৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা

-

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় ভর্তি পরীক্ষা একটি বিরাট ঝামেলা-ঝক্কির ব্যাপার। এর ব্যাপকতা এবং তীব্রতা লক্ষ করে গণমাধ্যম ‘ভর্তিযুদ্ধ’ বলে একে অভিহিত করছে। বাস্তব ক্ষেত্রে আমার শিক্ষকতা জীবনের বিগত ৪০ বছরের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করে এটাকে ‘যুদ্ধ’বলে স্বীকার করে নিতে দ্বিধা নেই। এই যুদ্ধ প্রথম শ্রেণী থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত। রাজধানী বা অন্যত্র ভালো স্কুলে ভর্তির জন্য অভিভাবকরা এ যুদ্ধ শুরু করেন প্রাথমিক পর্যায় থেকেই। একসময় ক্যাডেট কলেজে শিক্ষক ছিলাম। সেখানে ভর্তিযুদ্ধ শুরু হয় ক্লাস সেভেন থেকে।

মানুষ গুণগত মানে উন্নত শিক্ষা চায়। সেই সাথে চায় নৈতিকতা। সুতরাং এই দু’য়ের সমন্বয়ের জন্য তারা প্রাণপাত করে বেড়ায়। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অবশ্য নীতিনৈতিকতার বালাই নেই। উচ্চশিক্ষার পেশাগত প্রয়োজন এবং উন্নত জাতি গড়ার জন্য কোনো পরিকল্পিত শিক্ষাব্যবস্থা নেই। বিএনপি সরকারের আমলে বিশ্ববিদ্যালয় মজুরি কমিশন বা ইউজিসির তত্ত্বাবধানে ‘২০ বছর মেয়াদি একটি উচ্চশিক্ষা পরিপত্র’ তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে আমাদের জাতীয় প্রয়োজন ও সম্ভাবনার নিরিখে কোনখানে কতটা বিশেষায়িত জনশক্তি দরকার, তার একটি সম্ভাব্য হিসাব-নিকাশ ছিল। এদেশে যদি পাঁচ হাজার প্রকৌশলীর প্রয়োজন হয়, তাহলে পাঁচ লাখ প্রকৌশলী বানানো বেকার সৃষ্টিরই নামান্তর। আবার কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান ও বাণিজ্যিক অনুষদের ক্ষেত্রেও তাই। লাখ লাখ এমএ পাস তরুণ কেবল বোঝাই তৈরি করবে যদি তারা পেশাগত প্রয়োজনে ব্যবহৃত না হয়। মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ার কারণে জাতি আজ শিক্ষিত বেকারত্বের প্রকট সমস্যার সম্মুখীন। ইউজিসির ওই পরিপত্রে এসবের ব্যাপারে একটি দিকনির্দেশনা ছিল। এদিকে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি অংশ সবসময় অস্থিরতা দ্বারা আক্রান্ত। তারা একটি জাতির কাক্সিক্ষত স্থিতিশীলতা বুঝতে অক্ষম। তারা সবকিছুকে ‘না’ বলে দেন। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের ফসল ওই পরিপত্রকে তারা ‘রক্ষণশীল’, ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ এবং ‘শিক্ষা সঙ্কোচনমূলক’ বলে সমালোচনা করেছিলেন। সেখানে যতটা মনে পড়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা তথা পরিকল্পিত পেশাগত শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিল।

গত কয়েক বছর ধরে স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর ভর্তি বিড়ম্বনার কারণে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তাব আলোচিত হয়ে আসছে। এইচএসসি পাসের পর শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ ভর্তির ব্যাপারে অনিশ্চিত অবস্থানে থাকে। আর অভিভাবকরা অস্থির হয়ে ওঠেন সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে। একেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে একেক সময় ভর্তি পরীক্ষা নেয়। এই পরীক্ষাগুলোর মধ্যে কোনো সমন্বয়প্রয়াস নেই। দেশের ৪৮টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৮ দিন তো বটেই, বিভিন্ন অনুষদের ভিন্নতার কারণে এই পরীক্ষা চলে কয়েক মাসব্যাপী। এর ফলে শিক্ষার্থীকে ছুটতে হয় এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। যেদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা, হয়তো তার পরদিনই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা। সুতরাং পরীক্ষার্থীর অবস্থাটা কেমন দাঁড়ায়, বুঝুন। আজকালকার অভিভাবকরা ‘অতিমাত্রায় দায়িত্বশীল’ হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ আরো বাড়ছে। তারা উচ্চাভিলাষী, বাস্তববর্জিত ও উন্নাসিক। এইচএসসি পাস শিক্ষার্থীকে তারা ‘প্রাথমিক স্কুল বয়সী ছাত্র বা ছাত্রী’ মনে করেন। তাই তারা অনেকে সন্তানদের সাথে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঘুরে বেড়ান।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৩০ বছর ধরে ভর্তিপরীক্ষা প্রত্যক্ষ করার অভিজ্ঞতা থেকে অভিভাকদের যে কষ্ট, শ্রম এবং উৎকণ্ঠা দেখেছি তাতে মনে হয়েছে, সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষাই সময়ের দাবি। অর্থের অপচয়ের পর হয়তো কোনো এক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থীর ‘কপাল খোলে’। অনেকে আদৌ কোথাও ভর্তি হতে পারে না। পরবর্তী বছরের জন্য অপেক্ষা করে কেউ কেউ। এর কারণ লাখ লাখ ভর্তিচ্ছু ছাত্র এইচএসসি পাস করে বের হয়; তার সমসংখ্যক আসন দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সমমানের প্রতিষ্ঠানগুলোতে নেই। অপরদিকে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অসংখ্য আসন খালি থাকে। অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের কারণে সেখানে মধ্যবিত্ত মানুষের স্থান হয় না।

এ পরিপ্রেক্ষিতে এবার সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে- এটা আশার কথা। গত কয়েক বছর ধরে সব ভর্তিপরীক্ষা একত্রে নেয়ার কথা শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা থাকার কারণে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যায়নি। গোটা পৃথিবীতে বিশ^বিদ্যালয়গুলো স্বতন্ত্র অবস্থানে রয়েছে; তারা স্বায়ত্তশাসিত। তাই সরকার ইচ্ছা করলেই তাদের ওপর নিজের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে না। তবে বাংলাদেশের অবস্থা ভিন্ন। বিদেশে অধিকাংশ নামী-দামি বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আর বাংলাদেশে তারা শতভাগ সরকারি সাহায্যনির্ভর। নামে ‘স্বায়ত্তশাসন’ থাকলেও পরনির্ভর থাকলে সে স্বায়ত্তশাসন কার্যকর করা অসম্ভব। স্মরণ করা যেতে পারে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাস দুই আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এই বলে সতর্ক করেছিলেন যে, সরকারি অর্থে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকারের কথা শুনতে হবে- না হয় সরকার অর্থ সাহায্য বন্ধ করে দেবে।’ সুতরাং সরকারের কথা অগ্রাহ্য করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষে কঠিন।

তাই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে। তবে কাজটি আসলেই কঠিন। সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় ও পরীক্ষা সমন্বিতকরণ কর্তৃপক্ষ- এই তিনের মধ্যে সমন্বয় সাধন সহজ নয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বরাবরই নিজেদের স্বাতন্ত্র্য ও স্বায়ত্তশাসনের যুক্তি দেখিয়ে পৃথক পৃথক ভর্তি পরীক্ষার কথা বলে আসছে। অপর দিকে, সরকার চাচ্ছে শিক্ষার্থীদের কষ্টের লাঘব করতে। কারা কিভাবে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করবেন- তাও বিরাট ভাবনার বিষয়। তবে আশার কথা এই যে, বাংলাদেশে ইতোমধ্যে মেডিক্যাল কলেজগুলো সমন্বিত ভর্তিপরীক্ষার আয়োজন সফলতার সাথেই করতে পেরেছে। ইউজিসির ক্রমাগত চেষ্টার ফলে গত বছর সাতটি কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা হয়েছিল। আগামী বছর থেকে কার্যকর করতে যে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার কথা বলা হচ্ছে, সে ব্যাপারে দেশের শীর্ষস্থানীয় চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মতি এখনো পাওয়া যায়নি। এগুলো হচ্ছে- ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩ সালের স্বায়ত্তশাসন আইনে পরিচালিত।

অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পৃথক পৃথক আইনে শাসিত। ওই চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের মতামত জ্ঞাপনের যথার্থ স্বাধীনতা রয়েছে। অপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই স্বাধীনতা অনেকটা সীমিত। আবার বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাগত স্বাতন্ত্র্যের কারণে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার তাদের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়- বুয়েট, এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান। তাই সব বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমন্বিতভাবে একই দিনে নেয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান পৃথক পৃথকভাবে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নিতে পারবে। যেমনটি হচ্ছে- মেডিক্যাল এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে। এভাবে গ্রুপ ভাগ করে চারটি পুরনো বিশ্ববিদ্যালয় একত্রে, পরবর্তী ৪৪টি বিশ্ববিদ্যালয় একসাথে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর পরীক্ষা ভিন্ন ভিন্নভাবে হতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ভর্তিপরীক্ষা একত্রে সমন্বিতভাবে গ্রহণ করা হয়। যেহেতু বিষয়টি কঠিন ও কৌশলগত, সুতরাং এ ব্যাপারে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে উপনীত হতে সময় লাগবে। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জাতিকে হতাশ করবে না।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা কার্যকর করার জন্য পুরনো ও প্রধান চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আলাপ-আলোচনা করবে বলে পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে। যেকোনো সমস্যা সমাধানে আলোচনার বিকল্প নেই। স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদার সাথে জনস্বার্থের যাতে সঙ্ঘাত না হয়, সেজন্য শিক্ষকরা সচেষ্ট হবেন বলে জাতি আশা করে। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় রাজি হয়েও নানা কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিতে পিছিয়ে গেছে- এরকম অভিযোগ রয়েছে। বলা হয়েছে, মূলত ভর্তি ফরম বিক্রি বাবদ বিরাট অঙ্কের টাকা আয় করা থেকে শিক্ষকরা বঞ্চিত হওয়ার ‘ভয়ে’ই সমন্বিত পরীক্ষায় তারা রাজি হচ্ছেন না।

অস্বীকার করা যায় না- এর বাস্তবতা রয়েছে। তবে আর সব চাকরিজীবীর মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও ‘সীমিত আয় ও বর্ধিত ব্যয়’ সঙ্কটের মাঝে জীবনযাপন করেন। অনেকেই জানেন না, তারা সরকারি কর্মকর্তাদের সমপরিমাণ বেতন পেলেও সমান মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা পান না। মর্যাদার দিক থেকে তারা ওপরে; কিন্তু সম্মানের পরিপূরক বাস্তব অবস্থা না থাকলে সে সম্মান রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্বতন্ত্র পে-স্কেল দাবি করে আসছেন। দুঃখের বিষয়, কোনো সরকারই এ দাবিকে আমল দেয়নি। যদি তাদের পৃথক স্কেল স্বীকৃত হয়, তাহলে ভর্তিপরীক্ষা বা সান্ধ্যকালীন কোর্স নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কটির অবসান হতে পারে। অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ভাতা অন্তত এক লাখ টাকা বৃদ্ধি করতে পারে। উল্লেখ্য, গবেষণার জন্য মাসে শিক্ষকরা মাত্র তিন হাজার টাকা পাচ্ছেন। এরকম অনেক কিছুই আছে যা সরকার ও জনগণের অজানা রয়ে গেছে।

সরকার সমন্বিত পরীক্ষা গ্রহণে ইতঃপূর্বে সদিচ্ছা দেখিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ইউজিসির পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাই। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সমন্বিতভাবে বিশ^বিদ্যালয়গুলোর ব্যবসায়, বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন শাখার বিষয়গুলোর জন্য আলাদা আলাদা পরীক্ষা নেয়া হবে। এ পরীক্ষা হবে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের ভিত্তিতে। বর্তমানে বেশির ভাগ বিশ^বিদ্যালয়ে বহু নির্বচনী প্রশ্ন- এমসিকিউয়ের ভিত্তিতে পরীক্ষা গৃহীত হয়ে থাকে। একটি বিশ^বিদ্যালয়ে পরীক্ষা গ্রহণে সময় লাগে কমপক্ষে এক সপ্তাহ। সমন্বিত পরীক্ষা হলে ২-৩ দিনে পরীক্ষা শেষ হয়ে যাবে বলে ইউজিসি কর্তৃপক্ষ আশা করে। পরীক্ষার সব কেন্দ্র হবে স্ব স্ব ক্যাম্পাসে। শিক্ষার্থীদের পছন্দ অনুযায়ী কেন্দ্র ঠিক করা হবে। তবে কোনো বিশ^বিদ্যালয়ে ধারণক্ষমতার চেয়ে প্রার্থী বেশি হলে, মেধার ভিত্তিতে পরীক্ষার্থী বাছাই করা হবে। বর্তমানে বুয়েট এই পদ্ধতি অনুসরণ করছে।

আবারো বলছি, সব ধরনের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের এমনকি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষায়িত বিভাগের ভর্তি সমন্বয়করণ বেশ জটিল ও কঠিন। ইউজিসি কর্তৃপক্ষকে সমস্যার সমাধানে মাঠ পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ও বিভাগের সহায়তা নিতে হবে সতর্কতার সাথে। সার্বিক বিষয়টি নিয়ে তাদের আরো হোম ওয়ার্ক করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য ও রাষ্ট্রপতি একাধিকবার সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আলঙ্কারিক প্রধান বা চ্যান্সেলর। বাস্তবে তার ক্ষমতা ও কার্যাবলি সাংবিধানিকভাবে সীমিত। এ ক্ষেত্রে যাবতীয় সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ও প্রধানমন্ত্রীর অফিস নিয়ে থাকে। যেহেতু রাষ্ট্রপতি অন্য কোনো দায়ভার দ্বারা ভারাক্রান্ত নন এবং বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসন স্বাতন্ত্র্যের দাবি রাখে সেজন্য সমগ্র উচ্চশিক্ষার বিষয়টি তার অধীনে ন্যস্ত করা যায় কি না- বিষয়টি রাজনৈতিক এলিটরা ভেবে দেখতে পারেন। বিশেষ করে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে অধিকতর আগ্রহ দেখাচ্ছেন এবং যথাযথ নির্দেশনা দিচ্ছেন। সেহেতু বিষয়টি রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হলে শিক্ষার পরিবেশের অধিকতর উন্নয়ন ঘটবে বলে আশা করা যায়।
লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
‘৭ জানুয়ারি নৌকার প্রার্থীকে জেতানোর জন্য আমরা অনেক অপকর্ম করেছি’ যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নির্মিত তাঁবু গুটাতে কলাম্বিয়ার শিক্ষার্থীদের অস্বীকৃতি দোয়ারাবাজারে নিখোঁজের ২ দিন পর ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার খালিস্তানিদের পাশে থাকার বার্তা ট্রুডোর, উদ্বেগ ভারতের নাজিরপুরে বাসচাপায় নিহত ১ হবিগঞ্জে পিকআপ-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ২ শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে বিএনপি সংকল্পবদ্ধ বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত? শৈলকুপায় মামাতো ভাইদের লাঠির আঘাতে ফুফাতো ভাই নিহত আমরা নিজের দেশেই অদৃশ্য : ভারতের মুসলিমরা যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেই গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৪

সকল