২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
করোনার ভুয়া রিপোর্ট

ডা: সাবরিনা চৌধুরীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

-

করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা: সাবরিনা চৌধুরী ও সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে চার্জশিট দিয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। গতকাল ঢাকার সিএমএম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়েছে তারা হলেন, ডা: সাবরিনার স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরী, তার সহযোগী সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্সের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস এবং মামুনুর রশীদ। এই ৮ আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী চার্জশিটে উল্লেখ করেন, সাবরিনা ও আরিফ ঘটনার মূল হোতা। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছে। আদালতে দাখিলের পর চার্জশিটটি সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এস আই ফরিদ ঢাকার মহানগর হাকিম মো: মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে উপস্থাপন করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুন সাবরিনার স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। ২৪ জুন আরিফ চৌধুরী ও সহযোগী সাঈদ চৌধুরীর ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেও বেরিয়ে আসে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তবে ১৫ জুলাই আরিফুলকে ফের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছিল। ১৬ জুলাই রিমান্ডে মুখোমুখি হন আরিফ-সাবরিনা। স্বামীর সামনে সাবরিনা বলেছিলেন, ‘আরিফের জন্যই আজ এই অবস্থা’। করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন ডা: সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আসামিদের মধ্যে হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, ডা: সাবরিনার স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরী, তার সহযোগী সাঈদ চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্সের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস এবং মামুনুর রশীদকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে হুমায়ুন কবির, সাঈদ চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।
উল্লেখ্য, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশির ভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিতে গত ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement