০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বেলারুশে ভোটে কারচুপির বিরুদ্ধে তুমুল বিক্ষোভ

লুকাশেঙ্কোকে বিজয়ী ঘোষণা
ভোট কারচুপির অভিযোগে বেলারুশের সরকারবিরোধী সমর্থকরা বিক্ষোভ করছে : এএফপি -

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ হতেই বেলারুশের একাধিক শহরে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। ভোটে কারচুপি হয়েছে এমনটি অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। ইতোমধ্যে প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
আগেই বুথ ফেরত জরিপে উঠে আসে যে, আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো ষষ্ঠবারের জন্য বেলারুশে ক্ষমতায় আসতে চলেছেন। তিনি পেতে পারেন প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট। আর তার প্রধান বিরোধী শেতলানা টিখানোভস্কায়া পেতে পারেন ৭ শতাংশেরও কম ভোট।
বুথ ফেরত জরিপ আসার পরই রাস্তায় নেমে পড়েন বিরোধীরা। তাদের দাবি, ভোটে কারচুপি হয়েছে। রোববার রাত থেকে মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে থাকে। রাজধানী মিনস্কে বিপুলসংখ্যক বিক্ষোভকারী রাস্তায় নামেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন। গাড়ির হর্ন ও সাইরেন বাজান। কয়েক শ’ দাঙ্গাবিরোধী পুলিশ হাতে ঢাল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কিছু বিক্ষোভকারী ময়লা ফেলার গাড়ি দাঁড় করিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে। পুলিশ তখন জলকামান ছোড়ে, কাঁদানো গ্যাস নিক্ষেপ করে।
বেলারুশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, রোববার রাত থেকে পুলিশ শহরে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করছে। কতজনকে আটক করা হয়েছে, তা এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে মানবাধিকার সংস্থা সূত্রে জানা যায়, কয়েক শ’ লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েক শ’ লোক। বিক্ষোভ থামাতে প্রবল বলপ্রয়োগ করছে পুলিশ। বিরোধী নেত্রী শেতলানা জানিয়েছেন, তিনি বুথ ফেরত জরিপের ফল বিশ্বাস করেন না। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থন তার দিকে আছে। পেশায় একজন শিক্ষক শেতলানার স্বামী সরকারবিরোধী ব্লগার। কিন্তু সরকার তাকে জেলে আটকে রাখায় তিনি নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেননি। তখন শেতলানা নির্বাচনে দাঁড়ান। তার জনসভায় বিপুল জনসমাগম হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে বেলারুশে কোনো জনসভায় এত লোক হয়নি বলে জানা যায়।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোকে বলা হয় ‘ইউরোপের শেষ স্বৈরাচার’। তিনি ১৯৯৪ থেকে কঠোরভাবে বেলারুশ শাসন করছেন। তার দাবি, তিনি থাকলে বেলারুশে সরকারের স্থায়িত্ব থাকবে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে লোকের ক্ষোভ বেড়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, ভোটের আগে এক হাজার ৩০০ জনকে আটক করা হয়েছে। তার মধ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচন পর্যবেক্ষকরাও আছেন। ঠিক সময়ে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় ইউরোপের অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটি অ্যান্ড কোয়াপরেশনের প্রতিনিধিরা ভোট পর্যবেক্ষণ করতে পারেননি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
মিয়ানমার : যুদ্ধ আর জোরপূর্বক সেনাবাহিনীতে যোগদান এড়াতে শরণার্থীদের সীমান্ত পাড়ি যেভাবে ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে পালন শুরু হয়েছিল মালদ্বীপ ভারত থেকে চীনমুখী হওয়ার গতি বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে সন্ধ্যায় হাসপাতালে নেয়া হবে খালেদা জিয়াকে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পুলিশ, ব্যাপক গ্রেফতার নাটোরের লালপুরে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বছর বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপন করবে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে লড়ছেন না প্রিয়ঙ্কা! হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উড়ল ফিলিস্তিনি পতাকা হিন্দ : নিহত ফিলিস্তিনি শিশু এখন যুক্তরাষ্ট্রে আন্দোলনের প্রতীক দুঃসময় শেষ হচ্ছে না মুম্বাইয়ের

সকল