২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


জামালপুরে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষক লাঞ্ছনার অভিযোগ

জামালপুরে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষক লাঞ্ছনার অভিযোগ - নয়া দিগন্ত

জামালপুরে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগে এই ঘটনা ঘটে।

উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ নিয়ামুল হক ও আশেক মাহমুদ কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তন্ময়ের মধ্যে তদবির করা নিয়ে এই ঘটনা ঘটে।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের দুই শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতির কারণে ৫০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার ওই দুই শিক্ষার্থীর জরিমানার টাকা দেয়ার কথা ছিল। একই বর্ষের শিক্ষার্থী মো: নিজামুল দুই সহপাঠীকে নিয়ে ওই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ নিয়ামুল হকের কাছে যান। ওই শিক্ষকের সাথে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন নিজামুল। বিষয়টি নিজামুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলামকে (তন্ময়) জানান। পরে তন্ময়সহ ৪০ থেকে ৫০ জন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী ওই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ নিয়ামুল হকের কাছে যান। এ সময় ছাত্রলীগ নেতারা শিক্ষক নিয়ামুলের সাথে খারাপ আচরণ করে। পরে ছাত্রদের সাথে খারাপ আচরণের অভিযোগ তুলে ওই শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে ছাত্রলীগ নেতারা। পাশাপাশি ওই অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং কলেজের ছুটির ঘণ্টা বাজিয়ে দেয় এক ছাত্রলীগ কর্মী।

এ ব্যাপারে শিক্ষক সৈয়দ নিয়ামুল হক বলেন, ‘আমি আমার বিভাগে পরীক্ষার খাতা দেখছিলাম। এই সময় হঠাৎ করে তারা (ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা) কক্ষে প্রবেশ করে। পরে আমি তাদের কথা শুনি। আমি জরিমানা মওকুফে অস্বীকৃতি জানালে তারা উত্তেজিত হয় এবং আমার সাথে দুর্ব্যবহার করে। আমাকে লাঞ্ছিত করে।’

অভিযোগের ব্যাপারে উল্টো দাবি করেন কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তন্ময়। তিনি বলেন, ‘একজন ছাত্রের জরিমানা মওকুফের জন্য নেতা-কর্মীরা গেলে স্যার তাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। পরে আমি গেলে আমার সাথেও খারাপ আচরণ করেন। আমাকে লাঞ্ছিত করেন। আমরা এর বিচার চাই, না হলে কঠোর আন্দোলন হবে।’

জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবীরুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আমি ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছি। শিক্ষক ও ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

এ ব্যাপারে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হারুন উর রশিদ বলেন, ‘তাদের (ছাত্রলীগের) কোনো অভিযোগ থাকলে, আমার কাছে এসে বলতে পারতো। এভাবে ওই বিভাগে গিয়ে শিক্ষকের সাথে তর্কে জড়ানো ঠিক হয়নি। আবার একজন শিক্ষকের এমন ব্যবহার করাও ঠিক হয়নি। শুধু তাই নয়, সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা (ছাত্রলীগ নেতারা) কলেজের ছুটির ঘণ্টাও বাজিয়েছে। সকল শিক্ষকদের সাথে নিয়ে বসেছি। বিষয়টি উভয়পক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করা হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement