২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনা-পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থা

-

বর্তমান পৃথিবী ইতিহাসের চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বিশ্ব মানবতার করুণ আহাজারি আর মৃত্যুর মিছিল পৃথিবীর সর্বত্র । করোনা নামক ভাইরাসে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব । হার্ভার্ড , অক্সফোর্ড এবং ক্যামব্রিজের বিশ্ব বিখ্যাত ভাইরোলজিস্টরা স্বীকার করছেন, এ এক অদৃশ্য ভাইরাস যা ইতঃপূর্বে কেউ দেখেনি। পারমাণবিক শক্তিধর পরাশক্তিরা এ অদৃশ্য ভাইরাসের কাছে অসহায়। এতে মৃত্যুর সংখ্যা আড়াই লাখ ছাড়িয়েছে এবং আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় অর্ধ কোটিতে পৌঁছে গেছে। বিশ্ব মোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মৃত্যুর সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে। ইউরোপের পাদপীঠ লন্ডন, ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানিতেও মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। এশিয়া ও আফ্রিকার অবস্থাও অবনতির দিকে। সর্বোপরি করোনা নামক এই অদৃশ্য ভাইরাসের কাছে পৃথিবীর শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর অসহায় আত্মসমর্পণ বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করছে। অথচ সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে এ শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো বিগত ৫০ বছর ধরে বিশ্ব মানবতার রক্ত নিয়ে হোলি খেলছে। স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্বের একক মোড়ল আমেরিকার নেতৃত্বে প্রায় ৫০ লাখ বনি আদমকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। শুধু ২০০৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার বিলিয়ন ডলার তারা সামরিক খাতে ব্যয় করেছে। দীর্ঘকালব্যাপী তাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে, কোনো দেশ সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে পারে কিংবা গণবিধ্বংসী অস্ত্র নির্মাণ করতে পারে বলে মনে করলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সে দেশে হামলা চালিয়ে দখলদারী প্রতিষ্ঠা করে। বলা বাহুল্য, এই অধিকার তাদের কেউ দেয়নি, বরং তারা গায়ের জোরেই এ অধিকারের অধিকারী হয়ে বসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটির অধ্যাপক নোয়াম চমস্কি বলেছেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবেচনায় দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র বা Rogue State হচ্ছে সেসব রাষ্ট্র যারা র্যাডিকাল জাতীয়তাবাদের অনুসারী। কোনো অপরাধ করুক বা না করুক, যেসব রাষ্ট্র মার্কিনিদের হুকুমকে অগ্রাহ্য করে তারাই ‘দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র।’ অথচ অধ্যাপক চমস্কির মতে, বর্তমান বিশ্বে আসল দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র হলো খোদ যুক্তরাষ্ট্রই। কারণ তারা এ যাবত আণবিক বোমা, জীবাণু বোমাসহ যত মানববিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করেছে, যত শহর জনপদ ধ্বংস করেছে, যত মানুষ হত্যা করেছে, যত মানুষকে পঙ্গু-স্বজনহারা ও এতিম করেছে, যত দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করেছে, মানবসভ্যতাও মূল্যবোধের ওপর যত আঘাত হেনেছে এবং আজ অবধি হেনে চলেছে গত ৬০ বছরে পৃথিবীর অন্য কোনো রাষ্ট্র তার এক হাজার ভাগের এক ভাগও করেনি। আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়ার ধ্বংসযজ্ঞ এর বাস্তব প্রমাণ। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর একক পরাশক্তি আমেরিকা ইসলাম ও মুসলমানদেরই তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি হিসেবে ধরে নিয়ে বিশ্বব্যাপী ইসলামী পুনর্জাগরণ ও অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ইসলামোফোবিয়া বা ইসলামকে মৌলবাদ ধর্মান্ধ বা উগ্র মতাদর্শ হিসেবে চিত্রিত করার প্রয়াস তারা বিগত ৫০ বছর ধরে চালিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের অধ্যাপক হান্টিংটন তার The Class Of Civilization রচনা করে মূলত ইসলামকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। হান্টিংটনের থিসিসের জবাব প্রয়াত অধ্যাপক এডওয়ার্ড সাঈদ তার The Clash of Ignorance শীর্ষক প্রবন্ধে দিয়েছেন। তিনি যুক্তি দেখিয়েছেন, বিশ্বের নির্ধারিত ‘সভ্যতা’ বিষয়ে হান্টিংটনের সঙ্কীর্ণ প্রণালী বা বিন্যাস সংস্কৃতির গতিশীল আন্তঃনির্ভরতা ও অন্তক্রিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করেনি। এটি একটি কল্পিত ভূগোলের উদাহরণ যাতে এমনভাবে বিশ্বকে উপস্থাপন করা হয়েছে যেখানে নির্দিষ্ট কিছু রাজনীতিকেই বৈধতা দেয়া হয়েছে। হান্টিংটন ইসলাম ও মুসলিমদের চলমান পুনর্জাগরণকে ‘পশ্চিমা সভ্যতার শত্রু’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এ কথা অনস্বীকার্য যে, নাস্তিক্যবাদী আদর্শ সমাজতন্ত্রের পতনের পর পুঁজিবাদী পশ্চিমা সভ্যতার ধারক ও বাহকরা উৎকণ্ঠিত এবং উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে নানাভাবে। ইসলামকেই তাদের ভবিষ্যৎ প্রতিদ্বন্দ্বী বলে বিবেচনা করে বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। ইসলাম ও মুসলিম স্বার্থের বিরুদ্ধে আমেরিকার নেতৃত্বে ব্রাহ্মণ্যবাদী ভারত আর ইহুদিবাদী ইসরাইলসহ পশ্চিমা বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ। তাই তো দেখা যায়, মার্কিন আগ্রাসনের শিকার ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান। প্রায় ৫০ লাখ বনি আদমকে তারা হত্যা করেছে এসব অঞ্চলে। ফিলিস্তিনি মুসলমানদের দীর্ঘ সংগ্রামের এবং দুঃখ-দুর্দশার করুণ ইতিহাস বিশ্বমানবের অজানা নয়। ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসঙ্ঘের সহযোগিতায় ইহুদিরা ফিলিস্তিনি মুসলমানদের তাদের জন্মভূমি থেকে উৎখাত করে ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
ভারতীয় মুসলমানরা হিন্দুত্ববাদী শাসক ও তাদের দোসরদের নির্যাতনের শিকার। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিদিন কাশ্মিরের মানুষকে হত্যা করছে। উইঘুর মুসলমানদের ওপর চীনের প্রায় শতাব্দীকাল ধরে অত্যাচার-নির্যাতন পৃথিবীর আকাশকে ভারী করে তুলেছে। আরাকানের রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর ভয়াবহতম গণহত্যা এ শতাব্দীর কলঙ্ক হয়ে আছে। বিশ্বব্যাপী মুসলিম নির্যাতন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের একই পরিকল্পনায় ও একই ছকে গাঁথা। ইউরোপের মুসলিম দেশ বসনিয়ার ওপর চালানো গণহত্যা পৃথিবীর বিবেকবান মানুষ এখনো ভোলেনি। বসনিয়া, চেচনিয়ায় যখন লাখ লাখ মুসলিমকে নৃশংসভাবে হত্যা করে পৈশাচিক উল্লাস করা হয়েছিল, তখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো হয়েছিল পুলকিত। বিশ্বের মুসলিম বসতিগুলো আজ ব্রাহ্মণ্যবাদী শক্তি, বৌদ্ধমৌলবাদী অথবা ইহুদিবাদী কিংবা উগ্র খ্রিষ্টানদের সাম্প্রদায়িক কালো থাবায় জর্জরিত। মুসলিম ও ইসলামী পুনর্জাগরণের বিরুদ্ধে তারা বরাবরই ঐক্যবদ্ধ এবং নানা চক্রান্তে লিপ্ত। আরাকান, উইঘুর, কাশ্মির, গুজরাট, ফিলিস্তিন, ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান, বসনিয়াসহ তাবৎ মুসলিম দুনিয়ায় পাইকারি মুসলিম নিধন তারই সাক্ষী । এ ছাড়া মুসলিম সংখ্যালঘু দেশগুলোতে মুসলমানরা অত্যন্ত দুঃখ, কষ্ট ও সীমাহীন আতঙ্কের মধ্যে দিন যাপন করছে। সাম্প্রতিককালের ভারতে এনআরসি চাপিয়ে দিয়ে মুসলমানদের বাস্তুচ্যুত করার ঘটনা তার একটি উদাহরণ। মুসলিম সম্প্রদায়কে নির্মূল করার জন্যই তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
ইউরোপের ক্রমাগত ইসলামী ও মুসলিম কার্যক্রম নিয়ে শঙ্কিত ইউরোপের বেশ কিছু গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান। তারা সতর্কবার্তা দিয়েছে বর্তমান হারে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে ২০৫০ সালেও ব্রিটেন ও জার্মানিসহ ইউরোপের বেশ কিছু দেশে জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক হবে মুসলমান। ইতালির University Of Bologna একটি প্রজেক্ট গ্রহণ করেছে, যার প্রাথমিক সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০৩০ যা পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে। তাদের প্রজেক্টের শিরোনাম হচ্ছে ‘Emerging Islam in Europe’’। বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়, কতটুকু শঙ্কিত হলে তারা দীর্ঘমেয়াদি এ প্রজেক্ট গ্রহণ করতে পারে। আফ্রিকাজুড়ে বহু খ্রিষ্টান মিশনারি কাজ করছে দারিদ্র্যপীড়িত মুসলিমদেরকে ধর্মান্তরিত করার জন্য। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের মুসলিম দেশগুলো এর বাইরে নয়। মুসলিম বিশ্ব অত্যন্ত সঙ্কটজনক সময় অতিক্রম করছে। মুসলিম উম্মাহর চিন্তাশীল ব্যক্তিদেরকে এ সঙ্কটের কারণ উদঘাটন, বিশ্লেষণ ও মোকাবেলা করতে হবে। ফিকহি মাসয়ালা নিয়ে বিভেদের সময় আর নেই। বিভিন্ন দলে উপদলে বিভাজনের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ঈমানি চেতনা নিয়ে মুসলিম যুবসম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে। উম্মাহর অস্তিত্বের জন্য এটা অপরিহার্য। মুসলিম উম্মাহর বড়। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য ইসলামকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে বিজয়ী করতে হবে।
করোনায় কোয়ারেন্টিনে থাকার কারণে পৃথিবীর উন্নত ও সভ্য রাষ্ট্রের দাবিদার, পারমাণবিক ও তথ্যপ্রযুক্তির শীর্ষে থাকা দেশগুলোর বিশাল জনগোষ্ঠীর মাঝে তাদের ভোগ বিলাস, অশ্লীলতা, হতাশা, নৈরাজ্য ও অপরাধপ্রবণতা, সম্পদের পেছনে অবিরাম ছুটতে থাকার মানসিকতা, বিশাল বিত্তবৈভব, সর্বোপরি এ বিশাল জমিন আসমান ও তার অন্তর্নিহিত সৃষ্টির রহস্য এবং তার যে একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন এবং তিনিই যে সব ক্ষমতার আধার এ ধ্রুব চিরসত্য তাদের সামনে প্রস্ফুটিত হয়ে উঠেছে। পৃথিবীর বাস্তবতা দেখে চিন্তাশীল মহল বলতে বাধ্য হচ্ছে, ভোগের পেয়ালায় আকণ্ঠ নিমজ্জিত পাশ্চাত্য সভ্যতা নৈতিক ও আধ্যাত্মিক দিক থেকে মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। এ সভ্যতার জীবনীশক্তিও অব্যাহতভাবে লোপ পাচ্ছে। সমাজতন্ত্রের পতনের পর বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাদী গণতন্ত্র সাম্রাজ্যবাদীদের মতাদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এ গণতন্ত্রের মাঝে নৈতিক, আধ্যাত্মিক, অর্থনৈতিক সমতা, সামাজিক ন্যায়বিচার, সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশ কিংবা মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আশা করে পৃথিবীবাসী সম্পূর্ণ হতাশ। মূলত শিল্পবিপ্লবের পরবর্তীকালে যত মানব রচিত মতবাদ বা মতাদর্শ পৃথিবীতে এসেছে তার অসারতা ও চরম ব্যর্থতার দরুন পৃথিবীতে আদর্শ হিসেবে কালজয়ী ইসলামের প্রাধান্য ও অপরিহার্যতা অনেক বেশি সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে। পৃথিবীর বর্তমান পরিস্থিতি এ কথাই প্রমাণ করছে যে, ইসলামই আগামী পৃথিবীর অপরিহার্য বাস্তবতা। ভারতীয় উপমহাদেশ, গোটা মধ্যপ্রাচ্য, তুরস্ক, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে অনেক সংগঠন ও আন্দোলন ইসলামের ভিত্তিতে সমাজ, অর্থ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সাফল্য পেয়েছে। বৃহত্তর ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় ইসলাম একটি ক্রম অগ্রসরমান ধর্ম হিসেবে প্রসার লাভ করছে। অসংখ্য গির্জা ও প্যাগোডা মসজিদরূপে পরিগণিত হয়েছে। ইসলামের সৌন্দর্যে ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট হয়ে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী ইসলাম গ্রহণ করছেন। মূলত ধর্ম হিসেবে ইসলাম ছাড়া আর কোনো ধর্মের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক তথা জীবনের সব ক্ষেত্রের জন্য বিধিবদ্ধ বিধান না থাকায় ইসলাম ক্রমান্বয়ে আগামী দিনে অপ্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, মুসলিম উম্মাহর নেতৃত্ব সঙ্কট, অনৈক্য, শিক্ষা ও বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে অতীতের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে ভুলে যাওয়া, ক্ষমতার মোহ এবং ইসলামের মৌলিক শিক্ষা থেকে দূরে থাকার কারণেই বিশ্ব নেতৃত্ব থেকে মুসলিমজাতি পিছিয়ে গিয়েছিল। এ দিকে, বিশ্বব্যাপী ইসলামী পুনর্জাগরণকে স্তব্ধ করে দেয়ার নানা কৌশল ও ষড়যন্ত্র চলছে। সব ষড়যন্ত্র ও পশ্চিমা কৌশল, ব্রাহ্মণ্যবাদী হিংস্র থাবা, ইহুদিবাদী ইসরাইলের মরণ আঘাত মোকাবেলা করেই দেশে দেশে ইসলাম অগ্রসর হচ্ছে। ইসলাম বিশ্বময় একটা নতুন সভ্যতা বিনির্মাণের শক্তিতে পরিগণিত হচ্ছে। করোনা পরবর্তী বিশ্বব্যাপী যে পরিপ্রেক্ষিত সৃষ্টি হয়েছে, তাতে ইসলামের ক্রমবর্ধমান প্রচার ও প্রসার এবং তার অপরিহার্যতা বিশ্বের মানুষের কাছে একমাত্র আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হবে তা এখন পৃথিবীর এক অনস্বীকার্য বাস্তবতা। বলা যায়, আগামী শতাব্দী হবে ইসলামের শতাব্দী। বিশ্বগণমাধ্যম ইতোমধ্যে বিশ্লেষণ শুরু করেছে করোনা-উত্তর পৃথিবীতে কে নেতৃত্ব দেবে? বর্তমান বাস্তবতায় এ কথা অনস্বীকার্য যে, ইসলামই বিশ্বের বুকে বিজয়ী শক্তিরূপে আবির্ভূত হবেÑ এটা এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। হ
লেখক : অধ্যাপক ও ভিজিটিং রিসার্চ ফেলো, ইউনিভার্সিটি অব বলোগনা, ইতালি


আরো সংবাদ



premium cement