২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইয়েমেনে অপুষ্টিতে লাখো শিশু মৃত্যুঝুঁকিতে

-

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের কয়েকটি অঞ্চলে প্রায় এক লাখ শিশু অনাহারে চরম অপুষ্টিতে ভুগে মরতে বসেছে বলে জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ। মঙ্গলবার প্রকাশিত জাতিসঙ্ঘের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশটির বাসিন্দারা বছরের পর বছর ধরে মারাত্মক খাদ্য সঙ্কটে রয়েছে। ফলে সেখানকার বাসিন্দা বিশেষ করে শিশুরা চরম অপুষ্টিতে ভুগছে। তার ওপর এ বছর অবস্থা এতটাই খারাপ হয়েছে, যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
এর কারণ হিসেবে করোনাভাইরাস মহামারীতে বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্কোচন, বন্যা এবং পুনরায় যুদ্ধ-সঙ্ঘাত বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করা হয়েছে। গত ছয় বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধ ইয়েমেনকে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা না হলেও সেখানে বর্তমান পরিস্থিতি খুব নাজুক। ইয়েমেনে জাতিসঙ্ঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয়ক লিসা গ্রান্ডে বলেন, ‘গত জুলাই থেকে আমরা বারবার ইয়েমেনের বিষয়ে সতর্ক করেছি। বলছি, মারাত্মক খাদ্যসঙ্কটের কারণে দেশটি বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। এখনই এ যুদ্ধ শেষ না হলে আমরা ওই পরিস্থিতির খুব কাছে পৌঁছে গেছি যেখান থেকে ফেরত আসা আর কখনোই সম্ভব হবে না। ইয়েমেন শিশুদের পুরো একটি প্রজন্ম হারিয়ে ফেলার ঝুঁকিতে পড়ে গেছে।’ জাতিসঙ্ঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দক্ষিণ ইয়েমেনে পাঁচ বছরের কম বয়সের শিশুদের চরম অপুষ্টিতে ভোগার হার এ বছর ১০ শতাংশ বেড়ে গেছে। সংখ্যায় যা পাঁচ লাখের বেশি। আর চরম অপুষ্টিতে ভুগে মৃত্যু মুখে চলে যাওয়া শিশুর সংখ্যা বেড়েছে ১৫.৫%, যা সংখ্যায় ৯৮ হাজার।
প্রায় আড়াই লাখ গর্ভবতী ও প্রসূতি নারী এতটাই অপুষ্টিতে ভুগছে যে, তাদের চিকিৎসা প্রয়োজন। দক্ষিণ ইয়েমেনে পাঁচ বছরের নিচে প্রায় ১৪ লাখ শিশু বাস করে। এই অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেন সরকারের অধীনে আছে। জাতিসঙ্ঘ ইয়েমেনকে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুতর মানবিক সঙ্কটে পড়া দেশ হিসেবে বর্ণনা করেছে। দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষ ত্রাণের ওপর নির্ভর করে বেঁচে আছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement