২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


তিউনিসিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী রফিক আবদেল সালামের সাক্ষাৎকার

আগাম নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আন নাহদা

আগাম নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আন নাহদা - ছবি : সংগৃহীত

(গত ২৫ জুলাই তিউনিসিয়ায় সংসদ স্থগিত করা, সরকারকে বরখাস্ত করা এবং মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের দায়মুক্তি বাতিল করে নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগের সর্বময় ক্ষমতা প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ গ্রহণ করার পর এক নজিরবিহীন সঙ্কটে পড়েছে দেশটি। বলা হচ্ছে- সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত আর মিসর দেশটির গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে এই অভ্যুত্থানে ইন্ধন জুগিয়েছে। আসলেই সেখানে কী হচ্ছে এই বিষয়টি খোলামেলাভাবে উঠে এসেছে তিউনিসিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শীর্ষস্থানীয় আন নাহদা নেতা রফিক আবদুল সালেমের এক সাক্ষাৎকারে। এই সাক্ষাৎকারটি প্রথম আরবি ২১ টিভিতে ১ আগস্ট ২০২১ আরবিতে এবং ৩ আগস্ট মিডল ইস্ট মনিটরে ইংরেজিতে প্রকাশিত হয়। ইংরেজি থেকে সাক্ষাৎকারটি অনুবাদ করেছেন মাসুমুর রহমান খলিলী। তিউনিসিয়ার রাজনীতির গভীর বিষয় উপলব্ধি করা যাবে এই সাক্ষাৎকারটিতে)

তিউনিসিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী রফিক আবদেল সালাম বলেছেন, দেশে নতুন নির্বাচনী বৈধতা প্রতিষ্ঠার জন্য আগাম রাষ্ট্রপতি ও আইনসভা নির্বাচন ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। এই ধরনের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ‘আন নাহদা’। প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদের ‘অভ্যুত্থান’ সম্পর্কে আরবি ২১ টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি তিউনিসিয়ার সাম্প্রতিক সংসদ স্থগিতকরণ ও সরকারকে বরখাস্ত করাসহ সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে কথা বলেছেন। নিচে তার সাক্ষাৎকারের বিবরণ দেয়া হলো-

প্রশ্ন : সংসদ সদস্য ইয়াসিন আয়ারি এবং মাহের জায়েদকে সম্প্রতি নিরাপত্তাবাহিনী গ্রেফতার করেছে। এই গ্রেফতারের তাৎপর্য কী?

রফিক আবদেল সালাম : এটি অভ্যুত্থানের বিরোধী ব্লগার এবং রাজনীতিবিদদের দমনের জন্য আদালতকে ব্যবহার করার প্রবণতার একটি লক্ষণ। এটি নবজাত গণতন্ত্রের জন্য কতটা বিপদ ডেকে আনা হয়েছে তার প্রকাশ। অথচ স্বৈরশাসনকে বিদায় করে আমরা ভেবেছিলাম যে, আমরা সেই পাতাটি চিরতরে পাল্টে ফেলেছি।

প্রশ্ন : রাষ্ট্রপতি কায়েস সাঈদ বলেছেন, তিনি স্বৈরাচারকে ঘৃণা করেন এবং তিনি একনায়ক হবেন না। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, রাষ্ট্রের ঐক্য বজায় রাখতে এবং আইন, নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা প্রেসিডেন্ট নিতে পারেন। আপনি কী মনে করেন?

রফিক আবদেল সালাম : এটা উদ্দেশ্য এবং ঘোষণা সম্পর্কিত বিষয় নয়। প্রেসিডেন্টের ভালো উদ্দেশ্য থাকতে পারে; কিন্তু রাজনীতি উদ্দেশ্য এবং বিবৃতি দিয়ে পরিচালিত হয় না। এটি গ্যারান্টি এবং প্রক্রিয়া দ্বারা চালিত হয়, যা অত্যাচারকে বাধা দেয়। যখন একজন ব্যক্তি রাষ্ট্রের নির্বাহী, আইন প্রণয়নকারী এবং বিচারিক শাখার ওপর নিয়ন্ত্রণ লাভের চেষ্টা করেন, তখন এটি স্বৈরাচারী ও দমনমূলক পরিস্থিতিই তৈরি করে। রাজনৈতিক ব্যবস্থা মূলত একটি তত্ত্বাবধায়ক সংসদীয় প্রতিষ্ঠান এবং একটি স্বাধীন বিচার বিভাগের ওপর ভিত্তি করে আবর্তিত, যা অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষা করে। ক্ষমতার সুষম বণ্টনের অনুপস্থিতি চরম নিয়ন্ত্রণ ও দুর্নীতির পথ সুগম করে।

ব্যতিক্রমী পদক্ষেপের জন্য, এটি জনপ্রতিনিধিদের (সংসদ) সমাবেশের সামনে ট্যাংক মোতায়েনের অনুমতি দেয় না এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে সংসদের কাজকে ব্যাহত করে না। এটি তিউনিসিয়া এবং এর বিপ্লবের জন্য একটি আঘাত।

প্রশ্ন : এই অভ্যুত্থান ঘটাতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে আর্থিক, রাজনৈতিক, গোয়েন্দা এবং গণমাধ্যমের সহায়তা সম্পর্কে অনেক রিপোর্ট ও গসিপ রয়েছে। এই প্রতিবেদনগুলো কতটা সঠিক?

রফিক আবদেল সালাম : এর পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের স্তরে বিশেষভাবে আঞ্চলিক ষড়যন্ত্রের চিহ্নগুলো দেখা যায়। আমরা মিসরে ৩ জুলাই ২০১৩ অভ্যুত্থানে ঘটে যাওয়া ঘটনার মতোই একটি পরিস্থিতি এখানে দেখেছি, যার মধ্যে সমর্থন সংগ্রহের প্রচেষ্টা এবং প্রতিপক্ষকে দানব হিসেবে চিহ্নিত করা, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে এমন পরিবেশ তৈরি করার বিষয় রয়েছে, যা সাংবিধানিক জীবন ব্যাহত ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে পঙ্গু করার জন্য একধরনের আবরণ প্রদান করে। এ জন্য অনেক উস্কানিমূলক এবং বিভ্রান্তিকর দাবি করা হয়েছে। আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, উপসাগরীয় অর্থ তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক ও গণমাধ্যম জীবনকে দূষিত করার জন্য ময়দানে প্রবেশ করেছে।

প্রশ্ন : কেউ কেউ জেসমিন বিপ্লবের পর থেকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সঙ্কটের জন্য আন নাহদাকে প্রাথমিকভাবে দায়ী বলে অভিযোগ করেন। আন নাহদা কি পরিস্থিতির সম্পূর্ণ দায়িত্ব বহন করে?

রফিক আবদেল সালাম : আন নাহদা বিপ্লবের পর প্রায় দেড় বছর তিউনিসিয়া শাসন করে এবং ২০১৩ সালে জাতীয় সংলাপের পর ক্ষমতা ছেড়ে দেয়। পরবর্তী সরকারগুলোতে এর অংশগ্রহণ একেবারে সীমিত করা হয়েছে। যাই হোক, এটা কিন্তু মনে গেঁথে দেয়া হয়েছে যে, আন নাহদা আন্দোলন দেশের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। গণমাধ্যমের প্রভাব এবং অভিযোগ সবই আন নাহদার দিকে চালিত হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের বিবেচনা করতে হবে যে, অন্যান্য রাজনৈতিক দল কার্যত অনুপস্থিত। এ ক্ষেত্রে প্রধান দ্বিধা হলো, স্থানীয় ও আঞ্চলিক পরিস্থিতির সীমাবদ্ধতার কারণে আন নাহদা সরকারের সব স্তম্ভের দায়িত্ব নিতে পারছে না অথবা দলটিকে বিরোধী দলেও স্পষ্টভাবে সরানো হয়নি। এই ‘ধূসর’ অঞ্চলে থাকা কষ্টকর, কারণ আপনি দেশকে পুরোপুরি শাসন করতে পারবেন না এবং এই বিষয়ে দায়ভার বহন করতে পারবেন না অথবা সরকারি হওয়ার পরিণতি থেকে দূরে থাকবেন।

প্রশ্ন : মনে হচ্ছে আন নাহদা সংলাপ বেছে নিয়েছে এবং পরিস্থিতির অবনতি না বাড়িয়ে শান্ত করার চেষ্টা করছে। আপনি এই পদ্ধতিটির যথার্থতা কিভাবে উপলব্ধি করেন?

রফিক আবদেল সালাম : সামাজিক বিভাজন এড়াতে এবং উভয় পক্ষের সমর্থকদের সরাসরি মুখোমুখি হওয়ার দিকে ঠেলে দিতে আমরা এই মুহূর্তে রাস্তায় সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলোকে চ্যালেঞ্জ করার পরিবর্তে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এমন শক্তিও আছে যারা রাজনৈতিক ও আদর্শিক কারণে অভ্যুত্থানকে সমর্থন করে এবং সঙ্কটে বিনিয়োগ করতে চায় আর বিষয়গুলোকে সীমাবদ্ধতার দিকে ঠেলে দিতে চায়। আল্লাহ না করুন, যদি রাষ্ট্রের পতন হয় এবং চলমান সামাজিক ফাটল আরো গভীর হয়, তাহলে আমাদের লড়াই করার জন্য কিছুই থাকবে না। এ কারণে আমরা জোর দিয়ে বলছি, যা ঘটেছে তা হলো অভ্যুত্থান এবং সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, আর আমরা এই নতুন বাস্তবতা প্রত্যাখ্যান করি এবং পরিস্থিতি সংশোধন করতে জনগণের জাগরণ ও সম্মিলিত রাজনৈতিক শক্তির ওপর নির্ভর করছি। আমরা অন্যদের মধ্যে একজন গুরুত্বপূর্ণ ‘অভিনেতা’; আমরা এই অঙ্গনে একমাত্র দল নই। আমরা একাই অভ্যুত্থানের ভার বহন করতে চাই না।

প্রশ্ন : আন নাহদা কখন অভ্যুত্থান প্রতিরোধ করা অথবা ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত নেবে?

রফিক আবদেল সালাম : আন নাহদা তার অধিকার ত্যাগ করতে পারে; কিন্তু এটা কখনো স্বদেশের অধিকার ছেড়ে দেবে না; প্রথম এবং সবার আগে এটি হবে শেষ স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। প্রথমেই গুরুত্বপূর্ণ হলো সংবিধানের সুরক্ষা, বিপ্লবের মূল্যবোধ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি রক্ষা করা। এই মূল বিষয়টি রক্ষা করার দায়িত্ব সমস্ত শক্তির ওপর ন্যস্ত, যারা আধিপত্যবাদ এবং অভ্যুত্থান প্রত্যাখ্যান করে; এটা আন নাহদার একান্ত দায়িত্ব নয়।

প্রশ্ন : পার্লামেন্টের স্পিকার ড. রশিদ ঘানুসি নিশ্চিত করেছেন, আন নাহদা ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যেকোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত’; আন নাহদা যে ছাড় দিতে পারে তার প্রকৃতি কী?

রফিক আবদেল সালাম : আন নাহদার অবস্থান এখন অগ্রাধিকার নয়। বিপ্লবের পর আমরা যে সংবিধান এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বেছে নিয়েছি তা হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এখন অগ্রাধিকার হলো অভ্যুত্থানের অবসান এবং স্বাভাবিক রাজনৈতিক জীবনে ফিরে আসা এবং সংবিধানের বৈধতা। এর অন্যতম লক্ষণ হবে সংসদের কাজে ফিরে আসা এবং ব্লগার ও বিরোধী সংসদ সদস্যদের গ্রেফতার ও সামরিক আদালতে তাদের পাঠানো বন্ধ করা। আমরা জানি, দেওয়ানি ও সামরিক আদালতের সাথে জড়িত গ্রেফতার এবং বিচার বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

প্রশ্ন : বর্তমান সঙ্কট নিয়ে তিউনিসিয়ার সামরিক বাহিনীর অবস্থান সম্পর্কে অস্পষ্টতা রয়েছে। এই অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর অবস্থানকে কিভাবে দেখছেন?

রফিক আবদেল সালাম : সেনাবাহিনী নিরপেক্ষ; কিন্তু এটি একটি সুশৃঙ্খল প্রতিষ্ঠান যা উপরের আদেশের অধীন। রাস্তাঘাটে সেনা মোতায়েন করা হয়নি বা জনগণকে গ্রেফতার করা হয়নি, যেমনটি প্রেসিডেন্ট চেয়েছিলেন। সেনাবাহিনী পার্লামেন্ট বন্ধ করার জন্য রাষ্ট্রপতির আদেশ বাস্তবায়নে সন্তুষ্ট ছিল। তবে এই মুহূর্তে, তারা রাজনীতিতে জড়াতে চায় না।

প্রশ্ন : আশঙ্কা করা হচ্ছে, তিউনিসিয়াকে সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার দিকে ঠেলে দেয়া হতে পারে। এমন দৃশ্য কি সম্ভব?

রফিক আবদেল সালাম : কিছু দল আছে যারা জনগণকে সে দিকে ঠেলে দিতে চায়। কারণ তাদের নীতির প্রাপ্তি সঙ্কটে বিনিয়োগের ওপর ভিত্তি করে আসে। এই বিধ্বংসী দৃশ্যপটকে আটকাতে আমরা আমাদের ক্ষমতায় সবকিছুই করেছি। বিপ্লবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী শক্তিগুলো আরব বিপ্লবের অধ্যায় বন্ধ করার জন্য তিউনিশিয়াকে গৃহযুদ্ধে ঠেলে দিতে চায়। তারা বিশ্বাস করে, এটি তাদের এ আখ্যানকে বৈধ করবে যে, আরব বিশ্বে গণতন্ত্র কাজ করে না, তারা দাবি করে- এর একমাত্র বিকল্প সর্বাত্মকবাদী শাসন।

প্রশ্ন : অভ্যুত্থান কি ফেরানো সম্ভব হবে?

রফিক আবদেল সালাম : রাজনৈতিক শক্তির এটি প্রত্যাখ্যান করার পাশাপাশি জনগণের দায়িত্ব হলো, অভ্যুত্থানকে চ্যালেঞ্জ করা। এটি আন নাহদার একান্ত দায়িত্ব নয়। অভ্যুত্থানের অবসান ঘটাতে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংবিধান ও বৈধতায় ফিরে আসার জন্য আমরা রাজনৈতিক অংশীদারদের সাথে আমাদের সাধ্যমতো যতটুকু সম্ভব তার সবকিছু করব। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, তিনি সংবিধানের ৮০ অনুচ্ছেদ দ্বারা গ্যারান্টিযুক্ত ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু আমরা এর ঠিক বিপরীতটি দেখতে পাচ্ছি। পার্লামেন্ট যখন কাজে ফিরবে তখন তার গভীরতা পরীক্ষা করা হবে এবং ব্লগার ও রাজনীতিবিদদের মিথ্যা অজুহাতে বিচারের জন্য সামরিক ও দেওয়ানি আদালতের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে।

প্রশ্ন : কেউ কেউ বিশ্বাস করেন, আগাম রাষ্ট্রপতি এবং সংসদ নির্বাচন অথবা সাঈদের সিদ্ধান্তের ওপর একটি গণভোট এই সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার পথ হতে পারে। তিনি কি আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মেনে নিতে পারেন?

রফিক আবদেল সালাম : এই অভ্যুত্থানের অবসান ঘটানো এবং স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য যদি রাজনৈতিক বোঝাপড়ায় পৌঁছা সম্ভব না হয়, তাহলে নতুন নির্বাচনী বৈধতা প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের রাষ্ট্রপতি এবং আইনসভা নির্বাচনে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

প্রশ্ন : আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হলে কায়েস সাঈদের আবার জেতার সম্ভাবনা কতটা?

রফিক আবদেল সালাম : পরিস্থিতি আরো খারাপ করা এবং আর্থিক ও স্বাস্থ্য সঙ্কট তৈরি করার পরও কায়েস সাঈদ এখনো প্রতিশ্রুতি ও বিভ্রম বিক্রি করছেন। যাই হোক, মানুষ সময়ের সাথে সাথে আবিষ্কার করবে যে, জনতুষ্টিবাদ দেশের পুঞ্জীভূত সমস্যার সমাধান করতে অক্ষম এবং আমি কল্পনা করি যে, প্রতিশ্রুতি এবং বাস্তবতার মধ্যে বিরাট ব্যবধান স্পষ্ট হওয়ায় তার জনপ্রিয়তা হ্রাস পাবে।


আরো সংবাদ



premium cement