আবাসন সঙ্কট বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে এক পরিচিত সমস্যা। বিশেষ করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা খোলা বারান্দায় মানবেতর জীবনযাপন করেন। ঝড়-বৃষ্টি ওলটপালট করে দেয় তাদের বিছানাপত্র। ছারপোকার উৎপাত সেখানে অপ্রতিরোধ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে প্রথম বর্ষ, দ্বিতীয় বর্ষ, তৃতীয় বর্ষ এমনকি মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরাও গণরুম কিংবা বারান্দায় অবস্থান করতে বাধ্য হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের হলগুলোতে এই সমস্যা অধিক প্রকট। প্রথম বর্ষ থেকে সিট দেয়ার রীতি ছেলেদের হল থেকে উধাও হয়ে গেছে। অথচ সবাই আশার বাণী শোনাচ্ছেন আবাসিক সঙ্কট সমাধানের। তবে এ সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূল কারণটি হলোÑ হল প্রশাসনের নির্লিপ্ততা। মেয়েদের হলগুলোতে এবং ‘বিজয় ৭১’ হলে হল প্রশাসনের মাধ্যমে সিট বরাদ্দ করা হয়। অন্যান্য হলে প্রশাসন সিট বরাদ্দ দেয় না। এমনকি হলে কারা থাকছে এমন কোনো তথ্যও নেই তাদের কাছে। তাই হলগুলোকে বহিরাগতরা অভয়ারণ্য বানিয়ে নিয়েছে।
আদু ভাইয়েরা তাদের স্থায়ী আবাসস্থল নিয়েছে হলকে। ফলে সৃষ্টি হয়েছে কৃত্রিম আবাসিক সঙ্কট। এর ভুক্তভোগী হাজার হাজার সাধারণ শিক্ষার্থী। এ সমস্যা সমাধান করতে সিট বরাদ্দের দায়িত্ব হল কর্তৃপক্ষকে নিতেই হবে। আশা করি, ঢাবি প্রশাসন এবং ডাকসু প্রতিনিধিরা প্রত্যেকটা হলের সিট প্রদানের দায়িত্ব হল প্রশাসনের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।
মো: মাহবুবুর রহমান সাজিদ
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা