বিচারহীনতা, সুশাসনের অভাবে দিহানদের সৃষ্টি হচ্ছে
- ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০
আমাদের সমাজে ৯৯ শতাংশ ধর্ষকই মনে করে, অপরাধ করে সে পার পেয়ে যাবে। একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটার পর পরই সবাই ধর্ষকের ফাঁসির দাবি করে। কিন্তু ফাঁসিই একমাত্র সমাধান নয়। প্রত্যেক অপরাধীকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। আনুশকা হত্যায় পুলিশের ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট যেন কোনোভাবেই প্রভাবশালীদের দ্বারা প্রভাবিত না হয় এবং যথাসময় সম্পন্ন হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। বিচারের দীর্ঘসূত্রতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসনের অভাবে সমাজে ধর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে ‘দিহানদের অবক্ষয়ের জন্য অভিভাবকদের দায়’ নিয়ে এক ছায়া সংসদে বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রধান অতিথির বক্তব্যে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আজকাল কিছু কিশোর-কিশোরী আধুনিকতার নামে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। অভিভাবকদের উদাসীনতা, বাবা-মায়ের অতি আদর, নৈতিক শিক্ষার অভাব, শিথিল সামাজিক বন্ধন, মাদকের সহজলভ্যতা, তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ ব্যবহার, সুশাসনের ঘাটতি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ইত্যাদি কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি করছে। উঠতি বয়সের কিশোরদের কেউ কেউ তাদের প্রভাব-প্রতিপত্তি প্রদর্শন করতে গিয়ে নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। ইভটিজিং, গ্যাং রেপ, সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে মারামারি, গ্রুপ করে বেআইনিভাবে দ্রুত গতিতে গাড়ি বা মোটরসাইকেল চালানো, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চাঁদাবাজি, ছিনতাই-রাহাজানি থেকে শুরু করে খুনাখুনির সাথেও জড়িয়ে পড়ছে এসব কিশোর। ফলে বর্তমান সমাজ কাঠামোতে মূল্যবোধের অবক্ষয় দিনে দিনে বেড়েই চলছে। ফলে তৈরি হয়েছে ঐশী, নয়নবন্ড, তুফান সরকার, দিহানরা। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা