৈরী। আবার চীন ও রাশিয়া এখন নতুন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জোটে পরিণত হয়েছে বলেই ধারণা করা যাচ্ছে। ইউক্রেন আগ্রাসনে রাশিয়ার পাশে চীনের সমর্থন দেশটিকে মার্কিনি স্যাংশন থেকে অনেকটাই রক্ষা করেছে। ডলারের বিরুদ্ধে একটি বড় অর্থ ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা হচ্ছে, এটি সবারই জানা। ভারতের অবস্থান রাশিয়ার পক্ষে হলেও নরেন্দ্র মোদি স্ট্র্যাটেজিক প্রশ্নে বাইডেনের কাছে কিছু বিশেষ সুযোগ-সুবিধা আদায়ের চুক্তি করতে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে ভারত দ্বিমুখী কূটনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে পড়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে কতটা ওকালতি করতে পারবেন, আদৌ করবেন কি না, সেটি বোঝার আছে। কেননা, বাংলাদেশ এখন মার্কিনি ব্যবস্থার বিপরীতে চীনের দিকে ঝুঁকে আছে। শেখ হাসিনার স্ট্যান্ডের পরপরই চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনবিন শেখ হাসিনার সরকারের পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছেন। সব রকম আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে যারা রুখে দাঁড়াবে, চীন তাদের সাথে কাজ করে যাবে। ফলে বাংলাদেশের জন্য চীনা সমর্থনকে ভারত কতটা ঝুঁকিমুক্ত হবে বলে বিবেচনা করবে, তার ওপরই নির্ভর করবে জো বাইডেনের সাথে বাংলাদেশ নিয়ে মোদির কথা হবে কি না। যারা আশা করছেন, নরেন্দ্র মোদি তার দেশের স্বার্থেই বাংলাদেশকে পক্ষে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন, তারা হতাশ হবেন কি না, তা বোঝা যাবে মার্কিনি পদক্ষেপেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি বাংলাদেশকে তার রাজনৈতিক ঘাঁটিতে পরিণত করতে পারে, সে বহুকাল ধরেই সেই চেষ্টা চালিয়ে আসছে, সেই সাফল্য দুই দিক থেকে বাংলাদেশের সমূহ বিপদ। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদার মাঝখানে পড়ে উন্নয়নশীল বাংলাদেশের রাজনীতি প্রতিবেশীর সাথে সম্পর্কের টানাপড়েন কোন স্তরে গিয়ে পৌঁছবে, তার স্বরূপ কেউ বলতে বা আঁচ করতে পারবেন না। আবার ভারতেরও চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশের ওপর। তার চাহিদার বহুমাত্রিকতাই আমাদের ভোগ করতে হচ্ছে সেই স্বাধীনতার পর থেকেই। সে কেবল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দখলদারিত্বই চায় না, এ দেশের সার্বভৌমত্বের ব্যাপারেও তাদের এলার্জি রয়েছে। তারা মনে করে, ১৯৭১ সালে তারাই বাংলাদেশকে পাকিস্তানিদের হারিয়ে দিয়ে উপহার হিসেবে দিয়েছে। আজো তারা পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে হারানোর বিষয়টিকে নিজেদের বিজয় হিসেবে উদযাপন করে থাকে। সেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বাংলার আপামর জনগণের জনযুদ্ধের ইতিহাসকে কেবল অবজ্ঞাই করা হয়নি, মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানও ভূলুণ্ঠিত করা হয়। আমরা ৯৫ শতাংশ ভূমি দখলে নেয়ার পর ৩ ডিসেম্বর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

ভারত একই সাথে দ্বিধারী তলোয়ার হয়ে আছে বাংলাদেশের জন্য। তারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনে এ দেশের এমন সব পয়েন্টে নিজেদের বিনিয়োগ করেছে, যা ভবিষ্যতে এ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসকে উল্টোভাবে বর্ণনা করা যাবে। আওয়ামী লীগ সরকার ও দলটি তাকিয়ে আছে নরেন্দ্র মোদির ওকালতির দিকে। যাতে তাদের আশা পুনরায় ক্ষমতায় যেতে পারে। তারা ভুলে গেছে, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তারা কী রকম অপকর্ম করে ক্ষমতায় গেছে। সেই ভোটডাকাতি ইতিহাসের পাতা থেকে যেমন মোছা যাবে না, তেমনি ভোটার জনগণের মন থেকেও মোছা যাবে না। সব ভোটার যাতে ভোট দিতে পারে, সেই পরিবেশ পরিস্থিতি তৈরি করার কথাই মার্কিনি ভিসানীতির ভেতর দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে। সত্য সব সময়ই স্বয়ং প্রকাশ। এই সত্য কখনোই রোখা যায় না। যে কোনোভাবেই ভুল করার ভেতর দিয়েই তা যেমন প্রকাশ পায়, তেমনি ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনার ভেতরেও তার উপাদান থেকে যায়।

৫.
যারা বলেন যে, বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল, তাই তারা গণ অভ্যুত্থান করে সরকারকে ফেলতে পারেনি। তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। ১৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির অস্তিত্ব নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার যে রাজনৈতিক অপচেষ্টা করেছে, হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জেলে পুরেছে, হত্যা-গুম করেছে শতাধিক সমর্থক এবং ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে গোটা দেশে ভয়ের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও হত্যার দুঃশাসন চালিয়েছে, তাতে করে বিএনপির অস্তিত্বই তো বিলীন হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু গত ৯ মাসের রাজনৈতিক কর্মসূচির ভেতর দিয়ে যেন ফিনিক্স পাখির মতো অগ্নিকুণ্ড থেকে পুনর্জন্ম হয়েছে দলটির। বেগম খালেদা জিয়াকে বানোয়াট মামলায় জেলে পোরা এবং তারেক রহমানকে দেশছাড়া করে আওয়ামী লীগ মনে করেছে, দলটি নেতৃত্বশূন্য করে দিলেই আর প্রতিবাদ-প্রতিরোধের কোনো রাজনৈতিক শক্তি থাকবে না। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি শাসকরা এরকম ভেবেই বঙ্গবন্ধুকে বন্দী করে নিয়ে যায়, সেই ইতিহাস কি ভুলে গেছে তারা? যে সরকার পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মতো জরুরি কাজটিই করতে ব্যর্থ হয়েছে, জনগণের নাভিশ্বাস উঠলেও সে দিকে তার কোনো খেয়াল নেই, তাদের প্রতি গণমানুষ কোনো রাজনৈতিক সহানুভূতি নেই। জনগণ তাদের দলের সদস্য নয়। তারা স্বয়ম্ভু শক্তি। কারণ তারা নিজেদের খাদ্য নিজেরাই উৎপাদন করে এবং সরকারের চাহিদাকেও পূর্ণ করে। তারা আজ ফেটে পড়ার অপেক্ষায়। কারণ তারা তাদের পেটের ক্ষুধা আর উৎপাদকের স্বার্থ নিয়ে সচেতন। তারা ভোটাধিকার হারিয়েছে এবং তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সরকার উদাসীন। তাদের সংগঠিত করবে কে? বিএনপির সেই শক্তি নেই- এই ধারণা থেকেই সরকারি দলের নানামুখী অবজ্ঞা ভোটার জনগণ বুঝতে পারছে। তৃণমূলের ৮০ শতাংশ মানুষের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক অধিকার ও তাদের কর্মক্ষেত্রের জন্য সরকার উন্নয়নের তেমন কোনো পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করছে না। তাদের মৌলিক অধিকারগুলোর কোনো নমুনাই তারা পায়নি। এমন কি বাস্তুচ্যুত গ্রামের মানুষ যারা শহরে, মহানগরে এসে বাস করছে তাদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা বলতে গেলে নেই। এই ক্ষোভ ও আশাভঙ্গের বিপরীতে সরকার কেবল গালভরা আশাবাদ শুনিয়ে যাচ্ছে। আর যা করছে তা মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন ও মেগা দুর্নীতির সদর দরজা উন্মুক্ত করা।

জনগণের ভোটারাধিকার না দেয়া হলে গণতন্ত্রের টিকিটি দেখা যাবে না। ভিনদেশী প্রভু দিয়ে কোনো কাজ হবে না।


আরো সংবাদ



premium cement