২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্থিতিস্থাপকতা এবং আমাদের জাতীয় চরিত্র

-

অর্থনীতিতে চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা নামে সহজ ও মজার একটা বিষয় আছে। স্থিতিস্থাপতা বিষয়টা কী প্রথমে সেটি একটু বুঝে নিই। সাধারণত পণ্যের দাম বাড়লে ক্রেতার চাহিদা কমে যায়। উল্টোভাবে দাম কমলে চাহিদা বাড়ে। এই বাড়া-কমার সময় চাহিদার পরিমাণের হারের মধ্যে যে পার্থক্য সৃষ্টি হয় তাই চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা। চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা সাধারণত দুই ধরনের হয়। স্থিতিস্থাপক ও অস্থিতিস্থাপক চাহিদা। যেমনÑ চালের দাম বাড়লেও, যেহেতু ভাত না খেয়ে থাকা যায় না, তাই দাম বাড়লেও এর চাহিদা কমে না। আবার দাম কমে গেলেও চাহিদা খুব বেশি বাড়ে না। কারণ মানুষ যেটুকু ভাত খাওয়ার সেটুকুই খায়, দাম কমে গেলে চাহিদার খুব একটা পরিবর্তন হয় না। এই যে দাম বাড়া বা কমা সত্ত্বেও চাহিদার পরিমাণের হারের মধ্যে যে খুব একটা হেরফের হয় না, এটাকেই বলা হয় অস্থিতিস্থাপক চাহিদা। বিপরীতে দাম একটু কমে বা বেড়ে গেলে চাহিদার বিশাল পরিবর্তন হলে সেটাকে তখন স্থিতিস্থাপক চাহিদা বলা হয়। বিলাস জাতীয় পণ্যে সাধারণত এটি ঘটে থাকে। যেমন দামি মোবাইল ফোনসেটের দাম কমার সাথে সাথে মানুষ তা কিনতে ছোটে, দাম বাড়লে কেনা বন্ধ রাখে। কারণ দামি মোবাইল ফোনসেট এমন কোনো প্রয়োজনীয় বস্তু না যে, সেটি বেশি দামে কিনতেই হবে (ব্যতিক্রম ছাড়া)। এ দু’টি ছাড়াও আরো তিন ধরনের চাহিদার স্থিতিস্থাপকতা আছে, তার মধ্যে দু’টি নিয়ে আমরা আলোচনা করব। এই দুই ধরনের স্থিতিস্থাপকতা, বেশ উদ্ভট ও বিরল। এ দু’টি স্থিতিস্থাপকতা নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনার প্রস্তাবনা।
এ দু’টি হলোÑ সম্পূর্ণ স্থিতিস্থাপক ও সম্পূর্ণ অস্থিতিস্থাপক চাহিদা। দামের ওঠানামা ছাড়াই মানে একটা নির্দিষ্ট দামে চাহিদা যখন বেড়েই চলে, দীর্ঘকাল ধরে, সেটাকে তখন সম্পূর্ণ স্থিতিস্থাপক চাহিদা বলে। আবার দামের ওঠানামা সত্ত্বেও চাহিদার যখন কোনো পরিবর্তন হয় না, একই রকম অর্থাৎ অনড় অবস্থানে থাকে তখন তাকে সম্পূর্ণ অস্থিতিস্থাপক চাহিদা বলে। সাধারণত অর্থনীতিতে এ দুই ধরনের স্থিতিস্থাপকতা দেখা যায় না। কিন্তু আমাদের জাতীয় জীবনে খুব সক্রিয়ভাবে বিদ্যমান।
আমাদের বহুধা বিভক্ত সমাজ আপাতত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক দিকে আলেম সমাজ। অন্য দিকে সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষ আবার হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ধনী-গরিব, রাজনীতিবিদ, শিল্পী-সাহিত্যিক, সরকারি-বেসরকারিসহ হরেক কিসিমের রয়েছে। সাধারণ মানুষ সাধারণত আলেমদের সম্পর্কে এমন ধারণা পোষণ করেন, তাদের নামাজ-কালাম করা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। তারা আনন্দ-ফুর্তি, প্রেম-ভালোবাসা কিছুই করেন না। দিন-রাত দ্বীনের কাজে ব্যস্ত থাকেন। অর্থাৎ সম্পূর্ণ অস্থিতিস্থাপক চাহিদার মতো। বাইরের পৃথিবীর যতই পরিবর্তন ঘটুক না কেন, তারা নিজের অবস্থানে থাকেন অনড়, স্থির।
অন্য দিকে আলেমরা সাধারণ মানুষ সম্পর্কে মনে করেন, তাদের দ্বীনের কাজের প্রতি (ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বাদ দিয়ে) কোনো মন নেই। দুনিয়ার আনন্দ-ফুর্তি, নোংরামি ইত্যাদি নিয়ে ব্যতিব্যস্ত। আখেরাতের চিন্তাও করেন না। অর্থাৎ অনেকটা সম্পূর্ণ স্থিতিস্থাপক চাহিদার মতো। এ দুই বিভক্তি ছাড়াও সাধারণ মানুষের ভেতরেও নানা রকম বিভক্তি দেখা যায়। এসব বিভক্তি থেকে কিছু মনগড়া ধারণার সৃষ্টি হয়। যেমনÑ সাধারণ মানুষের মধ্যে এমন ধারণা গেঁথে গেছে যে, পুলিশ মানেই খারাপ। রাজনীতিবিদ মানেই হিপোক্র্যাট; সরকারি চাকরি মানেই দুর্নীতি-ঘুষ; মোল্লা-মৌলভী মানেই তালেবান-সন্ত্রাসী; শিল্পী-সাহিত্যিক মানেই চরিত্রহীন-নোংরা ইত্যাদি। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দিকটা হলোÑ এসব মনগড়া ধারণা ঘুমন্ত অবস্থায় থাকে, যখন কোনো ঘটনা ঘটে, তখনই অবচেতনে থাকা সেই ঘুমন্ত ধারণাগুলো হঠাৎ জেগে ওঠে। এই কারণে কোনো শিল্পী বা সেলিব্রিটির নামে কোনো গুজব ছড়ালে (সত্য হলে তো কথাই নেই) পুরো শিল্পীগোষ্ঠীকে নিয়ে মিডিয়া ও পাবলিক গোষ্ঠী উদ্ধার করেন। অন্যদের বেলায়ও একই ঘটনা ঘটে। এই যে এক ধরনের ‘এক্সট্রিমিজম’, অর্থনীতির ভাষায় যাকে ‘সম্পূর্ণ স্থিতিস্থাপক’ বা সম্পূর্ণ অস্থিতিস্থাপক অবস্থান বলা চলে, এই অবস্থানের কারণে, আমাদের ভেতরের পারস্পরিক দূরত্ব বাড়ে, যা শেষ পর্যন্ত শত্রুতায় পর্যবসিত করে। আমরা চরমের বাইরে কিছু ভাবতেই পারি না।
আলেমরা যেমন মানবসমাজের অন্তর্ভুক্ত, সাধারণ মানুষও ঠিক তাই। আলেমদের মধ্যে যেমন দুনিয়াদারির সত্যগুলো অর্থাৎ ক্ষুধা, তৃষ্ণা, আনন্দ করার চাহিদা আছে, ঠিক তেমনি সাধারণ মানুষের ভেতরেও আছে আধ্যাত্মিক চিন্তা করার বাসনা। তারাও ধর্মকর্ম করেন এবং ওই সব নিয়ে ভাবেন। কয়েকজন আলেমকে দিয়ে যেমন গোটা আলেমসমাজকে বিচার করা যায় না, ঠিক তেমনি কয়েকজন আলেম সমাজের বাইরে আরো যেসব সাধারণ মানুষ আছেন, তাদের কয়েকজনকে দিয়ে গোটা সাধারণ মানুষের সমাজকে বিচার করা যায় না। এই যে বারবার এখানে আলেমসমাজ এবং সাধারণ সমাজ নামে একটি বিভক্তির রেখা টানা হচ্ছে, তারা কারা? তারা তো সবাই এই দেশেরই নাগরিক। তাহলে একই দেশের নাগরিকের দুই ধরনের নাম দেয়া হচ্ছে কেন? আলেম এবং সাধারণ? এর উৎপত্তিস্থল কোথায়? এই আলেমসমাজ কি হঠাৎ গড়ে উঠেছে? আমরা কি এর আগে কখনো আলেমসমাজ দেখিনি? আমাদের আশেপাশে, পাড়া বা মহল্লায় কি আমরা মাওলানা-হুজুরদের দেখিনি? অবশ্যই দেখেছি। কিন্তু যে আলেমসমাজ এতকাল পর্দার বাইরে ছিল, হঠাৎ করে তারা পর্দা তথা পত্রিকা-ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এত দৃশ্যমান হয়ে উঠল কেন?
কারণ আর কিছুই নয়, এই আলেমসমাজকে আমরাই পুনর্নির্মাণ করেছি। তারা নিজেরা নিজেদের পুনর্নির্মাণ করেননি। সাধারণত মাদরাসা থেকেই এই আলেমসমাজের উৎপত্তি এবং সত্যিকার একজন আলেম হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য চলে তাদের নির্মাণ। মাদরাসায় কারা লেখাপড়া করতে যায়? সাধারণত সমাজের সব থেকে গরিব, যারা তাদের সন্তানদের সাধারণ বিদ্যালয়ে পড়ানোর সামর্থ্য রাখেন না, তারা তাদের সন্তানদের মাদরাসায় পাঠান। অনেকটা বাধ্য হয়ে এবং অনেকটা ধর্মের প্রতি গভীর বিশ্বাস এবং আস্থার কারণে মাদরাসায় পাঠানো হয়। এখন প্রশ্ন হলো, ইতোমধ্যে নির্মিত এই আলেমসমাজকে আমরা কিভাবে পুনর্নির্মাণ করলাম?
পুনর্নির্মাণের বিষয়টি বোঝার জন্য আমাদের একটু ইতিহাসের দিকে তাকাতে হবে। ইতিহাস মানে হাজার বছরের ইতিহাস নয়। একেবারে চোখের সামনে গড়ে ওঠা ইতিহাস। আশির দশকে খুব জনপ্রিয় একটা শব্দ ছিল ‘মৌলবাদ’। এই মৌলবাদ শব্দটা ওই সময় পুরোপুরি একটা গালাগালে পরিণত হয়েছিল। মোল্লøা মানেই মৌলবাদী। আর মৌলবাদ মানেই মধ্যযুগের (অন্ধকার যুগ নামে যাকে আখ্যা দেয়া হয়) বর্বরতা, নিষ্ঠুরতা ইত্যাদি। বলাই বাহুল্য, মৌলবাদ বলতে ধর্মীয় তথা ইসলামী মৌলবাদকেই বোঝানো হয়েছে সবসময়। ১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের পর, পশ্চিমা দেশগুলো বেশ নড়েচড়ে ওঠে। এটা কি করে সম্ভব হলো? ফলে সারা বিশ্বে ইসলাম নিয়ে এবং তাদের অনুসারীদের যথাক্রমে মৌলবাদ ও মৌলবাদী আখ্যা দিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে এক ধরনের প্রপাগান্ডা শুরু হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এই ইসলামী মৌলবাদ ঢুকল কিভাবে? এই মৌলবাদ আমাদের এখানে ঢুকেছে ধর্মনিরপেক্ষতার অ্যান্টি থিসিস আকারে। ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র ঐতিহাসিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বুঝে ওঠার আগেই আমরা জনগণের ওপর মুখস্ত বিদ্যার মতো ধর্মনিরপেক্ষতার বিদ্যা চাপিয়ে দিয়েছিলাম। পশ্চিমা ইতিহাস থেকে ধার করা এই ধর্মনিরপেক্ষতা আর আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতার প্রেক্ষাপট কোনোভাবেই এক অর্থ বহন করে না। আগ্রহীরা কষ্ট করে পশ্চিমা ধর্মনিরপেক্ষতার ইতিহাসটা একটু জেনে নেবেন। ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে যেসব নষ্ট তর্ক আমাদের মিডিয়াতে প্রচলিত আছে, সেসব তর্কে না গিয়েও শুধু এইটুকু বলা যায়, কোনো রাষ্ট্র নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ ঘোষণা না দিয়েও যেমন ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে আলাদা রাখতে পারে, সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতি সমান শ্রদ্ধা রাখতে পারে; ঠিক একইভাবে ঘোষণা দিয়েও ধর্মকে রাষ্ট্রের সাথে জড়াতে পারে, পারে সাম্প্রদায়িক সম্পর্ক নষ্ট করতে। এই মৌলবাদ শব্দের উৎপত্তির পর থেকেই ধীরে ধীরে খুব কূটকৌশলে, আমাদের নাটক, সিনেমা থেকে শুরু করে বিভিন্ন লেখালেখিতে দাড়ি-টুপির বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু হয়।
একটা অন্যরকম উদাহরণ দেই। এখন যদি দেখা যায়, খ্রিষ্টান পাদ্রিরা যে পোশাক পরেন, সেটা নিয়ে ধরে নেই ক্রমান্বয়ে কটাক্ষ করা হচ্ছে, সিনেমা, টিভির পর্দায়, বিভিন্ন কার্টনে। ওই সব জায়গায় এই পাদ্রিদের বীভৎস আকারে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। একটা সময় দেখা যাবে, মানুষ খ্রিষ্টান পাদ্রিদের দেখলে খুব স্বাভাবিক কারণেই আঁতকে উঠছেন। আমাদের আলেমসমাজের ঠিক তাই হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষতাকে সাজিয়ে গুছিয়ে সুপার হিরো করতে গিয়ে দাড়ি-টুপিধারীদের এমন ভিলেন বানানো হয়েছে, সাধারণের ধারণা হচ্ছেÑ দাড়ি-টুপি মানেই দানব আকৃতির কেউ। আবার ইতিহাসের দিকে ফেরা যাক।
মৌলবাদ পর্বের পর শুরু হয়েছিল ‘রাজাকার’ অধ্যায়। একটা সময় চারদিকে শুধু রাজাকার ধ্বনি শোনা যেত। আর এসব রাজাকার কারা ছিল? ওই দাড়ি-টুপি। লক্ষ করবেন, আলেমসমাজ, ধীরে ধীরে সমাজে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে কিভাবে। রাজাকার পর্বের পর শুরু হলো তালেবান-সন্ত্রাসীর যুগ। সন্ত্রাসী কারা? ওই দাড়ি-টুপি। এভাবে একসময় যারা ছিল মসজিদের অন্দরমহলে, মাদরাসার অন্তঃপুরে, তাদের আমরা ধীরে ধীরে রাস্তায় টেনে এনে নতুন এক আলেম সমাজ পুনর্নির্মাণ করলাম। সমাজের একটা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে ক্রমাগতভাবে যখন ভিলেন বানানো হয়, নেগেটিভ ইমপ্রেশন দেয়া হয়, তখন ওই নির্দিষ্ট গোষ্ঠী চুপ করে থাকতে পারে না। তাদের শরীরের চামড়া আমাদের মতোই পাতলা। সেখানে বারবার আঘাত করলে ক্ষত সৃষ্টি হবেই। এভাবে, সম্পূর্ণ অস্থিতিস্থাপক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে, একপেশে ধারণা দিয়ে আলেমসমাজের পুনর্নির্মাণ করা হলো। শুধু পুনর্নির্মাণে এসে বিষয়টা থেমে থাকেনি।
আলেমসমাজ ও আলেমসমাজের বাইরে যারা আছেন অর্থাৎ সাধারণ মানুষ, তাদেরও সম্পূর্ণ স্থিতিস্থাপক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে পুনর্নির্মাণ করা শুরু হলো। তাদের মনে এই ধারণা জন্মাতে আরম্ভ করল, আলেমসমাজের বাইরে যারা আছেন, সব পাপী। বেহেশতে যাওয়ার অধিকার শুধু আলেমসমাজের এখতিয়ার। ফলে ভাস্কর্য ও মূর্তির ভেদাভেদ অর্থাৎ শিল্প ও পূজার ভেদাভেদ গুলিয়ে ফেলল। শিল্পকর্মের কাজ মানুষকে আনন্দ দেয়া, যা মূর্তি বা ভাস্কর্য গড়ার মধ্যে দিয়ে করা হয়। একটা ভালো গল্প বা সিনেমা বা গান যেমন মানুষকে আনন্দ দেয়, তৃপ্তি দেয়, দেয় শান্তি, শিল্প সৃষ্টির জন্য গড়া (শিল্প শব্দটা লক্ষ করবেন) কোনো মূর্তি বা ভাস্কর্য ঠিক ওই কাজটাই করে।
আমাদের মূল সমস্যা স্থিতিস্থাপক বা ফ্লেক্সিবেল হতে পারি না আমরা। না আলেম সমাজ, না সাধারণ মানুষ। চরিত্রের এই রিজিডিটি বা অস্থিতিস্থাপকতার কারণে, মৌলবাদ বিষয়টা ধর্মকে ছাড়িয়ে সমাজের সব ক্ষেত্রে ঢুকে গেছে। মতের অমিল হলেই আমরা তাই মারমুখী হয়ে পড়ি। ঝগড়াবিবাদ শুধু বিবাদ বাড়ায়। বিবাদ ডেকে আনে বিভক্তি। সমাজ যত বিভক্ত হয়, সমাজপতি তত শোষণ করার সুযোগ পায়। কাজেই আমাদেরই এখন ভাবতে হবে, আমরা কি শোষিত হতে চাই নাকি সবাই মিলেমিশে শান্তিতে থাকতে চাই? হ
লেখক : শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব


আরো সংবাদ



premium cement