২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বাড়াতে সম্মত যুক্তরাষ্ট্র-তুরস্ক

ফিনল্যান্ড-সুইডেনের ওপর আপত্তি তুলে নেয়ায় এরদোগানকে ধন্যবাদ বাইডেনের
মাদ্রিদে ন্যাটো সম্মেলনের ফাঁকে কথা বলছেন বাইডেন ও এরদোগান : এএফপি -

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যে ‘ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ অব্যাহত’ রাখার বিষয়ে একমত হয়েছেন। স্পেনের মাদ্রিদে বৈঠকে এ বিষয়ে একমত হন তারা। এ তথ্য জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। বৈঠকে দুই নেতা সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগ দেয়ার আবেদন, ইউক্রেন যুদ্ধ, এজিয়ান সাগর ও সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
হোয়াইট হাউজ বিবৃতিতে জানায়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় রাখার আকাক্সক্ষা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। দুই নেতা দুই দেশের সরকারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ অব্যাহত রাখার বিষয়ে একমত হয়েছেন। এ দিকে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে যোগ দেয়ার বিষয়ে আপত্তি তুলে নিয়েছে তুরস্ক, তাদের মধ্যে হয়েছে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি; একে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছে। মাদ্রিদে ন্যাটো সম্মেলনের ফাঁকে এরদোগানকে বাইডেন বলেন, ‘ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের পরিস্থিতি সমন্বিত করার জন্য আপনি যা করেছেন তার জন্য আমি আপনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’ এক ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা তুরস্কের নতুন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান এবং তার বিদ্যমান পুরনো নৌবহরের উন্নতির সাথে বিমান বাহিনীকে আপগ্রেড করার ইচ্ছার প্রতি জোরালো সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক সহকারী প্রতিরক্ষা সচিব সেলেস্ট ওয়াল্যান্ডর সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ তুরস্কের আধুনিকীকরণ পরিকল্পনাকে সম্পূর্ণ সমর্থন করে।’ তিনি বলেন, ‘তুরস্ক একটি অত্যন্ত সক্ষম, অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ, কৌশলগত ন্যাটো মিত্র এবং তুরস্কের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা, শক্তিশালী ন্যাটো প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় অবদান রাখে।’
হোয়াইট হাউজ বিবৃতিতে বলে, দুই নেতা ইউক্রেনের প্রতি অব্যাহত সমর্থন এবং রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কিয়েভের প্রতিরক্ষা সম্পর্কে আলোচনা করেন। এ ছাড়া তাদের মধ্যে আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে ইউক্রেনের শস্য রফতানিতে রুশ বাধা দূর করার বিষয়টি। বৈঠকের আগে তুর্কিয়ের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শস্য ও তেলের ক্ষেত্রে। এ সমস্যাগুলো আমরা একটি সুষম নীতি অনুসরণ করে সমাধান করতে চাইছি। আমাদের আশা, এর মাধ্যমে আমরা ফল পাবো।


আরো সংবাদ



premium cement