২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নাগরিক পরিষদের মানববন্ধন

-

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক পরিষদ আয়োজিত সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের দাবিতে গতকাল সকালে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক মো: হারুন অর রশিদ খান, নাগরিক পরিষদের সদস্য সচিব হিফজুর রাহমান, লালমনিরহাট অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক মো: মনিরুজ্জামান মনির, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা: সামছুল আলম প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, সীমান্ত হত্যা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নিরীহ ফেলানীর মতো আবারো কাঁটাতারে ঝুলেছে বাবুর লাশ। সাম্প্রদায়িক দেশ ভারত গরু ব্যবসার বৈধতা না দিয়ে গরু ব্যবসাকে অবৈধ রেখেও প্রতিবছর বিলিয়ন ডলার উপার্জন করছে। আমাদের দেশের নিরীহ গরুর ব্যবসায়ীরা তাদের সাম্প্রদায়িকতার বলি হচ্ছেন। ফেলানী হত্যার বিচার আজও করেনি ভারতীয় আদালত। বিশ্ববাসী, বাংলাদেশ এবং ফেলানীর পরিবার বিচারের আকাক্সক্ষায় প্রহর গুনছে। ফেলানী হত্যার বিচার না হলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ হবে না। ফেলানীর মতো কাঁটাতারে ঝুলেছিল বাবুর লাশ। নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বলি এ দেশের সাধারণ নাগরিক। আমাদের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অপরিহার্য।
তিনি আরো বলেন, ফারাক্কা, গজলডোবা, টিপাইমুখ বাঁধ এবং আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করবে। ভারত যদি বন্ধু হয় তবে আমাদের নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি লুট করা বন্ধুর কাজ হতে পারে না। প্রবাহিত নদীগুলো আমাদের জাতির দেহে রক্তপ্রবাহ। রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করলে সেই দেহ প্রাণহীন হয়ে যায়। বন্ধু কখনো বন্ধুকে মারতে পারে না। ভারত আমাদের বন্ধু হলে আমাদের জাতির রক্তপ্রবাহ নদীতে বাঁধ দিতে পারে না। আমাদের জাতিকে মরুভূমি বানিয়ে হত্যা করতে পারে না। এ বছর অকালবন্যায় লালমনিরহাটসহ তিস্তা পাড়ের জেলাগুলো ও দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ভয়াবহ হুমকিতে আছে।
নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক বলেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধে এবং পানির আগ্রাসন রোধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নাই। বিজ্ঞপ্তি।

 


আরো সংবাদ



premium cement