৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


উন্নয়নে চট্টগ্রাম : উন্নয়নে বাংলাদেশ

- প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম বাংলাদেশের বন্দরনগরী এবং একই সাথে বাণিজ্যিক রাজধানী। পাহাড়, নদী ও সাগর পরিবেষ্টিত চট্টগ্রাম হচ্ছে এক অফুরন্ত সম্ভাবনার জনপদ। কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত ”ট্টগ্রাম শহর ঐতিহাসিক কাল থেকেই দেশের ব্যবসায় বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র। কর্ণফুলী নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় অবস্থিত চট্টগ্রাম বন্দর দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের প্রধান মাধ্যম। দেশের মোট আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের শতকরা নব্বই ভাগই চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে। ইউরোপ ও আরব দেশের বণিকরা চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই এ দেশে আসেন এবং ব্যবসায় বাণিজ্য পরিচালনা করেন। এভাবে হাজার বছর ধরে চট্টগ্রাম পুরো দেশের ব্যবসায় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অসামান্য ভ‚মিকা পালন করছে। ভারতীয় উপমহাদেশে যখন শিল্পায়ন শুরু হয়, তখন তার প্রভাব সরাসরি চট্টগ্রামেও পড়ে। চট্টগ্রামে স্থাপিত হয় বড় বড় শিল্পকারখানা। জুটমিল, স্টিলমিল, ঢেউ টিন, এমএস রড, সার, চিনি, ফার্মাসিউটিক্যাল কারখানা, পাওয়ার প্রজেক্ট, সিমেন্ট, গার্মেট, টেক্সটাইল, স্পিনিং মিল, ভোজ্যতেল রিফাইনারি, এলএনজি প্রজেক্ট, জ্বালানি তেল রিফাইনারি, ফিড মিল, ফুড প্রসেসিং কারখানা, গাড়ি নির্মাণ কারখানা, শিপ ব্রেকিং ও শিপ বিল্ডিংসহ এখানে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ছোট-বড় শিল্পকারখানা। পাশাপাশি ”ট্টগ্রামে বহু আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইউনিলিভার, রেকিট বেনকিজার, বার্জার পেইন্টস, জিএসকে, কাফকো ও ইয়ংওয়ানসহ অনেক মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির কারখানা। এখানে রয়েছে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেরিন একাডেমি ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ অসংখ্য সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজ। এখানে রয়েছে রেল স্টেশন, রেল মেরামত কারখানা এবং দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর। গড়ে উঠেছে ইপিজেড, ট্যাংক টার্মিনাল ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল কোম্পানির প্রধান কার্যালয় ও ডিপো। চট্টগ্রামেই অবস্থিত দেশের একমাত্র জ্বালানি তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি। এখানে রয়েছে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি, বিজিবি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ঘাঁটি। এসবের পাশাপাশি চট্টগ্রামে রয়েছে বিরাট এলাকাজুড়ে বিস্তীর্ণ পর্যটন এলাকা। পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত, ফয়’স লেক এবং রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান এলাকার বিভিন্ন লেক ও পাহাড়ি দৃশ্য পর্যটনের স্থায়ী নিদর্শন। কক্সবাজারে অবস্থিত পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত ও প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের অসাধারণ সৌন্দর্য চট্টগ্রামের গুরুত্বকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চট্টগ্রাম এক অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং বছরের পর বছর ধরে দেশের উন্নয়নে চট্টগ্রাম অনন্য এক ভ‚মিকা পালন করে চলেছে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চট্টগ্রামের ভূমিকা অসামান্য ও অপরিসীম হলেও চট্টগ্রামের উন্নয়ন কিন্তু এখনো কাক্সিক্ষত মানের নয়। প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানের কারণে চট্টগ্রামের উন্নয়নের সুযোগ অনেক বেশি। আর চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানে কিন্তু বাংলাদেশের উন্নয়ন। সুতরাং বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থেই চট্টগ্রামের উন্নয়ন করতে হবে। তবে বর্তমান সরকারের গৃহীত বেশ কিছু উন্নয়ন প্রজেক্ট বাস্তবায়নের মাধ্যমে চট্টগ্রাম এখন উন্নয়নের মহাসড়কে হাঁটছে। আর চট্টগ্রামের উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশও উন্নয়নের মহাসড়কে হাঁটছে। এ প্রসঙ্গে বর্তমানে চট্টগ্রামে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়নের বেশ কিছু মেগা প্রকল্পের কথা উল্লেখ করা যায়। বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, কোরিয়ান ইপিজেড, চায়না ইকোনমিক জোন, মহেশখালী ইকোনমিক জোন, মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনাল, মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রবন্দর, মহেশখালী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বাঁশখালীতে এস আলম গ্রæপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্প, কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীতকরণ প্রকল্প, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কপথ চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প, চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত দীর্ঘ ফ্লাইওভার এবং চট্টগ্রাম বন্দর বে-টার্মিনাল প্রকল্প। তা ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম বুলেট ট্রেন বাস্তবায়ন প্রকল্প সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে, যার মাধ্যমে মাত্র এক ঘণ্টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াত করা সম্ভব হবে। এসব মেগা প্রজেক্ট ছাড়াও চট্টগ্রামের উন্নয়নে আরো বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এসব মেগা প্রকল্প আগামী তিন-চার বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে। এসব প্রকল্পের সুবাদে চট্টগ্রামে উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি হবে। আর এর সুফল পাবে পুরো দেশ। কারণ তখন সড়ক পথে আর কোনো যানজট থাকবে না। ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ যে উন্নত দেশে পরিণত হবে এবং এর যে স্বপ্ন আমরা দেখছি, তা কিন্তু মোটেই অবাস্তব ও অসম্ভব কোনো বিষয় নয়। যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা অপরিহার্য। বর্তমান সরকার সারা দেশে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে। পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, দেশের মহাসড়কগুলোকে চার লেনে উন্নীতকরণসহ এসব প্রকল্প পুরো দেশের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নেরই অংশ। উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে চলমান মেগা প্রজেক্টগুলো বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের যোগাযোগব্যবস্থার পুরো চিত্রই বদলে যাবে এবং আমরা যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন এবং উন্নত এক যুগে প্রবেশ করব। আর এই উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এগিয়ে নেবে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে পূর্ণ গতিতে চলতে থাকবে। আশা করার হচ্ছে, ২০৪১ সাল নাগাদ জনগণের মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে এবং ২০৩৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।

এবার চট্টগ্রামে বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পগুলোর কয়েকটি সম্পর্কে সামান্য ধারণা দিই। প্রথমেই বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর। ফেনীর সোনাগাজী, চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড উপজেলার সাগর তীরবর্তী এলাকায় গড়ে উঠছে দেশের বৃহত্তম ইকোনমিক জোন বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর। প্রায় ৩০ হাজার একর জমি নিয়ে ধাপে ধাপে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া এই ইকোনমিক জোনে এরই মধ্যে দেশী বিদেশী উদ্যোক্তারা শিল্পপ্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেছে। অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। এখানে গড়ে উঠছে কৃষিভিত্তিক শিল্পসহ বিভিন্ন খাতের বড় বড় শিল্পকারখানা। এ শিল্পনগরে প্রায় এক হাজার একর জমি নিয়ে গড়ে উঠছে ভারতীয় অর্থনৈতিক জোন, যেখানে ভারতীয় শিল্পপতিরা শিল্পকারখানা স্থাপন করবে। এই ইকোনমিক জোনে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখান থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি হবে। এই ইকোনমিক জোন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব মাত্র ৬৫ কিলোমিটার। নিরবচ্ছিন্ন, বিরামহীন ও সহজ যাতায়াতের জন্য বন্দর থেকে এই শিল্পনগরে সরাসরি হাইওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। এখানে থাকবে হেলিপ্যাড। পণ্য আনা-নেয়া সহজ করার জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের তত্ত¡াবধানে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে এই শিল্পনগরে তৈরি হবে আরো একটি বন্দর। মোটকথা, বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর হবে আধুনিক বিশ্বের নতুন শিল্পাঞ্চল, যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট এক ভ‚মিকা রাখবে। চট্টগ্রাম বন্দরের তত্ত্বাবধানে হালিশহরের আনন্দবাজার এলাকায় পোর্ট লিংক রোডের কোলঘেঁষে বঙ্গোপসাগরের তীরে দুই হাজার ৫০০ একর জমিতে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর বে-টার্মিনাল। এর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এই বন্দর নির্মাণ শেষ হলে চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মক্ষমতা বহুগুণে বাড়বে।

এবার কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু ট্যানেল এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে এর ভ‚মিকা সম্পর্কে কিছু কথা। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মাণ হচ্ছে দেশের প্রথম ট্যানেল, যা দক্ষিণ এশিয়ায়ও প্রথম। এর এক পাশে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এবং অন্য দিকে আনোয়ারা। প্রায় ৯.৩ কিলোমিটার দীর্র্ঘ এবং ১০ মিটার প্রস্থের এই ট্যানেলে চারটি লেন থাকবে। ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে নির্মাণাধীন দুই টিউব বিশিষ্ট এই ট্যানেলের একটি টিউবের খনন এরই মধ্যে শেষ হয়েছে এবং আরেকটি টিউবের খননকাজও শুরু হয়েছে। চীনের চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এই ট্যানেল নির্মাণ করছে। এরই মধ্যে এই ট্যানেলের ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ট্যানেল নির্মাণ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকেই এই ট্যানেল দিয়ে যান চলাচলের সম্ভাবনা রয়েছে। এই ট্যানেল চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও মিরসরাইসহ পুরো বাংলাদেশের জনগণ তখন আর কক্সবাজার-বান্দরবান-সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম শহর ব্যবহার করবে না। গাড়িগুলো সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট দিয়ে পোর্ট লিংক রোড হয়ে ট্যানেল দিয়ে আনোয়ারা হয়ে কক্সবাজার -বান্দরবান-সেন্টমার্টিন যাতায়াত করবে।

এ দিকে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলায় নির্মিতব্য মেগা প্রজেক্টগুলোর বিষয়ে আসি। মহেশখালী উপজেলায় হচ্ছে ইকোনমিক জোন, কয়লাভিত্তিক ১,২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল ও গভীর সমুদ্রবন্দর। ইকোনমিক জোনে গড়ে উঠবে দেশী বিদেশী বিনিয়োগে বিভিন্ন শিল্পকারখানা। মহেশখালীর অদূরে চট্টগ্রাম নির্মিতব্য গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ হলে বড় আকারের জাহাজ সরাসরি এই বন্দরে নোঙর করবে। ফলে এই গভীর সমুদ্রবন্দর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সিঙ্গাপুরের মতো ভ‚মিকা রাখবে। একইভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে নির্মিতব্য ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ ডবলগেজ রেলপথ নির্মাণ শেষ হলে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার শহরের মধ্যে যোগাযোগে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ এবং কর্ণফুলীর তলদেশে ট্যানেল নির্মাণ শেষ হলে কক্সবাজারের সাথে পুরো দেশের সহজ যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে উঠবে। কক্সবাজারে রয়েছে ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত। সরকার কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণে প্রকল্প নিয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে এর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই বিমানবন্দরে থাকবে সামুদ্রিক রানওয়ে, যা এর সৌন্দর্য ও গুরুত্ব বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে। এতে বিদেশী পর্যটকরা সরাসরি কক্সবাজারে ল্যান্ড করতে পারবে। ফলে কক্সবাজারে বিদেশী পর্যটকের আগমন বহুগুণে বেড়ে যাবে।

এ দিকে সরকার চট্টগ্রাম থেকে রাঙ্গামাটি পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণেরও উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামেও পর্যটক বাড়বে। পর্যটন খাত হয়ে উঠবে দেশের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস। এসবের পাশাপাশি বাঁশখালীতে নির্মাণ হচ্ছে কয়লাভিত্তিক ১,২২৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র। আনোয়ায়ায় গড়ে উঠছে কোরিয়ান ইপিজেড ও চায়না ইকোনমিক জোন; যেখানে বিপুল পরিমাণে বিদেশী বিনিয়োগ হবে। চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে কর্ণফুলী নদীর তীরঘেঁষে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত বাস্তবায়নাধীন চার লেনের মেরিন ড্রাইভ সড়ক চট্টগ্রাম শহরেও পর্যটন বাড়িয়ে দেবে বহুগুণে। বর্তমান সরকার চট্টগ্রামের উন্নয়নে বৃহত্তর চট্টগ্রামে যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, তার সবই বাস্তবায়ন হবে আগামী তিন-চার বছরের মধ্যে। এসবের মাধ্যমে চট্টগ্রামের উন্নয়ন যেমন ত্বরান্বিত হবে, তেমনি ত্বরান্বিত হবে দেশের উন্নয়ন; অর্থাৎ চট্টগ্রামের উন্নয়নের মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশেরই উন্নয়ন হবে এবং দেশ এখন উন্নয়নের সেই মহাসড়কেই হাঁটছে।

লেখক : প্রকৌশলী ও উন্নয়ন গবেষক
ই-মেইল : omar_ctg123@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপদাহে বামনায় সহকারী অধ্যাপকসহ ৪ শিক্ষার্থী অসুস্থ জবিতে ৪ দিন স্বশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা, ১ দিন অনলাইনে মার্কিন পুলিশে বাড়ছে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূতদের সংখ্যা পাথরঘাটায় ৩ দিন ধরে মাদরাসাছাত্র নিখোঁজ মির্জাগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু আফগানিস্তানে মসজিদে বন্দুক হামলা, নিহত ৬ দেশের বেসরকারি সৌর প্রকল্পে ১২১.৫৫ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন এডিবির কটিয়াদীতে কালের সাক্ষী ৫০০ বছরের কোটামন দিঘি সখীপুরে ৩০০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে আউশ ধানের বীজ ও সার বিতরণ স্কুল-মাদরাসার ছুটি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বহাল থাকছে রাজবাড়ীতে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১

সকল