২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
কার্যক্রমে অচলাবস্থা\

শিল্পকলা একাডেমিতে সাত পদের ছয়টিই খালি

-

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে প্রশাসনিক কর্মকর্তার পদসহ সাত পদের মধ্যে ছয়টিই খালি রয়েছে। এ কারণে একাডেমির কার্যক্রমে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। সাবেক কর্মকর্তাদের অভিযোগ মহাপরিচালকের উদাসীনতার কারণেই পদগুলো খালি থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, শিল্পকলা একাডেমি ছয়টি বিভাগ নিয়ে গঠিত। এগুলো হলোÑ চারুকলা, নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র, সঙ্গীত নৃত্য ও আবৃত্তি , গবেষণা ও প্রকাশনা, প্রশিক্ষণ ও প্রযোজনা বিভাগ। ছয়টি বিভাগ পরিচালিত হয় ছয় পরিচালকের দায়িত্বে। এই ছয়টি বিভাগে একজন করে পরিচালক থাকার কথা থাকলেও ছয়টির মধ্যে বর্তমানে পাঁচটি পরিচালকের পদ ফাঁকা রয়েছে।
তারা জানান, এসব পদে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে সময় শেষে তারা অনেক আগেই চলে গেছেন কিন্তু মহাপরিচালকের উদাসীনতায় আজো সেসব পদে নতুন কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। একই অবস্থা প্রশাসনিক পদে। প্রশাসনিক কার্যক্রম দেখার জন্য একজন সচিব থাকার নিয়ম থাকলেও বতমানে সেখানেও কেউ নেই। দীর্ঘ দিন খালি থাকার পর কয়েকমাস আগে নাট্যাশালার পরিচালককে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রশাসনিক কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হলেও সময় শেষে তিনিও চলে গেছেন কিন্ত সেখানে আর কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি।
সাবেক কর্মকর্তাদের কয়েকজন বলেন, ‘বিগত ১০ বছর ধরে লিয়াকত আলী লাকী মহাপরিচালকের পদে আছেন। এখন চলমান অচলাবস্থা রেখেই মেয়াদ শেষের পর তিনি আবারো একই পদে থাকার চেষ্টা চালাচ্ছেন কিন্তু গত ১০ বছরে তিনি নিয়োগ পরীক্ষার ফল গোপন রেখে পাশ না করার পরও অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগসহ নানান অনিয়ম করেছেন। যা নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে’।
এ ছাড়া তিনি তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর চাকরির নিয়োগের বিধি অমান্য করায় তার বিরুদ্ধে আদালতে ছয়জন কর্মচারী মামলা করেন। এরপর নিরুপায় হয়ে তিনি ওই কর্মচারীদের নিয়োগ দেন।
তারা জানান, গত বছরের আগস্টে অনুষ্ঠিত হয় লিখিত পরীক্ষা। একটি পদের বিপরীতে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ২৪ জন। পাস করেছেন মাত্র চারজন কিন্তু লিখিত পরীক্ষায় প্রদীপ কুমার সরকার, এ বি এম তৈমুর হান্নান, আবুল কালাম আজাদ ও উত্তম কুমার রায় উত্তীর্ণ হলেও তারা ওই পদে নিয়োগ পাননি।
এ ছাড়া নিয়ম অনুযায়ী, কালচারাল অফিসার পদে নিয়োগ পেতে অনার্স পাসের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১০ বছর এবং মাস্টার্স পাসের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের একাডেমিক অভিজ্ঞতা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এ পদে নিয়োগ পাওয়া রুনা লায়লার এমন কোনো অভিজ্ঞতাই ছিল না বলেও তারা অভিযোগ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মহাপরিচালককে ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে একাডেমির পাবলিক রিলেসন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে মহাপরিচালকের যোগাযোগ করিয়ে দেয়ার অনুরোধ করলে তিনি তার সাথে কথা বলে জানাবেন বলে জানান। এর কিছুক্ষণ পর কল করে বলেন, ‘স্যারকে রিচ করতে পারিনি। মনে হয় ঘুমাচ্ছেন। তবে যে অভিযোগগুলো আপনি শুনিয়েছেন তার মধ্যে কর্মকর্তাদের পদ খালি এটা সত্য। বাকি সব অভিযোগ মিথ্যে। কারণ ডিজি এককভাবে কাউকে নিয়োগের কোনো ক্ষমতা রাখেন না। তার জন্য কমিটি রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত’।


আরো সংবাদ



premium cement