পাশের বাড়ির কিশোরীকে শোয়ার ঘরে দেখে নববধূর আত্মহত্যা

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে স্বামীর প্রতি সন্দেহ হওয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে এক নববধূ আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

মৃত নববধূর নাম রুমি খাতুন (১৮)। চার মাস আগে পারিবারিকভাবে উপজেলা সদরের চন্দ্রখানা কলোনীপাড়া গ্রামের স্যানেটারি মিস্ত্রি ইয়াছিন আলীর সাথে তার বিয়ে হয়। তিনি একই উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের বোয়াইল ভীড় গ্রামের রমজান আলীর মেয়ে।

ফুলবাড়ী সদর ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ জানান, রোববার দিবাগত ভোর রাতে সাহরি খাওয়ার পর স্বামী-স্ত্রী একই ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল ৮টার দিকে প্রতিবেশী এক কিশোরী পানির লাইন মেরামতের জন্য ইয়াছিনকে ডাকতে আসে। বাইরে থেকে কয়েকবার ডাক দিয়ে সাড়া না পেয়ে ঘরে ঢুকে স্ত্রীর পাশে শুয়ে থাকা ঘুমন্ত ইয়াছিনের হাত ধরে টানতে শুরু করে ওই কিশোরী। এ সময় ইয়াছিন হাত ঝাঁকুনি দিলে ওই কিশোরী টিনের বেড়ায় ছিটকে পড়লে শব্দ হয়। টিনের শব্দে জেগে উঠে স্ত্রী রুমি খাতুন ওই কিশোরীকে ঘরের ভেতর দেখে স্বামীকে সন্দেহ করেন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংসার করবেন না বলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান রুমি।

ইউপি চেয়ারম্যান জানান, পরে আশপাশের নারীরা তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে আনলে পাশের রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে ঘরে আড়ের সাথে শাড়ি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন তিনি।

তিনি আরো জানান, গোঙানির শব্দ শুনে ইয়াছিনসহ বাড়ির লোকজন বেড়া ভেঙে তাকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব কুমার রায় জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।