২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বসনিয়ায় মুসলিম গণহত্যার ২৫তম বার্ষিকী পালিত

-

বসনিয়া হার্জেগোভিনার সেব্রেনিসায় মুসলমানদের ওপর বর্বর সার্ববাহিনীর ভয়াবহ গণহত্যার ২৫তম বার্ষিকী পালিত হয়েছে। সেব্রেনিসার পোটোচারি কবরস্তান ও সেব্রেনিসা মেমোরিয়াল সেন্টারে এ উপলক্ষে শনিবার আয়োজিত শোকানুষ্ঠানে দেশটির রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও সামরিক ব্যক্তিত্ব, বিদেশী কূটনীতিকবৃন্দ, জাতিসঙ্ঘ প্রতিনিধিসহ নিহতদের পরিবারসহ সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯৫ সালের ১১ জুলাই সার্বীয় বাহিনী বসনিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সেব্রেনিসা এলাকা দখল করে। জাতিসঙ্ঘের পক্ষ থেকে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ ঘোষিত হওয়া সত্ত্বেও এবং জাতিসঙ্ঘের ডাচ্ শান্তিরক্ষীদের উপস্থিতিতেই সেব্রেনিসায় চালানো হয় নারকীয় গণহত্যা ও জাতিগত শুদ্ধি অভিযান। বসনিয়ার সার্ব জেনারেল রাতকো ম্লøাডিচ গণহত্যার সময় এক টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, শহরটি আমরা সার্বিয়ার জনগণকে উপহার হিসেবে দিয়েছি। দিনটি উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সেব্রেনিসা গণহত্যা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ইউরোপের মাটিতে সবচেয়ে নৃশংস অপরাধ। সেব্রেনিসা দখলের প্রথম দিন থেকেই সার্বীয় বাহিনী স্থানীয় বসনীয় জনগোষ্ঠীর সব পুরুষকে আলাদা করে নেয়। পরে তাদেরকে গণহারে হত্যা করে। ১১ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন সেব্রেনিসার কোথাও-না-কোথাও এই গণহারে হত্যার ঘটনা ঘটেতে থাকে। হত্যার শিকার ব্যক্তিদেরকে মৃত্যুর আগে নিজেদের কবর খনন করতে সার্বীয় বাহিনী বাধ্য করে। সার্ববাহিনী সেখানে জাতিসঙ্ঘের ডাচ্ শান্তিরক্ষীদের সামনেই আট হাজার ৩৭২ জন বসনীয় মুসলমানকে হত্যা করে মাটিচাপা দেয়। এই গণহত্যা চলার সময় জাতিসঙ্ঘ নীরবতা পালন করলেও পরে একে ‘জাতিগত শুদ্ধি অভিযান’ বলে স্বীকৃতি দেয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement