২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ইরান-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্ব মেটাতে মধ্যস্থতায় রাজি কাতার

-

অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে বৈঠক চলছে। এরই মধ্যে মুখ খুলেছে কাতার। কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে গণ্ডগোলের অবসান হোক। প্রয়োজনে কাতার মধ্যস্থতা করতে রাজি।
সরাসরি না হলেও ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চতুর্থ দফার আলোচনা শুরু হয়েছে। ভিয়েনায় বৃহস্পতিবার ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করেন ইউরোপ, রাশিয়া ও চীনের কূটনীতিকরা। শুক্রবারেও তাদের বৈঠক হওয়ার কথা। কূটনৈতিক সূত্রের দাবি, চতুর্থ দফার এই আলোচনাতেই পরিস্থিতি কিছুটা ঠাণ্ডা হতে পারে। দুই দেশ আপস মীমাংসার পথে হাঁটতে পারে। এ বিষয়ে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, কাতারের সঙ্গে ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। তেহরানের সঙ্গেও কাতারের সুসম্পর্ক রয়েছে। ফলে তারা চায় দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তার দ্রুত অবসান হোক। ইরানে শান্তি ফিরলে মধ্যপ্রাচ্যে তা কাতারের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হবে।
মার্কিন কূটনীতিকের অবশ্য দাবি, ইরানকে একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাদের ঠিক করতে হবে, তারা আদৌ আমেরিকার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় কি না। তারা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রও আলোচনায় বসতে রাজি। অন্য দিকে ইরানের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রকে আলোচনার বিষয়ে আগ্রহ দেখাতে হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালে পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেন। শুধু তাই নয়, ইরানের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞাও জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমেই খারাপ হয়েছে। ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সেনাপ্রধানের ওপর হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তার মৃত্যু হয়েছে। দেশের পরমাণু বিজ্ঞানীকেও হত্যা করা হয়েছে।
অন্য দিকে ইরান ইউরেনিয়াম মজুদের পরিমাণ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ভবিষ্যতে তা আরো বাড়ানো হবে বলেও জানানো হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিনিধিকে পরমাণু পরীক্ষা কেন্দ্রের ছবি পাঠানো হচ্ছে না। এ অবস্থায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্বের একাধিক দেশ। দুই দেশের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলে সমাধান সূত্র খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে। ভিয়েনাতে সেই প্রক্রিয়াই চলছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement