ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৯ ঘণ্টার ব্যবধানে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যালে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো চারজনে। এরা সবাই কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
এদের মধ্যে রোববার সন্ধ্যা ৬টায় কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার চরনিকি গ্রামের মঞ্জু মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), রাত একটার দিকে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার আব্দুল লতিফের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪০) ও সোমবার দুপুর একটার দিকে দূর্গাপুর উপজেলার ব্যবসায়ী সেলিম (২৭) ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) মারা যায়।
এর আগে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর ইটনা ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ফরহাদ হোসেনের মৃত্যু হয়। তবে এরা সবাই ঢাকায় ডেঙ্গ জ্বরে আক্রান্ত হন। ময়মনসিংহের কেউ এখনো ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হননি।
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. এ বি এম সামসুজ্জামান খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রোববার বিকেলে আনোয়ার হোসেন নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল থেকে এবং রাসেল মিয়া কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে রেফার্ড হয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যালে ভর্তি হয়। আনোয়ার হোসেন নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার আব্দুল লতিফের ছেলে। আর রাসেল মিয়া কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার মঞ্জু মিয়ার ছেলে। তবে দূর্গাপুরের সেলিম ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আইইডিসিআর’এ পরীক্ষার প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ঈদের পর থেকে কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় এখানে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৭৪ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছে দুই জন।
গত ২১ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৬০ জন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৮৩ জন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা