০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সুরের পাখি

-

পাখিরা গান গায়। বিশেষ করে বসন্ত ঋতুতে গ্রামাঞ্চলে পাখিদের ক্ষীণ কম্পমান কিচির মিচির শব্দে মুখর হয়ে ওঠে। কোনো কোনো পাখি খুব সুমধুর শব্দ সৃষ্টি করে। আবার কোনো কোনো পাখি কর্কশ, বেসুরে আওয়াজ সৃষ্টি করে।
সঙ্গীতকার পাখিরা ওসিন প্রশাখার অন্তর্ভুক্ত তাদের স্বরতন্ত্রী একটি বিশেষ বাক্সে থাকে। এই বাক্সের নাম সিরিংকস। এটা শ্বাসনালীর তলায় অবস্থিত থাকে এবং সেখান থেকে দু’টি শ্বাসনালীতে ভাগ হয়ে যায়। সিরিংকসের আকৃতি অস্থিপূর্ণ এবং তাতে একটি শব্দের বাক্স তৈরি করে। যখন পাখিরা নিঃশ্বাস ছাড়ে তখন শব্দের বাক্সের ভেতর সেমব্রেইনগুলোতে কম্পন সৃষ্টি হয়। আর তার ফলেই পাখিদের গলায় বিভিন্ন সুরের সৃষ্টি হয়। এক স্পেসিস থেকে অন্য স্পেসিসের মধ্যে সিরিংকসের আকৃতি বিভিন্ন রকম হয়। সাত রকম সিরিংকস রয়েছে। সমস্ত স্পেসিসের সব রকম পাখিদের মধ্যেই পুরুষ পাখি সাধারণত গান গায়। পাখিদের এই গান এবং আহ্বান তাদের পরস্পরের মধ্যে কথাবার্তা বলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। শত্রুর আক্রমণের বিপদ সম্পর্কে অন্য পাখিদের সতর্ক করার জন্য এবং নিজস্ব বসবাসের এলাকা প্রতিষ্ঠা করার জন্য পাখিরা গান গায়। পাখিদের গানের সুরের তীব্রতা প্রায় ৪৩০০ হার্জ। যা পিয়ানোর উচ্চতম স্বরের তুলনায় বেশি। কৌতূহলোদ্দীপক বিষয় যে, নাইট এঙ্গেলের মতো অন্য পাখিরা এত সমুধুর সঙ্গীত পরিবেশন করতে পারে না। পাখিদের কলরব সাধারণত খুব সুস্পষ্ট এবং এক স্পেসিস থেকে অন্য স্পেসিসের কলরব পৃথক। যা পাখিদের পরস্পরকে চিনতে সাহায্য করে। তবে সব পাখি গান গায় না। কার্মোর্যান্টস এবং প্যালিক্যান, এ রকম আদি কিছু পাখি আছে, যাদের গলায় কোনো আওয়াজ হয় না। হ

 


আরো সংবাদ



premium cement