২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মা-বাবার কবরের পাশে সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবীরের দাফন

-

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের রেখিরপাড়া নিজগ্রামে মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন দেশবরেণ্য সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবীর।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে রেখিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে।

জানাজা নামাজে মরহুমের ভাই গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা নঈম জাহাঙ্গীর, কেন্দ্রীয় বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মো: ওয়ারেছ আলী মামুন, সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী সিরাজুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, মেলান্দহ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাংবাদিক নূরুল আলম সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেন।

এর আগে সকাল ১০টা থেকে রেখিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের লাশে সর্বস্তরের মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধা জানায়।

এদিকে বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবীরের লাশ জামালপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে নেয়া হয়েছিল। এ সময় মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমান ডল, সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসাইনসহ কর্মরত সাংবাদিকরা। এছাড়াও মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়েছে। এরপর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে করে রাতেই লাশ তার গ্রামের বাড়ি জেলার মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের রেখিরপাড়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।

পারিবারিক সূত্র জানায়, ডায়াবেটিস ও লিভারের নানা জটিলতায় বেশকিছু দিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবীর। অসুস্থতার কারণে দুই সপ্তাহ আগে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অনেক আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।

তিনি ১৯৪৭ সালের ২৪ জানুয়ারি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের রেখিরপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজের জ্যেষ্ঠ সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে সাংবাদিকদের অধিকার আদায় আন্দোলনের পাশাপাশি এরশাদের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনেও পেশাজীবীদের মধ্যে নেতৃত্বের কাতারে ছিলেন তিনি। সাড়ে চার দশকের সাংবাদিকতা জীবনে আমানুল্লাহ কবীর দৈনিক আমার দেশ ও দ্যা টেলিগ্রাফের (বর্তমানে বিলুপ্ত) প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিষ্ঠাকালীন নির্বাহী সম্পাদক ও ডেইলি স্টারের শুরুর দিকে বার্তা সম্পাদক ছিলেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement