রাজশাহীর পুঠিয়ায় হাট-বাজারগুলোতে আগত কৃষকদের প্রতিনিয়ত ওজন নিয়ে প্রতারিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে বানেশ্বর হাটে আগত ভুক্তভোগী কৃষকেরা পণ্য বিক্রি বন্ধ রেখে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে।
খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অতিরিক্ত ওজনের বিষয়টি সঠিক সুরাহা করার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর আবার কেনা-বেচা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন বলেন, কৃষকদের দাঁড়ি-পাল্লায় মাপা এক মণ ফসল হাটের ডিজিটাল পাল্লাতে ওজন হয় প্রায় ৪২ কেজি। আমরা কৃষকদের নিকট থেকে শুধু দাঁড়ি-পাল্লায় যে ওজন হয় ওই পরিমাণের দাম দিতে চেয়েছি। কিন্তু তারা সেটা নিতে না চাওয়ায় ধর্মঘট শুরু করেন।
ভালুকগাছি এলাকার পেঁয়াজ চাষি সোহেল রানা বলেন, ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছ থেকে ৪২ কেজিতে মণ নিবেন। আবার কোনো ক্রেতা তাদের নিকট থেকে কিনতে গেলে তারা ৪০ কেজির এক পয়েন্টও বেশি দেন না। ডিজিটাল পাল্লার অযুহাতে ব্যবসায়ীরা আমাদের সাথে প্রতিনিয়ত ওজন নিয়ে প্রতারিত করছে। তার উপর হাট ইজারাদারদের মাধ্যমে তারা প্রতিমণে এক কেজি তোলা নিচ্ছেন। এতে করে আমাদের প্রতিমণে তিন কেজি ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।
বিষয়টি হাট ইজারদার উপজেলা প্রশাসনের নিকট একাধিকবার অভিযোগ করেও আমরা কোনো সমাধান পাইনি। যার কারণে আজ সকালে বানেশ্বর হাটে আগত কৃষকরা পণ্য বিক্রি বন্ধ রেখে মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
হাট ইজারাদার ওসমান আলী বলেন, ডিজিটাল ওজন চালু হওয়ার পর থেকে ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে প্রতিমণে এক থেকে দেড় কেজি বেশি করে নেয়। কৃষকদের দাবি তারা মণে ৪০ কেজির বেশি দেবে না। এ বিষয়টি নিয়ে সকালে পেঁয়াজ হাটে উভয় পক্ষের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়। পরে এটার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন সঠিক সুরাহা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে হাটে আবারো কেনা-বেচা শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওজন নিয়ে বানেশ্বর হাটে কৃষক-ব্যবসায়ীদের মধ্যে ঝামেলা দেখা দিয়েছিল। পরে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে সুরাহা করায় আবারো কেনা-বেচা চলছে। আর মালামালের সঠিক ওজনের বিষয়টি নিয়ে আগামি কয়েক দিনের মধ্যে সকল হাটের ব্যবসায়ী ও কৃষকদের সাথে বসে সমাধান করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা