২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

লিটন আমাদের ইতিবাচক দিক : ডোমিঙ্গো

-

ব্যাটিং দৈন্যতায় বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পাচ্ছেন না কোনো ওপেনার। টি-২০ থেকে টেস্ট। সব জায়গাতেই একই নাটকের পুনরাবৃত্তি। পোশাক ও বল বদলাচ্ছে, তবে পারফরম্যান্স বদল নেই। টি-২০ ওপেনার লিটন দাস টেস্টে ৬-৭ নম্বরে খেলে রান পাচ্ছেন। কিন্তু যারাই ওপেনিংয়ে যাচ্ছেন। তারাই কেমন যেন খেই হারিয়ে ফেলছেন।
চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন লিটন। প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ১১৪ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেন সর্বোচ্চ ৫৯ রানের ইনিংস। পাঁচ দিনের ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে রান করেছেন লিটন। শিষ্যের সফলতায় উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো, ‘গত ১৮ মাসে লিটনের গড় ৬০-এর মতো। দারুণ কিছু ইনিংস সে খেলেছে। ৬ বা ৭ নম্বরে তার জন্য ভালো একটি জায়গা আমরা খুঁজে পেয়েছি। লোয়ার অর্ডারে আত্মবিশ্বাসের সাথে সে ব্যাট করছে।’
ডোমিঙ্গো যোগ করেন, ‘আমরা জানি সে দারুণ একজন খেলোয়াড়। ছন্দ খুঁজে পেতে একটু সময় লেগেছে। গত বছরগুলোতে টেস্টে সে আমাদের বড় ইতিবাচক দিক। হয়তো আগামী বছরগুলোতে সে বাংলাদেশের হয়ে ৪ বা ৫ নম্বরে খেলতে পারে।’
এ দিকে লিটন নিচে নেমে রানের দেখা পেলেও সফলতার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ওপেনিংয়ে। সাগরিকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে টাইগার দুই ওপেনার সাইফ হাসান আর সাদমান ইসলাম আউট হন সমান ১৪ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংস সাইফ করেন ১৮, সাদমানের ব্যাট থেকে আসে মোট ১ রান। তাদের আউট হওয়ার কৌশল ছিল দৃষ্টিকটু। সাদমান-সাইফে অসন্তুষ্ট ডোমিঙ্গো বলেন, ‘এটি হতাশাজনক। এই উইকেটে তারা যেভাবে আউট হয়েছে, তা দেখে আমরা খুশি নই। সাদমান ৫-৬ মাসে আগে তার সর্বশেষ টেস্টে শতক হাঁকিয়েছে। নতুন বলে আমরা চাপে পড়ে যাচ্ছি। যদিও আমরা একটি মানসম্পন্ন বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে খেলছি।’
যোগ করেন ডোমিঙ্গো, ‘সাইফ মাত্র ওর ষষ্ঠ ম্যাচ খেলল। সে অনেক অনভিজ্ঞ। সাদমান হয়তো বড়জোর ১০টির মতো ম্যাচ খেলেছে। এই মানের বোলারদের বিপক্ষে ভালো করা ওদের জন্য কঠিন। তাই টেস্টে ওদের আরো অনেক কাজ করতে হবে।’
জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার মাত্র ৯৩ রান। তার পরও আশা দেখছেন প্রধান কোচ, ‘প্রথম সেশনে উইকেট পড়ছে। যেভাবে ছেলেরা লড়াই করছে তাতে আমি গর্বিত। পাকিস্তান ম্যাচে এগিয়ে আছে। তাদের ৯৩ রান প্রয়োজন, আমাদের জিততে হলে বিশেষ কিছু করতে হবে। টেস্ট ক্রিকেটে যেকোনো কিছুই সম্ভব। আমাদের জয়ের সুযোগ আছে এটি বিশ্বাস করেই কাল (আজ) মাঠে নামতে হবে। প্রথম আধা ঘণ্টায় এক-দু’টি উইকেট তুলে নিতে পারলে হতে পারে ভিন্ন কিছু।’
ম্যাচের সার্বিক দিক নিয়ে প্রোটিয়া এই কোচের ব্যাখ্যা, ‘প্রথম দুই দিন সত্যিই ভালো খেলেছি। তৃতীয় দিনের বেশির ভাগ অংশও ভালো ছিল। কিন্তু শেষ সেশনে ভালো করতে পারিনি। প্রথম ইনিংসে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ স্কোর দাঁড় করেছি। স্পিনার ও সিমাররা লিড এনে দিয়েছিল। তৃতীয় দিনের শেষ সেশনই আমাদের চাপে ফেলেছে।’


আরো সংবাদ



premium cement