১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


হ্যাটট্রিক শিরোপার পর লক্ষ্য বিশ্বকাপ

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর জাতীয় পতাকা নিয়ে দৌঁড়াচ্ছেন তুহিন তরফদার-মিজানুর রহমানরা : কাবাডি ফেডারেশন -

আর মাত্র তিন মিনিট খেলা বাকি। কোর্টের পাশে থাকা রেফারির এই সঙ্কেত পাওয়ার পর আরো সতর্ক তুহিন তরফদাররা। ততক্ষণে বেশ ভালো ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ। এরপরও তাদের আরো সিরিয়াস হওয়া কারণ বাকি সময়ে কোনোভাবেই ভুল করা যাবে না। সে ভুল করেননি মিজানুর রহমান, আরদুজ্জামানরা। এরই ফলস্বরূপ বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডিতে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয় বাংলাদেশের। গতকাল ভলিবল স্টেডিয়ামে আসরের ফাইনালে চাইনিজ তাইপেকে তিনটি লোনাসহ ৪২-২৮ পয়েন্টে হারিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখা স্বাগতিকদের। প্রথমার্ধে টুর্নামেন্টের আয়োজকরা ২০-১৪ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল। উল্লেখ্য সেমিতে জয়ের মাধ্যমেই আগামী বছরের বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ও চাইনিজ তাইপে।
আগের দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন। টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া অন্য দলগুলো শক্তিতে লাল-সবুজদের চেয়ে পিছিয়ে। তাই এবারের বঙ্গবন্ধু কাবাডিতেও ফেবারিট বাংলাদেশ। ট্রফিও তারা ধরে রাখে প্রত্যাশিতভাবে। তুহিন তরফদারদের এখন লক্ষ্য এশিয়ান গেমস এবং বিশ্বকাপে পদক পুনরুদ্ধার। ফাইনাল শেষে উৎফুল্লচিত্তে অধিনায়ক এবং আসরের সেরা ক্যাচার ও ফাইনাল সেরা তুহিন জানান, ‘আমরা এখন এবারের এশিয়ান গেমসে পদক পুনরুদ্ধার করতে চাই। সাথে বিশ্বকাপের পদকও।’ একই সুর ধ্বনিত হলো টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় এবং সেরা রেইডার মিজানুর রহমানের কণ্ঠেও। দলের ভারতীয় কোচ সাজুরাম গয়াতেরও দৃঢ় বিশ্বাস পরের দুই বৃহৎ আন্তর্জাতিক আসরে পদক ফিরে পাবে বাংলাদেশ। এ জন্য তার তাগাদা দলটিকে বেশি বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলানো এবং ভারতের প্রো কাবাডিতে ব্যাপক হারে অংশ গ্রহণ। তুহিন তরফদারেরও দাবি, সব সার্ভিসেস দলের খেলোয়াড়দের যেন প্রো কাবাডিতে খেলার অনুমতি দেয়া হয়।
পুরো আসরে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন কোচ সাজুরামের। ‘৫-৬ জন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ইনজুরির জন্য মিস করেছেন এই আসর। এরপরও আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। আমাদের আক্রমণভাগ ভালো ছিল বরাবরই। তবে ডিফেন্সে সমস্যা ছিল। এবার তা দূর হয়েছে। দেখুন পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যেই আমরা প্রতিপক্ষের রেইডারকে আটকে ফেলেছি বারবার। এটা বড় উন্নতি।’ এরপরই বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের প্রতি অনুরোধ খেলোয়াড়দের বেশি মাত্রায় ম্যাচের মধ্যে রাখা। জানান, বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের টেকনিক হাই ক্লাসের। অভাব শুধু ম্যাচ টেম্পারমেন্ট। তাই দরকার বেশি বেশি ম্যাচ।
বাংলাদেশের দৌড় এখন পর্যন্ত এশিয়ান গেমসে রৌপ্য এবং বিশ্বকাপে ব্রোঞ্জ। তবে সর্বশেষ এই দুই আসরে পদকের দেখা নেই। কোচ দৃঢ়তার সাথেই উল্লেখ করলেন, এবারের এশিয়ান গেমসেই পদক পাবো। একই সাথে বিশ্বকাপেও। তবে রৌপ্য আশা করছি ২০২৬ সালের এশিয়ান গেমসে এবং পরের বিশ্বকাপে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল