০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ইনজুরি ছাড়া লম্বা সময় ঘরে থাকিনি

-

ঘরে পড়ে থাকা ব্যাট-বল যেন আগের চেয়ে বেশি আকর্ষণ করছে। ক্রিকেটের বাইরে বন্ধু-আড্ডা-ঘোরাফেরা তো আছেই। এই অস্বাভাবিক সময়ে স্বাভাবিক সব কিছুর টান যেন আরো প্রবলভাবে অনুভব করছেন ক্রিকেটাররা। ঘরবন্দী এই সময়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মনকে মানানো। কঠিন সেই কাজ কিভাবে করছেন সেই গল্প শোনালেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
শুরুতেই বললেন, ‘আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ ঘরে বসে থাকা। এমনিতে ইনজুরির জন্য জীবনে অনেকটুকু সময় শুয়ে-বসে কাটাতে হয়েছে। সুস্থ থেকে টানা এত লম্বা সময় ঘরে আটকে থাকিনি কখনো। আপনারা প্রায় সবাই জানেন, আমার আড্ডা দিতে, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালো লাগে। ক্রিকেটের বাইরে নানা ব্যস্ততাও আছে এখন। ইচ্ছে করলেই থাকতে পারি না। সামাজিক কাজকর্মে জড়িত হয়ে গেছি। তারপরও চেষ্টা করছি নিয়ম মেনে চলাফেরা করতে। তা না হলে আপনারাই তো বলবেন নিয়ম মানে না মাশরাফি।’
ঘরে থাকাটা কঠিন হলেও সহজভাবে নিচ্ছেন মাশরাফি, ‘ঘরে থাকার কঠিন কাজটা সহজভাবে করতে পারছি, কারণ সময়টাই এমন। এখন দুর্যোগ চলছে, বিশ্বজুড়ে বিপর্যয়। সময়ের ডাক শুনতে হবে সবাইকে। আর এই সমাজের মানুষ হিসেবেও আমাদের দায়িত্ব আছে। সে দায়িত্ব বলছে, এখন আমাদের ঘরে থাকতে হবে। তাই মন অস্থির হয়ে উঠতে চাইলেও তাকে শান্ত রাখতে পারছি। অগত্যা দু-একটি বিষয় ছাড়া নানারকম দিকনিদের্শনা ঘরে থেকেই দিতে হয়। সবাই সেভাবেই পালন করছেন বলে আমার বিশ্বাস।’
সব ঠিক থাকলে এখন হয়তো ঢাকা লিগে খেলতেন মাশরাফি। আপাতত অলস সময়ই কাটছে। বাসায় যতটা ভালো থাকা যায়, চেষ্টা করছেন। বাচ্চাদের সঙ্গে মজায় সময় কাটাচ্ছেন। কিছু দিন আগে দেখা গেছে ছেলের সাথে ক্যারম খেলছেন। ঘরের দিকেও নজর রয়েছে। নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে বেশির ভাগ নির্দেশনা ও কাজ করছেন ফোনে। ঘরে থাকার ব্যাপারে বলেন, ‘ঘরে আটকে থেকে অনেকের অবসাদ আসতে পারে। তবে আমাদের এখানে মূলত মানসিক স্বাস্থ্য ততটা গুরুত্ব পায় না। আমাদের সামাজিক বাস্তবতা ভিন্ন। মার্কাস ট্রেসকোথিক বা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা যেভাবে নিজেদের বিষণœতার কথা বলতে পারে, আমাদের এখানে সেই সুযোগ নেই। আগেও সন্তানদের সময় দিতে চেষ্টা করেছি। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সময় না দিয়ে উপায় নেই।’
কেউ যদি বলে, ‘ভালো লাগছে না’, তাহলে আমরা হয়তো ধরে নেব সে ভয় পাচ্ছে বা কোনো অজুহাত দিচ্ছে। অনেকে আবার ব্যাপারটি সেভাবে অনুভবই করে না। যারা করে, তারা প্রকাশ করে না বা প্রয়োজন বোধ করে না। সবার এ দিকটায় সতর্ক থাকা উচিত। তবে আমার মনে হয় না খুব একটা সমস্যা হবে। আমি যদি ঘরে থাকি, তাহলে শুধু নিজেকে না, হয়তো আরো পাঁচজনকে রক্ষা করছি। সবাই যদি এভাবে ভাবি, তাহলে গোটা দেশ রক্ষা পায়। সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্য হিসেবেই এটা করা উচিত।
সবশেষে জানালেন, ‘মনকে বশ করা অবশ্যই কঠিন। আমাদের তো এত লম্বা সময় টানা ঘরে থাকার অভ্যাস নেই। সাধারণ খেলা বা দলের প্রাকটিস না থাকলেও দু-একদিন বিশ্রাম নিয়ে আমরা হয়তো ফিটনেস ট্রেনিং করতে বের হই। ব্যাট নিয়ে হালকা নক করি। কিছু না কিছু করি। এখন কিছুই করার সুযোগ নেই। চার দেয়ালের মাঝে কঠিন সময়। তবে নিজেকে এটিই বোঝাচ্ছি যে, এটা আমার দায়িত্ব।’

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
ট্রাম্পের সাথে যা ঘটেছিল পর্ন তারকা স্টর্মির মধ্য বয়স থেকে যে অভ্যাসগুলো আপনার আয়ু বাড়াবে শাল্লায় ২ চেয়ারম্যান সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, কারাগারে ৪ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে যুক্তরাজ্যের এফসিডিও'র ইন্দো-প্যাসিফিক প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎ রাফায় ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে : রাশিয়া মিরসরাইয়ে জাল ভোট, ৩ নির্বাচনী কর্মকর্তা আটক উপজেলা নির্বাচনের কেন্দ্রগুলো খাঁ খাঁ করছে : মেজর হাফিজ হজযাত্রীদের জীবন আল্লাহর রাস্তায় উজাড় করে দিতে হবে : জামায়াত আমির ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনে আটক ৩, প্যানেল চেয়ারম্যানের কারাদণ্ড নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের গ্রুপে খেলবে স্কটল্যান্ড

সকল