২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

লালমনিরহাটে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

লালমনিরহাটে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি - ছবি : ইউএনবি

জেলার ওপর দিয়ে মঙ্গলবার রাতে প্রচণ্ড ঝড় ও শিলাবৃষ্টি বয়ে গেছে। এতে পাকা ধান ও ভুট্টাসহ ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষকরা জানান।

হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলায় শিলাবৃষ্টির পরিমাণ বেশি হওয়ায় কৃষিতে ক্ষতির পরিমাণও বেশি বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন চাষিরা।

স্থানীয়রা জানান, রাত ৯টার দিকে হঠাৎ আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে প্রচণ্ড বেগে ঝড় শুরু হলে অনেক গাছপালা ভেঙে পড়ে। এরপরই শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। বড় বড় আকারের শিলার আঘাতে অনেক হালকা ও পুরাতন টিনের ঘর ফুটো হয়ে গেছে। লন্ডভন্ড হয়েছে পাকা ও আধা পাকা ধান গাছ এবং নানা জাতের সবজি।

জেলায় ৫০ শতাংশ জমির ধান এখনও মাঠেই রয়েছে। গত রাতের ঝড়বৃষ্টিতে মাঠে থাকা পাকা ধানের অভাবনীয় ক্ষতি হয়েছে। ফলে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে খাদ্য সংকটের শঙ্কায় পড়েছেন কৃষকরা।

কৃষক আমজাদ আলী বলেন, ‘প্রায় এক বিঘা জমির বোরো ধান কাটার উপযোগী হয়েছে। কিন্তু রাতে যে বড় বড় শিলা পড়েছে তাতে গাছে একটা ধানও থাকার কথা নয়। সকালে খেতে গেলে বোঝা যাবে ক্ষতির পরিমাণ। ধান ঘরে আনতে না পারলে করোনার কালে না খেয়ে মরতে হবে।’

চলবলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে টানা চার-পাঁচ মিনিট ধরে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শিলার আকারও ছিল বেশ বড়। বেশকিছু পুরাতন টিনের ঘরের ছাউনি ফুটো হয়ে গেছে। এলাকার জমিতে পাকা বোরো ধান এ ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।’

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামীম আশরাফ বলেন, ‘শিলাবৃষ্টিতে পাকা ধান ও ভুট্টার কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। যেসব স্থানে শিলাবৃষ্টি হয়েছে সকালে সেখানে উপজেলার কর্মকর্তাদের পরিদর্শন করতে পাঠানো হবে।’

জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে খোঁজখবর নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement