২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সীমান্তে জমেছে ঈদ বাজার

সীমান্তে জমেছে ঈদ বাজার - ছবি - সংগৃহীত

এবারো সীমান্তে জমেছে ঈদের বাজার। এরইমধ্যে সীমান্তবর্তী আটোয়ারী, রুহিয়া কিংবা লাহিড়ীর মতো বাজারে ঈদের কেনাকেটাও শুরু হয়েছে। সীমান্ত এলাকার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতি বছরই দেখা যায় ঈদের বাজার প্রথমে শুরু হয় ঢিমেতালে। তারপর শেষের দিকে হঠাৎ বাজার উঠতে শুরু করে। কারণ সেই সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে কাজে যাওয়া লোকজন বাড়ি ফেরেন।

শনিবার ঠাকুরগাঁও সদরের রুহিয়া বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী মো আলী বলছেন, ‘ক্রেতা-বিক্রেতা সবার জন্যই বিপদ এখন করোনা। তবে তার জন্য যে বাজার খারাপ যাচ্ছে এমনটা বলা যাবে না। তাছাড়া বাজার তো সবে শুরু হল। বাজার যাঁদের অপেক্ষায় থাকে তারা সকলে তো এখনো বাড়ি ফেরেননি। তারা ফিরলেই বাজার আরো চাঙ্গা হবে।’

ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে জিনিসপত্রও মজুত করেছেন সীমান্তের ব্যবসায়ীরা। প্রতি বছরই ঈদের আগে বিশেষ কিছু পোশাক কিংবা জুতোর নাম মুখে মুখে শোনা যায়। বছর কয়েক আগে সীমান্তের বাজারগুলোতে সাড়া ফেলে দিয়েছিল পাখি, রাজকুমারী কিংবা ঝিলিক। শাড়ি বললেই কটন শাড়ি। আর আটোয়ারী ও বালিয়াডাঙ্গী এলাকার বাজারগুলিতে হইহই করে একসময় বিক্রি হয়েছে কিরণমালা। এবার যেমন চাহিদা রয়েছে পাখি চুড়িদার ও লেহেঙ্গার। ছেলেদের পোশাকের মধ্যে ভাল বিক্রি হচ্ছে ন্যারো জিন্স, টি শার্ট। রুহিয়া বাজারের বস্ত্র ব্যবসায়ী সোহেল রানা বলেন, ‘গত বেশ কয়েক বছর ধরে আমরা দেখছি ব্র্যান্ডের পোশাকের চাহিদা বেড়েছে। সেই মতো ঈদ কিংবা পুজোর আগে আমরা মূলত ব্র্যান্ডের পোশাকেই বেশি জোর দিচ্ছি।’

আটোয়ারী বাজারের এক জুতো ব্যবসায়ী বলছেন, ‘ঈদের বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে মূল বাজার লাগবে আরও দুই দিন পরে । বাইরে থাকা লোকজন ফিরতে শুরু করেছে।’

রুহিয়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দুলাল রব্বানী জানান, সীমান্তবর্তী এলাকার বহু মানুষ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তো বটেই, কাতার, কুয়েত, সৌদি আরবেও কাজ করেন। উৎসবের মুখে তাঁরা অনেকেই বাড়ি ফেরেন। আর কেনাকেটাও করেন স্থানীয় বাজারগুলো থেকেই। ফলে স্থানীয় বাজারগুলোও ওই বাইরে থাকা লোকজনের উপর অনেকটাই নির্ভর করে।

ইতিমধ্যে কাতার থেকে বাড়ি ফিরেছেন রুহিয়ার মিন্টু ও দুবাই থেকে সাত্তার আলী। তাদের কথায়, ‘অনেক বছর পরে বাড়িতে এসেছি। পরিবারের সাথে ঈদ করবো এই সময়টার জন্য আমরা সকলেই অপেক্ষা করেছি। এরমধ্যে একটা ঝকঝকে দিন দেখে সপরিবারে বেরিয়ে পড়ব বাজার করতে। ’

গত বছর ঈদে বাড়ি ফিরতে পারেননি ঢাকা থেকে আসা বালিয়াডাঙ্গী ধনতলা ইউনিয়নের সারোয়ার হোসেন। এবার তিনি ফিরেছেন। স্ত্রী জাহানারা বিবি বলছেন, ‘গত বছর মেয়েরা মনখারাপ করে বসে ছিল। এবার আব্বার সাথে বাজারে যাবে বলে খুব খুশি।’

সারোয়ার জাহান বলেন, করোনার কারণে আয় রোজগার তেমন নেই। তবে ঈদতো করতেই হবে। তাই মেয়ে দুটির জন্য কম দামের হলেও পোশাক নিতে এসেছি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু হিলিতে ভটভটি-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২ ‘গাজার ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে ১৪ বছর লাগতে পারে’ সখীপুরে ছাগল চুরির মামলায় মা-ছেলে কারাগারে ‘অন্যায়ের সাথে নয়া দিগন্তের সাংবাদিকরা কখনোই আপোষ করেন না’ রাজশাহীতে হলে ঢুকতে না দেয়ায় রাস্তায় বিসিএস পরীক্ষার্থীর কান্না

সকল