০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ভাটারায় ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার

-

রাজধানীর ভাটারা পূর্ব সাঈদনগর এলাকার একটি বাসা থেকে এক ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম সাইফুল (৪০)। গত শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পূর্ব সাঈদনগর মসজিদ গলির একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার এক বাসার খাটের নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তখন নিহতের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। খবর পেয়ে গতকাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে গিয়ে নিহতের লাশ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী মনিরা পারভীন।
নিহতের স্ত্রী জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুর। তার স্বামী সাইফুল ঢাকায় রেন্ট-এ কারে গাড়ির ব্যবসা করতেন। তারা হাতিরঝিল মধুবাজার এলাকায় থাকেন। তাদের এক মেয়ে রয়েছে। কে বা কারা তার স্বামীকে খুন করেছে তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। তবে এ ঘটনায় তিনি দুইজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ভাটারা থানা পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে গত শনিবার গভীর রাতে ওই ব্যবসায়ীর অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
ভাটারা থানার ওসি মুক্তারুজামান জানান, নিহতের গলা কাটা ও হাত ওড়না দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় ছিল। তাকে হত্যা করা হয়েছে। যে বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে সেই বাসার সবাই তিন-চার দিন ধরে পলাতক রয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার : বিশিষ্ট শিল্পপতি ও বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম মো: মোস্তাফিজুর রহমান (৩৯)। ওই বাসায় ১৯ মাস ধরে কাজ করে আসছিলেন তিনি। গতকাল রোববার সকালে খবর পেয়ে ভাটারা থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তবে তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।
ভাটারা থানা পুলিশ জানায়, গতকাল সকাল ১০টার দিকে খবর পেয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের বাসার নিচ তলার একটি কক্ষ থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। বৈদ্যুতিক পাখা ঝুলানোর আংটায় দড়ি লাগিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার আয়না ক্ষেত গ্রামে।
জানা যায়, প্রায় ১৯ মাস আগে শ্যালক রাসেলের মাধ্যমে ওই বাসায় কাজে আসেন মোস্তাফিজুর রহমান। বাসার বাজার করা ছিল তার দায়িত্ব। তিনি গ্যাস্ট্রো লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন। গত শনিবার রাতে শ্যালক রাসেলকে জানায়, তার পেটে ব্যথা করছে, কিছু ভালো লাগছে না। তখন শ্যালক তাকে ওষুধ খাইয়ে পাশের কক্ষে ঘুমাতে চলে যান। গতকাল সকালে কক্ষ না খোলায় পুলিশকে খবর দেয়া হলে দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ভাটারা থানার ওসি গতকাল রাত ৮টার দিকে মোক্তারুজ্জামান বলেন, সকালের দিকে মোস্তাফিজুর রহমানের লাশ উদ্ধার করা হলেও রাত ৮টা পর্যন্ত কেউ থানায় আসেনি। মৃত্যু নিয়ে পরিবারের কারো কোনো অভিযোগ নেই। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement