গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আলোচনা হলেও এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলেননি বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল বলেন, সংলাপে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্টভাবে কোন কিছুই বলেননি। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, এ বিষয় নিয়ে ভবিষ্যতে আলাপ-আলোচনা হতে পারে।
সংলাপ শেষে ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সংলাপ পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি আগেই বলেছি সংলাপে সন্তুষ্টি হইনি।
তিনি আরো বলেন, আমরা নির্বাচনের তফসিল পেছানোর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি। তিনি বলেছেন, এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হওয়া এ সংলাপ রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত চলে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের ২৩ নেতার সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ২১ নেতা। সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেন ড. কামাল হোসেন।
সংলাপ শেষে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে গণভবন থেকে সংলাপ বের হয়ে আসেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এরপর ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তারা।
এসময় ড. কামাল বলেন, সংলাপে আমরা আমাদের দাবি তুলে ধরেছি, অভিযোগের কথা, সেগুলো তুলে ধরেছি। সবার কথা শোনার পর প্রধানমন্ত্রী লম্বা বক্তৃতা দিলেন। সংলাপে বিশেষ কোনো সমাধান আমরা পাইনি।
সংবাদ সম্মেলনে আলোচনার বিষয়ে একটি লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন গণফোরামের এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। তিনি বলেন, সাংবাদিক বন্ধুগণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আজকের যে আলোচনা, আমরা মনে করি এটা দীর্ঘ সময় ধরে হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা। শুরুতে ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা তিনি সূচনা বক্তব্য রেখেছেন। এরপরেই আমাদের জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি উত্থাপন করেছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য নেতারাও বক্তব্য রেখেছেন।
সুব্রত চৌধুরী আরো জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকা শহরসহ সারাদেশে সভা সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচির উপর কোন বাঁধা থাকবে না। রাজনৈতিক দলগুলো যেখানে সভা-সমাবেশ করতে চাইবে, তাদের কোন বাঁধা দেবেন না। এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন।
উত্থাপিত দাবি নিয়ে ভবিষ্যতে আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ঐক্যফ্রন্টের আরেক শীর্ষ নেতা আ স ম আব্দুর রব বলেন, আমরা সাত দফা দিয়েছি, মানা না মানা দায়িত্ব হলো সরকারের। আমাদের কর্মসূচি আমরা দিয়েছি, সেটা অব্যাহত থাকবে।
আরো পড়ুন : বি চৌধুরীর নেতৃত্বে সংলাপে অংশ নিচ্ছেন যারা
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ০২ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:২৮
বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে আজ সংলাপে অংশ নেবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে লেখা এক চিঠিতে বিকল্পধারার মহাসচিব এ তালিকা দিয়েছেন। চিঠিটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে পৌঁছে দেন বিকল্পধারার সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।
চিঠিতে মেজর (অব.) মান্নান গণভবনে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সময় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে যুক্তফ্রন্ট ও বিকল্পধারার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।
১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। প্রতিনিধি দলে যারা থাকছেন- যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান ও প্রেসিডেন্ট বিকল্পধারা বাংলাদেশ অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরী, গোলাম সারোয়ার মিলন, আবদুর রউফ মান্নান, ইঞ্জিনিয়ার মুহম্মদ ইউসুফ, সহ-সভাপতি মিসেস মাহমুদা চৌধুরী, ব্যারিস্টার সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক, সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম গোলাম রেজা, বিএলডিপি সভাপতি নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ সভাপতি জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজা এবং জাতীয় জনতা পার্টির সভাপতি শেখ আসাদুজ্জামান।
গণভবনে নৈশভোজে সাদা ভাত, লাল আটার রুটি, ফুলকপি, সিম, আলু ভাজি, যেকোনো মাছের ঝোল ও মসুরের ডাল রখার জন্য বি. চৌধুরীরর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা