ন্যাটো নিয়ে সুইডেন ফিনল্যান্ডের সাথে আলোচনা অর্থহীন : তুরস্ক

সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদান নিয়ে দেশ দুটির সাথে ফের আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তুরস্ক। দেশটি বলছে, এ ধরনের পদক্ষেপ হবে ‘অর্থহীন।’ তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মওলুদ কাভুসোগলু নিজ দেশের এমন মনোভাবের কথা জানিয়েছেন।
সুইডেনে তুরস্কের দূতাবাসের কাছে কুরআন পোড়ানো ও বিক্ষোভের ঘটনায় পূর্বনির্ধারিত ওই ত্রিপক্ষীয় আলোচনা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয় আঙ্কারা। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে কাভুসোগলু আরো বলেন, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের আলাদাভাবে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্তি পর্যালোচনার কোনো প্রস্তাব নেই। সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন বলেছেন, তার দেশ তুরস্কের সাথে ন্যাটো আলোচনা ফের শুরু করতে আগ্রহী। তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, এ ঘটনার পর ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য তুরস্কের সমর্থন আশা করা সুইডেনের উচিত হবে না। আপনারা যদি সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য ও ইসলামের শত্রুদের এত ভালোবাসেন, তাহলে দেশের নিরাপত্তার জন্যও তাদের কাছেই সমর্থন চান।

এরদোগানের এমন মন্তব্যের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী টোবিয়াস বিলস্ট্রম। পরে এক লিখিত বিবৃতিতে রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ঠিক কী বলেছেন সেটা তিনি বুঝতে চান। তবে ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে আঙ্কারার সাথে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের মধ্যে বিদ্যমান চুক্তিকে সম্মান করবে স্টকহোম। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পর সুইডেন ও ফিনল্যান্ড মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে ঢুকতে জোর তৎপরতা শুরু করে। ন্যাটোর নিয়ম অনুযায়ী, নতুন কাউকে সদস্যপদ দেয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান সদস্যদের সবার সম্মতি প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের অনেক দেশ এরই মধ্যে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে সদস্য করে নেয়ার ক্ষেত্রে সম্মতি দিলেও তুরস্ক তাদের দৃষ্টিতে ‘সন্ত্রাসী’ বলে বিবেচিত অনেককে সুইডেন থেকে ফেরত পেলে দুই নর্ডিক দেশের ন্যাটোভুক্তিতে সমর্থন দেয়ার শর্ত দেয়। এ নিয়ে তিন দেশ ত্রিপক্ষীয় বৈঠকেও বসে; কিন্তু পরে আঙ্কারা ওই বৈঠক অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করে।