২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মালদ্বীপে নির্বাচনের আগেই সরকারের দুর্নীতি ফাঁস

-

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগে গতকাল এক তদন্ত রিপোর্টে মালদ্বীপ সরকারের দুর্নীতির অনেক নতুন চিত্র বেরিয়ে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, কোনো রকম পাবলিক টেন্ডার না দিয়েই বর্তমান সরকারের আমলে কমপক্ষে ৫০টি নাতিশীতাষ্ণু দ্বীপ খুবই কম মূল্যে ইজারা দেয়া হয়। দেশটির শীর্ষ মহাহিসাব নিরীক্ষক এই ঘটনাকে অবৈধ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন অবশ্য বলছেন যে, পর্যটনের সাথে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর কাছে দ্বীপগুলোকে লিজ দেয়ার জন্য কমপক্ষে ২৪টি চুক্তি করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরের আগে কমপক্ষে একটি চুক্তির ব্যাপারে আলোচনার সাথে প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন ব্যক্তিগতভাবে জড়িত ছিলেন।
ফাঁস হওয়া বার্তা ও অন্যান্য কাগজপত্রে দেখা যাচ্ছে যে, অং বেং সেং নামে সিঙ্গাপুরের একজন ধনী ব্যক্তি মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট এবং সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্টকে বিলাসবহুল হোটেল রুমে থাকার প্রস্তাব দিচ্ছেন। এই ব্যক্তি মালদ্বীপে বেশ কয়েকটি রিসোর্ট পরিচালনা করেন। এর আগেও তিনি এবং হোটেল প্রোপার্টিস লিমিটেড (এইচপিএল) নামক তার কোম্পানি মালদ্বীপে দ্বীপ লিজ নেয়ার জন্য একই কাজ করেছিল।
আর মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্টকে এ প্রস্তাব দেয়ার খুব অল্প সময়ের সিঙ্গাপুরের নাগরিক অং পাবলিক টেন্ডার ছাড়াই দুটি জনমানবশূন্য দ্বীপ লিজ নেয়া ব্যাপারে চুক্তি করেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এই দ্বীপ দুটির একটি ৫০ কোটি মার্কিন ডলার এবং অপরটি বিনামূল্যে লিজ দেয়া বলেও রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
এদিকে গতকাল এই রিপোর্ট প্রকাশের পর সিঙ্গাপুরের বিলিয়নার কিংবা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট কেউই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। আগামী রোববারের এই নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে জয়লাভের আশা করছেন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন। অবশ্য নির্বাচন বিষয়ক এক বিতর্কে এই ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট। তিনি এসব অভিযোগকে ‘অতীতের ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করে এসব দুর্নীতি ও অনিয়মের জন্য সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং ‘বর্তমান সিস্টেম’কে দায়ী করেন।
অবশ্য ২০১৬ সালেই প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনের বিরুদ্ধে প্রকট দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এ সময় দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার, নির্বিচার ঘুষগ্রহণ এবং অবৈধভাবে দ্বীপ লিজ দেয়ার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। সেই সময় প্রাথমিকভাবে প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন কোনো মন্তব্য না করলেও পরে নিজের বাড়িতে টাকা গ্রহণের কথা স্বীকার করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement