খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো মামলার অভিযোগ গঠনে শুনানি ১৮ জানুয়ারি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার নবম বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ দিন ধার্য করেন।
মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার পক্ষে এ মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতির (ডিসচার্জ) আবেদনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আইনজীবীদের মহাসমাবেশ রয়েছে জানিয়ে শুনানি পেছানোর আবেদন করেন তার আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী বছরের ১৮ জানুয়ারি শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন। খালেদা জিয়ার অপর আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ ও জিয়া উদ্দিন জিয়া এ তথ্য জানান।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেনÑ চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (মৃত), সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন (মৃত), তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো: শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম) এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। তবে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন মৃত্যুবরণ করায় তাদের এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেয়ার মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।