০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ঠাকুরগাঁওয়ে হঠাৎ ঝড়ো বাতাস, ক্ষতির মুখে আমন ধান

ঠাকুরগাঁওয়ে হঠাৎ ঝড়ো বাতাস, ক্ষতির মুখে আমন ধান - ছবি : নয়া দিগন্ত

গত তিন দিনের বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাসে সদরের শতশত বিঘা আমন খেত মাটির সাথে নুয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় আমন চাষিদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আগাম শীতকালীন সবজি ও আলু চাষিরা।

সোমবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া এই ঝড়ো বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে ঘরবাড়ি ও গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি না হলেও প্রায় শতাধিক হেক্টর জমির আমন খেত মাটিতে নু‌য়ে গেছে। ১০ থেকে ১৫ দিন পরে যে ধান কৃষকের গোলায় উঠত কিন্তু হঠাৎ এই বৃষ্টিতে কৃষকের বুক ভরা স্বপ্ন এক নিমেশেই ভঙ্গ হয়ে গেছে।

এতে এবার আমন মৌসুমে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়বেন বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

সদর উপজেলার রুহিয়া, রাজাগাঁও ও ঢোলারহাট ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ধানের গাছ ও সবজি খেত পানিতে ডুবে আছে। অনেক কৃষক তাদের ফসল বাঁচাতে খেতে জমে থাকা পানির কারণে ধানের শীষ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় ধানগাছ তুলে দেয়ার চেষ্টা করছেন।

সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের কৃষক সাকিল ও রাজাগাঁও ইউনিয়নের কৃষক গণী বলেন, আর মাত্র ১০ থেকে ১৫ দিন পরই খেতের ধান পাকতে শুরু হতো। কিন্তু হঠাৎ এই বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে আমাদের খেতের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ জমির আমন ধানের গাছ মাটিতে হেলে পড়েছে।

ঢোলারহাট ইউনিয়নের কৃষক আলাল উদ্দীন বলেন, কয়েকদিন পরে নুয়ে যাওয়া ধান গাছগুলোতে পোকার আক্রমণ শুরু হবে।

একই এলাকার কৃষক সাদ্দাম হোসেন বলেন, তিন বিঘা জমিতে আগাম ব্রি সুমন স্বর্ণা জাতের ধান লাগিয়েছি। মাঠে ধান পেকে গেছে। দু’একদিন পর ঘরে তুলবো। এমন অসময়ের বৃষ্টিতে পাকা ধান শুয়ে পড়েছে। এতে ধান তুলতে পারলেও সেসব ধানের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যাবে। এই কৃষক বলেন, সার ও কীটনাশকসহ বিঘা প্রতি এবার খরচ হয়েছে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। এখন লোকসান হবে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার মতো।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষ্ণ রায় বলেন, প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়নি। এই নিয়ে কাজ চলছে। তবে পাকা ধানের তেমন ক্ষতি হবে না। বৃষ্টি কমলে কৃষকরা ফসল কেটে ঘরে তুলতে পারবেন।

তিনি আরো বলেন, চলতি বছর ৫১ হাজার ৪৩৫ হেক্টর আমন চাষ করা হয়েছে। সম্ভাব্য মোট উৎপাদন লক্ষমাত্রা
৩ দশমিক ৫ মেট্রিকটন/হেক্টর ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮৭৭ মেট্রিকটন।


আরো সংবাদ



premium cement