০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বাবাকে গোল উৎসর্গ লেভানোদস্কির

-

ক্যারিয়ারে চার শ’র উপরে গোল। গত বছর জার্মান লিগে এক সিজনে ৪১ গোল করে গার্ড মুলারের ৪০ গোলের রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন। জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ ছেড়ে এখন বার্সেলোনার আক্রমণভাগের ভরসা। সেখানেও আছেন গোলের মধ্যে। অথচ বিশ্বকাপে গোলই ছিল না রবার্ত লেভানোদভস্কির। রাশিয়া বিশ্বকাপ ছিল এই পোলিশ তারকার প্রথম গ্রেটেস্টে শোন আর্থে অংশ নেয়া। সেখানে পাননি কোনো গোল। এবার মেক্সিকোর বিপক্ষে সুযোগ এসেছিল গোল করার। কিন্তু তার শট বিপক্ষ কিপার রুখে দেয়ায় বাড়ে অপেক্ষার পালা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই অবসান সেই প্রতীক্ষার। সৌদি ডিফেন্ডারের ভুলে বল পেয়ে জালে পাঠান পোল্যান্ডের এই স্ট্রাইকার। এই গোল একই সাথে দলের জয় নিশ্চিত করে। পাশাপাশি বিশ্বকাপের পেলেন গোলের দেখা। গোলটি করতে পেরে অভিভূত লেভানোদভস্কি জানান, এই গোলটি আমি আমার বাবাকে উৎসর্গ করলাম।


এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামের মিক্সড জোনে লেভানোদস্কির সাথে কথা বলারই উপস্থিত পোল্যান্ডের মিডিয়া কর্মীদের সাথে অন্য দেশের দায়িত্বরতরা। কাউকেই হতাশ করেননি ৩৪ বছরের এই স্ট্রাইকার। বিশ্বকাপে প্রথম গোল পাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, সত্যি আমি খুবই অভিভূত। নিজেও গোল পেয়েছি। সাথে আমার গোলে দলের জয়ও নিশ্চিত, যা এখন আমাদের রেখেছে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার দৌড়ে। আর আমি আমার গোল উৎসর্গ করছি আমার বাবার জন্য। যিনি মারা যান আমি ছোট থাকা অবস্থায়।’


প্রথম ম্যাচে লেভানোদভস্কির পেনাল্টি মিসই মেক্সিকোর বিপক্ষে জিততে দেয়নি দলকে। এই নিয়ে সমালোচনা কম শুনতে হয়নি পোলিশ অধনিায়ককে। এই মিস প্রসঙ্গে তা রজবাব, খেলার মধ্যে এমনটা হতেই পারে। ভুলে গেলে চলবে না। আমিও মানুষ। ভুল আমিও করতে পারি।
পোল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে ৭৭টি গোল করেছেন লেভানোদভস্কি। খেলেছেন ১৩৬ ম্যাচ। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে তার করা গোল ২৫৩ ম্যাচে ২৩৮টি। বার্সেলোনার জার্সিতে ২০ ম্যাচে ১৯ গোল ছাড়াও জার্মান ক্লাব বুরশিয়া ডর্টমুন্ডে ১৭১ ম্যাচে ৭৪ গোল। কাতারের মাঠে প্রথম গোল পেয়ে তিনি আরো জানান, সৌদিদের বিপক্ষে জয় আমাদের অবস্থান পোক্ত করেছে; যা একই সাথে অর্জেন্টিনার বিপক্ষে পরের ম্যাচে জয় পাওয়ারও আত্মবিশ্বাস। যদিও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জেতাটা হবে বেশ কঠিন।’ সৌদি আরবের বিপক্ষে তার দল আরো বেশি গোলে জিততে পারত। মিসই তা হতে দেয়নি। এর পরও আফসোস নেই তার। আরো গোল পাওয়া উচিত ছিল এর পরও জিততে পেরেছি তাতেই খুশি।


আরো সংবাদ



premium cement