যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমানবাহী রণতরী দক্ষিণ চীন সাগরে প্রবেশ করেছে। রণতরীটির নাম ইউএসএস রোনাল্ড রিগান। ওয়াশিংটন-বেইজিংয়ের উত্তেজনার মধ্যেই বিতর্কিত অঞ্চলে এমন পদক্ষেপ নিলো। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী জানিয়েছে, এটি তাদের একটি নিয়মিত কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত। দেশটির নৌবাহিনী মঙ্গলবার জানায়, বিমানবাহী রণতরীটির সাথে আরো আছে একটি গাইডেড মিসাইল ক্রুজার ইউএসএস শিলোহ ও একটি গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস হালসি। চীন এর আগেও দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর অভিযানের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে এসেছে। কিন্তু বর্তমানে জি-৭ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এমন একটি কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চীন।
দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতিকে ওই অঞ্চলের শান্তি বা স্থিতিশীলতা বাড়তে সহায়তা করবে না বলে আপত্তি জানিয়েছে বেইজিং। তবে গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন নৌবাহিনী বিবৃতিতে জানিয়েছে, অবস্থান করা জাহাজটি সামুদ্রিক সুরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর নিয়মিত উপস্থিতির অংশ।
গত কয়েক বছর ধরে দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিং নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করে চলছে। সেখানে একটি কৃত্রিম দ্বীপ এবং বিমানঘাঁটিও তৈরি করেছে। শুধু তাই নয় সেখানে সামরিক উপস্থিতির বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম বসিয়েছে। মৎস্য সম্পদসহ খনিজ আহরণের গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে বছরে প্রায় পাঁচ লাখ কোটি ডলারের পণ্য পরিবহন হয়ে থাকে। পুরো সমুদ্রপথকে নিজেদের অঞ্চল বলে দাবি করে চীন। তবে আরো কয়েকটি দেশও ওই অঞ্চলের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে। দেশগুলো হচ্ছে মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম। তারা চীনের দখলে থাকলেও প্যারাসেল এবং স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা দাবি করে আসছে ভিয়েতনাম এবং ফিলিপাইন। স্কারবারা চর নামে সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরের মালিকানা নিয়ে চীন ও ফিলিপাইনের বিরোধ বহু দিনের।
যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে মালিকানা দাবি না করলেও আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথ হিসেবে দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি ধরে রাখতে চায় দেশটি। আর নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন সে তৎপরতা আরো জোরালো করেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা