২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

-

দৈনিক নয়া দিগন্তে ২৯/৪/২০১৯ তারিখে প্রকাশিত মাদরাসার পাঠ্যবইয়ে রূপান্তর ২: হযরত মুহম্মদ (সা.) কবরে সশরীরে জীবিত ও কেয়ামত পর্যন্ত সবকিছু দেখবেন! শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ করেছেন দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর সম্পাদক আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলম। তিনি লিখেছেন, মাদরাসার পাঠ্যবইয়ের অষ্টম, নবম-দশম শ্রেণীর আকাইদ ও ফিকহ বইয়ে হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে আক্বীদাগত কিছু বিষয় নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল এবং একপেশে ব্যাখ্যা উপস্থাপন করিয়া আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী দ্বীনদার মুসলমানগণের দ্বীনি অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত প্রদান করিয়া প্রতিবেদনটি প্রকাশ ও প্রচার করা হয়েছে। প্রতিবাদে বলা হয়, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতে আক্বীদাবহির্ভূত ব্যক্তিগণের ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করিয়া মূলত ‘মৌনবাসনা’ পূর্ণ করিয়া উক্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, যেহেতু মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ওলামাগণ গবেষণা করিয়া মাদরাসার বইসমূহ প্রকাশ করিয়া থাকেন। উক্ত আলেম ওলামাদের কোনো বক্তব্য প্রদান না করিয়া এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত-এর কোনো আলেম ওলামার বক্তব্য না নিয়া যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে তাতে একপেশে আচরণ এবং কৌশলে বদ এবং বাতিল আকিদা প্রচারের হীন উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট।
প্রতিবেদকের বক্তব্য : প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার আল হাদিস বিভাগের প্রফেসর ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (মরহুম), একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আল ফিকহ্ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবু বকর মুহাম্মদ জাকারিয়া মজুমদার, শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্স সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতি মুহাদ্দিস এম মিজানুর রহমান এবং মাদরাসা বায়তুল উলুমের মুহতামিম মুফতি মাওলানা জাফর আহমাদ এ চারজনের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। এদের প্রত্যেকেই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের খ্যাতিমান আলেম।
অভিযোগ মতে কোনো বদ, বাতিল আকিদা প্রচারের উদ্দেশ্যে এ প্রতিবেদন প্রকাশের প্রশ্ন্ই ওঠে না। আর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকিদায় বিশ্বাসী দ্বীনদার মুসলমানগণের দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাতেরও কোনো অভিপ্রায়ে এ প্রতিবেদন করা হয়নি। সিরিজ প্রতিবেদনটিতে বিশিষ্ট যে আলেমদের বক্তব্য তুলে ধলা হয়েছে তার বাইরেও মাদরাসার অনেক শিক্ষক, অভিভাবকের সাথে কথা বলা হয়েছে। মাদরাসার পাঠ্যবইয়ের এসব বিষয় নিয়ে তারাই বরং উদ্বিগ্ন। তা ছাড়া পাঠ্যবইয়ের বিতর্কিত অনেক বিষয় ২০১৭ সালে পরিবর্তনও করা হয়েছে যা ২০১৪ সাল থেকে পাঠ্য ছিল।


আরো সংবাদ



premium cement