সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার আসামি চট্টগ্রাম নগরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি এহতেশামুল হক ভোলাকে গত শুক্রবার রাতে যশোরের বেনাপোল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেনাপোল হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি ছিল তারা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষকুমার চাকমা জানিয়েছে, গ্রেফতার ভোলাকে চট্টগ্রামে আনার পর গতকাল শনিবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে আলোচিত এ মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন এহতেশামুল হক ভোলা। পরে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ভোলাকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। একই সঙ্গে জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তাকে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়। ভোলা আত্মসমর্পণ না করে সময়ের আবেদন করেন। ভোলা হাইকোর্টের নির্দেশনা পালন না করায় আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
বাবুলের নির্দেশেই মিতুকে হত্যা : ভোলার জবানবন্দী
সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের নির্দেশেই তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করা হয়েছিল। কামরুল শিকদার ওরফে মুছার নেতৃত্বে ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রামের জিইসি মোড় এলাকায় এই হত্যার ঘটনা ঘটে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে এ কথা বলেন আলোচিত এই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে এ খবর জানা যায়।
জবানবন্দীতে ভোলা আরো জানায়, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহারের জন্য অস্ত্র সংগ্রহ করে দেয় সে। কামরুলও শুরুতে রাজি ছিল না। তাকে এ কাজ না করলে ‘ক্রসফায়ারের’ হুমকি দিয়েছিলেন বাবুল। যার কারণে কামরুল রাজি হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা