ইরাকের রাজধানী বাগদাদের এক বাণিজ্যিক এলাকায় জোড়া আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ২৮ জন নিহত ও ৭৩ জনের বেশি আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বাগদাদের তাইয়ারান স্কয়ারের কাছাকাছি বাব আল-শারজি এলাকায় এক বাজারে এই বোমা হামলার হয়। বাগদাদ অপারেশনস কমান্ডের ডাইরেক্টর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাজেম আল-আজায়ি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরাক নিউজ এজেন্সিকে (আইএনএ) বলেন, বাব আল-শারজির জনাকীর্ণ ওই বাজারে দুই আত্মঘাতী বোমারু ওই হামলা চালায়। তবে তিনি নিহত বা আহতের কোনো সংখ্যা জানাননি।
মন্ত্রণালয় জানায়, প্রথম বোমা হামলাকারী বাজারের ভেতর দ্রুত ঢুকে নিজেকে অসুস্থ বলে দাবি করেন, যেন লোকজন তার কাছাকাছি জড়ো হয়। এরপরই তিনি বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। লোকজন যখন প্রথম বোমায় আক্রান্তদের চার পাশে জড়ো হয়েছিল তখন দ্বিতীয় বোমার বিস্ফোরণ ঘটান আরেক হামলাকারী। এক সামরিক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, বাগদাদের বাব আল-শারকির তাইয়ারান স্কয়ারের একটি কাপড়ের বাজারে নিরাপত্তায় নিয়োজিত সদস্যরা হামলাকারীদের অনুসরণ করলে তারা বোমা দু’টির বিস্ফোরণ ঘটায়।
তিন পুলিশ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের পর তারা নাম গোপন রাখা শর্তে জানান, হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৮ জন নিহত ও অর্ধশতাধিকেরর বেশি আহত হয়েছেন। আহত কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেন তারা। তাৎক্ষণিকভাবে হামলার দায়িত্ব কেউ স্বীকার করেনি।
২০১৮ সালের পরে এটি বাগদাদে প্রথম কোনো বড় ধরনের আত্মঘাতী হামলার ঘটনা। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্যরা এই ধরনের অনেক ছোট ছোট হামলা চালিয়ে আসছে।
২০১৭ সালে ইরাক সরকার আইএসকে পরাজিত করার ঘোষণা দেয়; কিন্তু এরপরও সংগঠনটির নিষ্ক্রিয় সদস্যরা ইরাকের স্বল্প ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৩ সালে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে বছরের পর বছর যুদ্ধের পর সাম্প্রতিক বাগদাদে আত্মঘাতী বোমা হামলা কমে এসেছিল। ২০১৯ সালের জুনে সর্বশেষ বাগদাদে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা