২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

সাইবার বুলিংয়ের শিকার ১৬ শতাংশ শিশু

-

২০২২ সালে ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রায় ১৬ শতাংশ শিশু সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছে, যা চার বছর আগে ১৩ শতাংশ ছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপের এক রিপোর্টে গতকাল বুধবার এ কথা বলা হয়েছে। বিশ্বের ৪৪টি দেশের ওপর এ সমীক্ষা চালানো হয়। ইউরোপবিষয়ক ডব্লিউএইচও আঞ্চলিক পরিচালক হ্যান্স ক্লুজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘রিপোর্টটি সাইবার বুলিং ও সহিংসতাকে মোকাবেলায় আমাদের সবার সজাগ হওয়ার একটি আহ্বান। যখন যেখানেই এ ধরনের ঘটনা ঘটুক না কেন।’
‘স্কুলপড়ুয়া শিশুদের মধ্যে স্বাস্থ্য আচরণ’ শীর্ষক সমীক্ষা অনুসারে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ১৫ শতাংশ ছেলে এবং ১৬ শতাংশ মেয়ে অন্ততপক্ষে একবার সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। জাতিসঙ্ঘের এ সংস্থা উল্লেখ করেছে, মহামারীটি কিশোর-কিশোরীদের একে অপরের প্রতি আচরণের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে দেখা গেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে সহকর্মী সহিংসতার ভার্চুয়াল রূপগুলো বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় লকডাউনের চলাকালে তরুণ সমাজ ক্রমবর্ধমানভাবে ভার্চুয়াল হয়ে ওঠে। এতে আরো বলা হয়, অন্যান্য বুলিং সামান্য বৃদ্ধি পেলেও অনেকাংশে স্থিতিশীল রয়েছে। গত কয়েক মাসে ১১ শতাংশ ছেলে ও মেয়ে অন্ততপক্ষে দুই বা তিনবার স্কুলে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে রিপোর্টে জানানো হয়। চার বছর আগে এই হার ছিল ১০ শতাংশ।
বিস্তারিত কিছু উল্লেখ না করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, এ ক্ষেত্রে বুলগেরিয়া, লিথুয়ানিয়া, মলদোভা ও পোল্যান্ডে ছেলেদের হাতে সবচেয়ে বেশিমাত্রায় সাইবার বুলিংয়ের ঘটনা ঘটে। স্পেনে সবচেয়ে কম এ ধরনের ঘটনা ঘটে। সমীক্ষাটি ইউরোপ, মধ্য এশিয়া ও কানাডাজুড়ে ৪৪টি দেশের দুই লাখ ৭৯ হাজার শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement